ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো, এই শ্লোগান দিয়ে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জযলাভ করে ক্ষমতায় এসেছিল আজকের প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ।বতর্মান ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় দেশ সেরা সাবেক ফুটবলার এবং বর্তমান ফুটবল ফেডারেশনের অধিকাংশ কর্মকতা সাবেক জাতীয় দলের খেলোয়ার ।
বাংলাদেশ ফুটবলে ঢাকার জুনিয়র ডিভিশন বিশেষ করে পাইওনিয়ার ফুটবল লীগ থেকেই অধিকাংশ খেলোয়ার বেড়িয়ে আসে । অনুর্ধ্ব ১৬ বছর বয়সের খেলোয়ারাই পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে অংশ গ্রহন করবে এটাই নিয়ম । কিন্তু অতান্ত দুঃখের বিষয় প্রতিবারই দেখা যায় যে ২০/২২ বছর বয়সের খেলোয়ারেরাও বিভিন্ন দলে খেলে থাকেন ।পাইওনিয়ার লীগে বয়স নির্বাচন কমিটির চোখকে ফাকি দিয়েই বেশি বয়সের খেলোয়াদের দলবদল করিয়ে থাকেন ক্লাব কর্মকর্তারা ।
১৯৯০ সালে আমি বাংলাদেশ রেলওয়ে ফুটবল দলের হয়ে প্রথম পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে অংশ গ্রহন করি । আর ২০১১ সালে আমি প্রবাসে থেকেই আমার এলাকায় গড়ে তুলি জুরাইন ফুটবল একাডেমী-ঢাকা নামের একটি ফুটবল ক্লাব এবং ২০১২ সালে আমরা প্রথম বারের মত পাইওনিয়ার ফুটবল লীগ-ঢাকা অংশ গ্রহন করি । মজার ব্যাপার হলো ৯০তে আমি যে প্রক্রিয়ার বয়স নির্বাচন কমিটির কাছে হাজির হয়ে ছিলাম ঠিক একই ভাবে ২০১৪ সালে আমাদের ক্লাবের খেলোয়ারেরাও হাজির হচ্ছে ।২০১৩ সালের অনুষ্ঠিত লীগে আমরা বেশি বয়সের ব্যাপারে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেও কোন সাড়া পাইনি । তাই এইবার ১৪তে ঢাকা পাইওনিয়ার লীগ কমিটির বিরুদ্ধে আমরা উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি । জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে পাইওনিয়ার ফুটবল লীগ কমিটিকেও পরিবর্তন আনতে হবে ।আমাদের অভিযোগ কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নয় । আমরা সিষ্টেমের পরিবর্তন চাই । ১৯৯০ সালে বয়স নির্বাচন কমিটি আমার জামা খুলে দেখেছে আমার বুকে লোম গজিয়েছে কিনা । ২০১৪ সালে এসে ঐ একই প্রক্রিয়া কোন ভাবেই মেনে নেওয়া য়ায় না । বর্তমান পাইওনিয়ার লীগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন বর্তমান ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় । জয় ভাই, জুরাইন ফুটবল একাডেমীর একটি র্যা লিতে অংশ গ্রহন করতে জুরাইন এসে ছিলেন ২০১২তে । আর সাবেক ফুটবল তারকা শেখ মোহাম্মদ আসলাম, আবু ইউছুফ এবং বাবলু ভাই উনারা এসে ছিলেন জুরাইন ফুটবল একাডেমীর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে । আমরা বাংলাদেশে ফুটবলের হারিয়ে যাওয়া জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনার জন্যও কাজ করছি ।
২৮ ডিসেম্বর আমাদের পাঠানো উকিল নোটিশ পাইওনিয়ার লীগ কমিটির কো-চেয়ারম্যান বিজন বড়ুয়ার হাতে পৌছেছে এবং তিনি যথারীতি আমাদের একাডেমীর সাধারন সম্পাদকে হুমকি দিয়েছেন । আমাদের ভাষা স্পষ্ট বাংলাদেশের ফুটবলের স্বার্থে আমরা কোন ভয়ভীতিকে তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যাব । আমি বাংলাদেশে সাবেক ও বর্তমান খেলোয়ার সহ ফুটবল প্রেমিক সকলের প্রতি অনুরোধ করবো আপনারা আমাদের পাশে থাকুন । আসুন আমরা সবাই মিলে মরে যাওয়া ফুটবলকে বাচাতে কাজ করি । বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে আধুনিকরন করতে বাধ্য করি । জামা খুলে নয় জন্ম নিবন্ধন সাটিফিকে বা অন্য কোন পদ্ধতিতে পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে বয়স নির্বাচন করা হোক । ধন্যবাদ ।