চুরি করবা তোমরা আর ধরা খামু আমরা..তা হবে না ।
আগামী ১০ই এপ্রিল থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রোম ঢাকা রোম রোডের ফ্লাইট বন্দ ঘোষনা করা হয়েছে । অভিযোগ এই রোডে নাকি লস হচ্ছে । প্রায় দুই লক্ষ ইতালী প্রবাসী বাঙালীকে লম্বা বাশ দিয়ে বিমান কতৃপক্ষের এই সিন্ধান্ত কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা ভাবার বিষয় । ইতি মধ্যে রোম ঢাকা রোমের অন্যন্য এয়ারলাইন্সের টিকেটের দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে ।
গত প্রায় ৫/৬ মাস আগে আমি কথা বলে ছিলাম বিমানের ম্যানেজার (ইতালীর) নুরুল হুদা সাহেবের সাথে, তখন তিনি জানিয়ে ছিলেন বাংলাদেশি একটা পক্ষ চাইছে এই রোডে যেন বিমান না চলে । অন্যন্য এয়ারলাইন্স গুলির টাকা খেয়ে বাংলাদেশের বিকৃত মস্তিস্কের ঐ দালাল চক্র হয়তো ঢাকায় বিমানের বড় চোর গুলিকে বড় রকমের মাসোয়ারা দিয়ে শেষ পষন্ত জয় লাভ করেছেন ।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় চলা সিএনজি গুলি থেকে প্রতিদিন চাদা তোলে স্থায়ী সরকারী দলের হোমরাচুমরারা । সিএনজি চালক বা মালিকরা ঐ চাদার টাকাটা ভাড়া বাড়িয়ে আদায় করেন যাত্রীদের কাছ থেকে । মানে দাড়ালো, চাদা খাবে গুটি কয়েক ছেছড়া পাতি নেতা আর ভুক্তভোগি অসংথ্য সাধারন যাত্রী । ঠিক একই ভাবে বিদেশি এয়ার লাইন্সের টাকা খেয়ে বিমানের কিছু নরপশু কর্মকর্তা ঢাকা রোম ঢাকা রোড বন্দ করে ইতালী প্রবাসী বাঙালীদের এখন দ্বিগুন টাকা খরচ করে মাতৃভুমিতে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে । বিমান ম্যানেজারের ভাষ্য অনুযায়ে আমেরিকায়ও একই অবস্থা হয়েছে । ঐ নরপশুদের চক্রান্তে বিমান বন্দ হয়ে যাওয়ার পর ৯ শত ডলারের ভাড়া এখন ১৮শত ডলার হয়েছে ।
এই ভাবেই কি চলতে থাকবে ? আমরা কি জিম্মি হয়ে থাকবো গুটি কয়েক দালাল নরপশুদের কাছে ? না......এর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাড়াতে হবে । যদি লস হয়, আর এই কারনেই বিমানের এই রোড় বন্দ করা হয়, তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব রোড়ই বন্দ করতে হবে । কারন আমরা কোন দিনই শুনিনি বিমান লাভবান হয়েছে । মানে বিমান যে সব রোড়ে চলে তার সব রোড়েই লস হচ্ছে । লসের অজুহাতে ২ লক্ষ প্রবাসীদেরকে আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলে দেওয়া কোন ভাবেই কাম্য নয় । বাংলাদেশের সরকার ও বিরোধী দলের সব নেতারাই বলে থাকেন প্রবাসীদের রেমিটেন্সের টাকার দেশের বাজেটের বড় একটি অংশ মিটানো হয় । অর্থ হলো দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের বিশাল অবদার রয়েছে । আর এই অবদানের সিকুতি বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স ইতালী প্রবাসীদের দিল আইক্কাওয়ালা বাঁশ দিয়ে ।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার পর ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রবাসী বাঙালীদের কাছ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছিনিয়ে বাংলাদেশ সরকার কতটুকু লাভবান হবেন তা সময় বলে দিবে ।