আলফাজ আনাম নামের এক (বড় বড় সাটিফিকেটধারী হবে হয়তো) চাটুকারের একটি লেখা আমাদের সময় পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে আজ পড়লাম ।
আমাদের সময় পত্রিকায় এমন মূর্খ চাটুকারদের লেখা মাঝে মাঝেই পাওয়ায় যায় ।
আনাম সাহেব লিখেছেন, বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার কারনে এই হিংস্র বোমা হামলা শুরু হয়েছে । তিনি বিভিন্ন পত্রিকার রেফারেন্স দিয়ে দেখাতে চাইছেন বতর্মান পুলিশ, ব্যাব ও বিজিবির প্রধানরা সরকারী দলের নেতাদের মত কথা বলছেন । বোমা মেরে সাধারন মানুষকে পুড়িয়ে মারার কারন হিসেবে তিনি ভোটের অধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন হিসেবে দাড় করিয়েছেন ।
***প্রথম কথা হচ্ছে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে কি ভোটারদের জন্য ব্যালট পেপার ছিল না । সরকার কি ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়ে ছিল । নাকি সেদিন সারা দেশে কার্ফু ছিল ? আমার জানা মতে ব্যালট পেপার ছিল আর কার্ফুও ছিল না । তাহলে ভোটাধিকার আদায়ের প্রশ্ন আছে কেন ? বরং সারা দেশে বিভিন্ন কেন্দ্রে আগুন দিয়ে, বোমা মেরে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে বিএনপি জামায়াত নামের জঙ্গি সংগঠন ।
ঐ সময়কার সরকার নিরাপত্তা দিয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে এসে বরং ভোটারদের ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছেন ।
আনাম সাহেবদের মত ছাগলদের পক্ষেই বলা সম্ভব যাত্রীবাহী যানবাহনে পেট্রোল বোমা ছুড়ে যাত্রীদের পুড়িয়ে মারেই হলো ভোটাধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন ।
পৃথিবীর সব দেশেই সরকারী কর্মচারিরা সরকারের কথা মত চলে । তা না হলে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা সম্ভব না । সেটা দেশের উন্নয়নের হোক বা আনাম সাহেব মত লোকদের সিদ্ধ ডিম খেরাপি দেওয়াই হোক ।
গণতান্তিক আন্দোলনের জন্য যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষকে পুড়িয়ে মারা ঘটনা যদি ইউরোপের কোন দেশে হতো তাহলে খালেদা জিয়া সহ আনাম সাহেবদের মত নিলজ্জ চাটুকারা এত দিনে জেলে থাকতো ।
কোন সভ্য শিক্ষিত লোক বর্তমানে দেশের এই হিংস্র অান্দোলনকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বলতে পারে না ।
বিএনপির ডাকা সমাবেশের আগে তো তাদের নেতারা বড় গলায় বলেছে যেখানে বাধা সেখানেই অবস্থান । এখন আমরা কি দেখছি ? বাটি চালান দিয়েও একজন লোক পাওয়া যায় না বাধা এলে অবস্থান নেওয়ার মত ।
ক্যান্টমেন্টে জন্ম নেওয়া একটি রাজনৈতিক ক্লানে পক্ষে কখনো গণতন্ত্রে অর্থ বুঝার কথা নয় । যার কারনেই তাদের গণতান্তিক আন্দোলনের নুমনা এমন ।
আনাম সাহেবরা হয়তো বড় বড় সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন । কিন্তু গণতন্ত্রে অর্থ বুঝার মত সার্টিফিকেট তাদের এখনো অর্জন করা সম্ভব হয়নি । তাই তারা মানুষ পুড়িয়ে মারাকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বলে সাফাই গাইছেন । ধন্যবাদ