অবশ্যই না । যদি হতো তাহলে পৃথিবীর সব দেশের মুসলমানেরা টুপি আর পাঞ্জাবী পড়তো । তেমনি পাগড়ী পড়া বা গালে গাল লাগানো সৌদি রীতি, ইসলামী কোন রীতি নয় ।
Happy new year, এটা বলা বা এই দিনে উৎসব করা ইসলামী পরিপন্থী বলে আমার কাছে মনে হয় না । তাছাড়া শহীদ মিনারে দাড়িয়ে দেশের জন্য লড়াই করে মারা যাওয়াদের প্রতি সম্মান করা অথবা মোমবাতি জ্বালিয়ে জাতীয়ভাবে শোক প্রকাশ করা । এটা কোন ইসলাম বিরোধী কিনা তা আল্লাহপাক ভাল বলতে পারেন । কিন্তু এই বিষয গুলি নিয়ে আমাদের দেশে একটা পক্ষ বা কিছু লোক ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন । শহীদ মিনারে দাড়িয়ে আমরা শহীদের প্রতি সম্মান জানাই, ওখানে দাড়িয়ে আমরা বলি না এ শহীদরা তোমরা আমাদের আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা মঞ্জুর করে এনে দেও । যেমনটা করে কবর পুজারী মাজার ব্যাবসায়ীরা ।উপমহাদেশের শিরকারীরা তাদের মাজার ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা করে প্রচার করে যাচ্ছে বছরের পর বছর ধরে । আর এই অপব্যাখ্যা রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করে গেছেন জামায়াতী ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী আর মাওলানা ভাষানী সাহেব । বাংলাদেশে ইসলাম গেল বলে যারা বেশি চিৎকার করে থাকেন তাদের দিকে একটু তাকালে বিষয়টি আরো পরিস্কার হয়ে যাবে । হেফাজতের সফি সাহেব, চরমোনাই পীর আর বেগম জিয়া (সহ আরো অনেকে) যাদের ভিতরে ইসলামী লেবাস/ঈমান কতটুকু আছে তা বলাই বাহুল্য ।
Happy new year, নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলাম ফেবুর বন্ধুদের । এদের মধ্যে অনেকেই ইনবক্সে ম্যাসেস পাঠিয়েছে যে, এটা তার জন্য নয়, কারন তিনি মুসলমান ।
Happy new year, শহীদ মিনার বা মোমবাতি জ্বালানো এই গুলোকে আমি ব্যক্তিগতভাবে ইসলামের সাথে মিলাতে চাই না । আমি মনে করি টুপি পড়া যেমন ইসলাম ধর্মে বাধ্যগতা নয় তেমনি Happy new year, শহীদ মিনার বা মোমবাতি জ্বালানো ইসলামী পরিপন্থি নয় । এটা একেক দেশের রীতি ।যেমনটা মাথায় পাগড়ী পড়া বা গালে গাল লাগানো সৌদি রীতি, ইসলামী কোন রীতি নয় ।ধন্যবাদ ।