সমুদ্রের পোস্ট বক্সে দেবার জন্য
জল রঙে এঁকেছিলাম মস্ত এক চিঠি।
নালিশের বিশাল ফর্দ ছিলো বেগুনী খামে লুকোনো।
কেন যে সে জানেনা!
হাতে হাত রেখে সাগরের নীলে মন ভেজাতে হয়।
বোকা ছেলেটা এটাও বোঝেনা -
শুধু সে পাশে থাকলেই
সমুদ্রের ফেনিল ঢেউ এসে
আলতো করে আলতা রাঙায় পায়ে।
খোলা হাওয়ায় এলোমেলো চুলের ঘ্রাণে
দাঁড় ভাঙা টলমলে নৌকার মত
দিগ্বিদিক শূন্য মাতাল হতে
থাকুক না তার অজস্র আপত্তি!
সব ভুলে যাওয়ার বাহানায়
সাগরের বিশালতাকে সাক্ষী রেখে
আমিও দিতে চাই তাকে
আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ!
হয়ত: বাহানার আড়ালে চেখে নিতে চাই
জীবন স্বাদের শেষ আস্বাদন!
অমৃত অথবা হেমলক।
কিই-বা এসে যায় তাতে!
নিজেতেই প্রমাদ গুনি।
আঙ্গুলের কর গুণে ধৈর্যমন্ত্র জপি।
অভিযোগ রাশি জলাঞ্জলি দিয়ে
ছায়ার কায়াতেই ভাসিয়েছি তাই
কচুরি পানার ভেলা।
মৃদু শীতের রাতে দু'জনাতে
একই মগে কফির স্বাদে হালকা উষ্ণতার সুখ,
অথবা -
চোখে চোখ রাখা হাসির মদিরায় মাতাল হওয়ার স্পর্ধা!
সে করেনি বলে যত অভিযোগ ছিলো মনে-
রোদেলা দুপুরে পথে পথে ঘুরে ফেরা
ক্লান্ত ফেরিওয়ালার কাঁধের মস্ত ঝোলার মত
কিছুটা দায় চাপিয়ে নিলাম স্ব-কাঁধে আর স্বেচ্ছায়।
পেছনে ছুঁড়ে ফেলে নিরব যত গ্লানি
পায়ে পা মিলিয়ে নেশায় মেতে উঠি
সম্মুখ চলার পথে।
দশ টাকায় কেনা লটারী টিকেটের মত
আরেকটিবার বাজি রাখতে চাই
অবাধ্য সস্তা সুখের।
অচেনা সুখের কাঙ্গাল হয়ে
ভাটার সায়রে সামনে এগোই
ধীরগতিতে এক পা, দু'পা ফেলে।
পায়ের নীচে উল্টো ছোটে
দস্যি মাতাল ঢেউ।
বোহেমিয়ান নেশায় মেশানো নোনা জলের অঞ্জলি
দু'হাতে আজলা ভরে নিয়ে
প্রার্থনা সঙ্গীতের মিহি সুরে
পসাইডনের কানে ফিস ফিস করে বলি -
কাঁচের বোতলে ছিঁপি এঁটে দিয়ে
বিশ্বাসের যে বেগুনী খাম তোমায় দিলাম -
মাঝ দরিয়ায় সে বার্তা তুমি
উন্মুক্ত করে দিয়ো মৃদু সুরে বাতাসের কানে।
রূপকথার গল্পের সেই;
ক্যায়ামত জ্বীনের 'হুজুর-এ-আকা' হয়ে
তিনটি আদেশ কেবল তাকে করো -
ভালো থেকো..
ভালোবাসায় থেকো...
ভালোবাসায় রেখো...।
ছবিসূত্র : ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৬