খুব বেশি অপেক্ষার পর ফিরে এসোনা।
অবহেলার বিড়ম্বনা তুমি সইতে পারবেতো পথিক?
স্বল্প অপেক্ষায় থাকে
মৃদু পায়ের আশা জাগানিয়া শব্দের ভীরু কাঁপন।
উচ্ছল আনন্দে খেলা জমে ওঠে
স্বপ্নজালের রঙিন উলের গাঁটে।
কাঁধের মাপটায় হৃদয়ের অনুভব দিয়ে
এক ঘর দুই ঘর বেঁধে বেঁধে
ভালোবাসার সূক্ষ বুননে গড়া যায়
শুভ্র সাদা সোয়েটার।
তবে কাঙ্খিত সময় শেষে -
অভিমানী প্রেয়সীকে আর বসতে দেখা যায়না
সিঁড়িতে পা ঝুলিয়ে রেখে দোরগোড়ার ঐ দরজায়।
অসমাপ্ত সোয়েটারের উলগুলো অবহেলায় গড়াগড়ি খায়
মেঝের ধুলায় অথবা বিছানার অবহেলিত কোনে।
ধীর পায়ে চলে যাওয়া শীত গ্রীষ্ম বর্ষার সাথে তাল মিলিয়ে
বধুর চঞ্চলা দৃষ্টির সাথে সাথে
মাথার রঙ্গিন ঘোমটাও হয়ে ওঠে পথভ্রষ্ট।
তারপরও যদি তুমি না ফিরো পথিক!
তোমাকে যে সইতেই হবে
অপেক্ষমান হৃদয়ের ভারাক্রান্ত দহন।
কখনো দেখেছো কি পথিক
অসময়ের বৃষ্টির তীব্র প্লাবন?
অথবা হেমন্তে তীব্র খরার পরিণতি?
প্রকৃতির মত অসময়ের খেয়ালী রূপে
তুমিও আর অসময়ে ফিরোনা পথিক।
সাদা সেয়েটারের শুভ্রতাকে নষ্ট করে
বিষাদের মলিন ফিকে রঙ মেখোনা তোমার গায়।
ভয় হয় পথিক,
মধ্যরাতের একরাশ বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে ফিরে এসে
তোমাকে না আবার নোংরা হতে হয়
উচ্ছাসবিহীন লুটানো আঁচলের ধুলায়।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬