শ্যালা নদীতে ভাসছে তেল আর ফেবুতে ভাসছে ফটোশপের পারদর্শিতার খেলা । যে খেলা প্রায় খেলে থাকেন ভাসানী, মওদুদীর অনুসারীরা । মাওলানা ভাসানী সাহেব মাখায় টুপি পড়ে চীন গিযে ছিলেন, সেখান থেকে মাও সাহের থিউরি নিয়ে বাংলায় ছড়িযেছেন । আর মওদুদী সাহেব তো মাথায় ইসলামী টুপি লাগিয়ে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ইসলামী শিক্ষা নিয়ে তা পাকিস্থান আর পৃর্ব বাংলায় ছিটিয়েছে । এই দুই ইসলামী টুপিওয়ালার কল্যানে বাংলাদেশে আজ ইসলামী খেলা চলছে । যদিও প্রকুত ইসলাম ধর্মে টুপি পড়ার কোন বাধ্যবাধকতা নাই ।
বলছিলাম সুন্দর বনের কথা, শ্যালা নদীতে বছরের পর বছর ধরে নৌযান চলাচল করছে, এটা আজ নতুন নয় । হঠাৎ দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে । এই দূর্ঘটনায় সরকারের কি দায় আছে ? তারা যথার্থ চেষ্টা করছে সমস্যার সমাধান করার জন্য । কিন্তু একটা গ্রুপ আছে যারা বসে বসে আওয়ামী সরকারের ক্রটি খুজে বেড়ায়, আর এটাই তাদের প্রধান কাজ । শেখ হাসিনার কল্যানে ঘরে বসে তা ফেবুতে ছড়ায় । আওয়ামী সরকারের কোন ভাল কাজকে দেখবেন না তারা প্রসংশা করে । মেয়র হানিফ ফ্লাই ওভারের চালু হওয়ার সময় তারা প্রচার করলো মালশিয়া সহ অন্যান্য দেশে একই মাপের ফ্লাই ওভার তৈরী হয়েছে আরো কম খরচে । এই ফ্লাই ওভার তৈরীতে অনেক দুনীতি হযেছে । সমস্ত মিডিয়া যখন সরকারের প্রসংশা করছে তখন তাদের এটা ভাল লাগার কথা নয়, তাই তার দূনীতির কথা প্রচার করে নিজেদের অন্তজ্বালাকে ঢাকবার চেষ্টা করছে ।
কাদের মোল্লার যাবৎজীবন সাজা হওয়াতে শাহাবাগের সৃষ্টি হয়েছিল । প্রথম ৩/৪ দিন এটা সরকারের বিরোধীই ছিল । আর এই সুযোগটাই নিয়ে ছিলেন ঐ ভাসানী, মওদুদীর পন্হী কিছু বুদ্ধি বিক্রি করে চলাওয়ালারা । আনু মোহাম্মদ গংরা সেখানে গিয়ে চিৎকার করে বলে ছিলেন সরকার জামায়াতের সাথে আতাত করেছে । যুব সমাজকে সরকারের বিরেুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেওয়াই ছিল তাদের প্রধান লক্ষ । কিন্ত হাসিনার সরকার শাহাবাগের সকল দাবী মেনে নেওয়াতে তাদের সেই লক্ষ পুরন হয়নি । আর তখনই তারা প্রচার করতে লাগলেন শাহাবাগ আওয়ামী লীগেই সৃষ্টি ।মজার ব্যাপার হলো কাদের মোল্লার যখন ফাসি হলো তখন আনু সাহেবদের মুখ থেকে কোন ধন্যবাদ নামক শব্দ বের হলো না সরকারের জন্য ।
সুন্দরবনের শ্যালা নদী নিয়ে আনু মোহাম্মদ সাহেবদের এখন এত চিন্তা, তো বছরের পর বছর ঢাকার বুড়িগঙ্গা সহ দেশের নদীগুলো যে শিল্পের বর্জ্য দ্বারা ধর্ষিত হয়ে চলেছে তা নিয়ে তাদের তেমন মাথা ব্যাথা নেই কেন ? ভাসানী সাহেব যেমন রাজনীতিতে হারিয়ে গিয়েছিলেন, ঠিক তেমনি ভাবে হারিয়ে যাবেন এই সব বস্তাপচা সাটিফিকেটধারী অধ্যাপকেরা ।ফটোশপে ছবি বিকৃত মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার করে আর কত দিন এরা চলবে ? সত্যের জয় সব সময় হয় । তাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে কেউই দাবিয়ে রাখতে পাবে না । আনু মোহাম্মদ, ফরহাদ মাজাহার আর তুরিন মালিকরা একে একে ঝড়ে যাবে । যেমনি ভাবে ঝড়ে গেছে এদের পৃর্বসূরীরা । জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ।