প্রারম্ভিক:
২০১৬ সালে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে তানক্ষানাই তং (Tankhanai Taung) এর সাথে পরিচয় হয়। পূর্বে সাকা হাফং ও মোদক মোয়াল (জ্যোতলাং) থেকে দক্ষিণ দিকে বেশ কিছু উঁচু পাহাড় দৃষ্টি কাড়ে। উঁচু পাহাড়গুলোর শেষ মাথায় ঙাসাই হুঙ এই বিষয়টি জানাই ছিল। তবে নাসাই (ঙাসাই হুঙ) থেকে উত্তর দিকেও বেশ কিছু উঁচু পাহাড় মানচিত্রে পাওয়া যায়। সেই থেকেই এর প্রতি ক্ষীণ একটা আগ্রহ জাগে। ক্রমশঃ ঙাসাই হুঙ-কে কেন্দ্র করে চিন্তা ও আগ্রহের দানাগুলো একত্রিত হতে থাকে। তারপর ছুটে চলা…নানা কারণে অভিযানগুলো লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। তবে যেটা হলো, তানক্ষানাই তং হঠাৎ করেই পাদপ্রদীপ আলোয় চলে আসলো। ২০১৭ সালে আমি ও বুনো পুরনো মানচিত্রের উপর নির্ভর করে পর্বতটিতে একটি অভিযানের প্রস্তুতি নেই। Save The Hills & Nature এর ব্যানারে আরও কিছু লক্ষ্য যুক্ত হওয়ায় অভিযানটির নাম দেই "Mru a Glimpse Study".
বন্ধুবর বুনোর ভাষ্যে সেই অভিযানের কথা:
“কোন এক ঘোর বর্ষায় ব্যাকপ্যাক কাঁধে নিয়ে স্বপ্নবাজ তিন যুবক মিলে বেড়িয়ে পড়েছিলাম পাহাড়টির খোঁজে। কিন্তু সময়টা ছিলো অনেক বেশি বৈরি। প্রতিদিন ভারী বৃষ্টিপাত আর হড়কাবান পথের দুর্গমতাকে যেন শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলো। এছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতিও অভিযানে কিছুটা প্রভাব ফেলেছিলো। তবুও সেই অভিযানে সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে লক্ষ্যের অনেকটা কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিলো। মনে পড়ে অন্য একটি রিজের উপর থেকে শেষ বিকেলে চুরি যাওয়া আলোয় মুগ্ধ নয়নে দেখেছিলাম কি এক ভাব-গাম্ভীর্য আর দাম্ভিকতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তানখানাই তং, কিছুক্ষণ পরে মেঘ সরে গিয়ে দেখা দিয়েছিলো দক্ষিণ-পূর্ব কোণের সীমানা প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাহাড় নাসাই হুঙ। এগুলো সব প্রথম অভিযানের স্মৃতিকথা।”
তানক্ষানাই তং কে কেন্দ্র করে এটিই ছিলো প্রথম অভিযান। প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিকূলতায় অভিযানটি সফল হয়নি তবে আমরা দমে যাইনি। আমাদের আগ্রহ বেড়ে গেল দ্বিগুণ। এবার অতীতের প্রতিকূলতাগুলোর যেনো পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে আরও নিখুঁত প্ল্যান করা হয়। যা বাস্তবায়নে নিতে হয়েছে কিছু দুর্দান্ত সাহসী পদক্ষেপ। যুক্ত হলো স্বপ্নবাজ আরও তিন যুবক (খোকা বাবু, তাহমিদ আল মাসুম, পেয়ার আলম)। আটঘাঁট বেঁধেই নেমে পরলাম পরিকল্পনা করতে। রাতের পর রাত পাঁচ যুবকের ঘুম হারাম করে তৈরি করা হলো আমাদের অভিযান পরিকল্পনা। তবে এর সাথে যুক্ত হয়ে গেল আরও কিছু দুর্দান্ত লক্ষ্য। অভিযানটির নাম দেয়া হল-"Walking Throug The Reserve". তবে শতভাগ সাফল্য এবারও ধরা দিল না। সময়ও বৈরি হয়ে উঠল। অধরা কাজটি সম্পন্ন করতে আরও একটি অভিযানের প্রয়োজন হয়ে পড়ল। আর সেই অভিযানটিই হলো- ‘Expedition Southern Leopard’ বাংলায় আমরা বলি ‘শঙ্খের চিতা’।
Expedition Southern Leopard (শংখের চিতা): এই অভিযানটি ছিল তরুণ ও প্রবীণের মেল বন্ধনের অভিযান। ব্যক্তিগত নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে অভিযানটি বার বার পিছিয়ে যাচ্ছিল। কোনভাবেই অভিযানের সদস্যরা একটি অভিন্ন সময় নির্বাচিত করতে পারছিলেন না। অবশেষে অন্যদের সম্মতিতে মাত্র দুই জন এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। অভিযানটি খুব দ্রুততার সাথে এবং স্থানীয় কারও সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ন আল্পাইন স্টাইলে করবো এই ছিল আমাদের পরিকল্পনা। এই অভিযানের অভিযাত্রীগণ হচ্ছে-
১) মির্জা রাসেল।
২) পেয়ার আলম।
পরিকল্পনা মাফিক নির্ধারিত সময়েই আমরা যাত্রা শুরু করি। এই অভিযানটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সময় স্বল্পতা ও ঋতু। অভিযানটির ব্যপ্তী ছিল মাত্র ১১ দিন। বসন্তের সৌন্দর্যের আড়ালে যে ভয়ঙ্কর একটি রূপ থাকে তা আমরা ভালভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছি। মুরি অ’র (মাতামুহুরী) জলে পা ভিজিয়ে আমাদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। বসন্তের প্রকৃতি আমাদের কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়। আমরা মাত্র ৪ দিনে আমাদের বেইজ ক্যাম্প পাড়ায় (পাড়াটির নাম উল্লেখ করা হলো না) পৌঁছে যাই। দূরত্বটা নেহায়েত কম নয়, স্থানীয়দেরই ৫/৬ দিন লেগে যায় এই পথ অতিক্রম করতে।
(অন্যান্য অভিযানগুলো সম্পর্কে জানতে ঘুরে আসুন
তানক্ষানাই তং অভিযানের আদ্যপান্ত)
বসন্তে সবুজ পাহাড় আর সবুজ থাকে না। মিশ্র পাতা ঝড়া বনের ‘সবুজাভ-লোহিত’ বিচিত্র রঙ আর পথে থাকে নানা ফুল ও ঝড়া পল্লবের গালিচা। প্রখর রৌদ্র তাপ মাথায় নিয়ে ছায়াহীন-মায়াহীন পুরনো জুমের পথ চরম পরীক্ষা নিবে। তারপর যখন গর্জন, চাপালিশ, বৈলামের বিশাল বন পাহাড়ের শিরদাঁড়ায় এখনও অস্তিত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আপনাকে স্বাগতম জানাবে। কি বিচিত্র সেই দৃশ্য! বনের বুকেই আঘাতের চিহ্ন; কুঠার আর আগুনের ক্ষত বুকেই নিয়ে বলছে ‘এবার থামো, আর পারি না। আমি কি কেবল আঘাতই পাবো?’ফাওয়াইন সো এর শীতল জলে পা ভিজিয়ে ১০ মার্চ পূর্ব দিকে অগ্রসর হয় দু-জনের দলটি। এই মায়ার বন এবার নিরাশ করেনি। চাওয়ার চাইতেও বেশি দিয়েছে। ভোরেই আমরা ঝিরি ধরে যাত্রা শুরু করি। এই পথে সীমান্ত অবধি মানুষের চিহ্ন পাওয়া যাবে না। আজ হাঁটা পথ কম তাই কিছুটা আয়েসি ভাবেই দিনের শুরু করি। অল্প সময়ের মধ্যেই দুই পাহাড়ের মাঝগলে গিরিপথের মতো একটা জায়গায় চলে আসি। আমার একটু সামনে হাঁটছে পেয়ার। হঠাৎ কিছু না বলেই সে থমকে দাঁড়ায়। একেবারে প্রস্তর মূর্তির মতোই ঠায় দাঁড়িয়ে। আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। হঠাৎ করেই উত্তরের খাড়া দেয়ালের গাছ-লতা বেয়ে নেমে আসলো একটি ‘সূর্য ভাল্লুক’। তার বাদামি শুভ্র পাগুলো টিপে টিপে জল পার হচ্ছিল। হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে অনভিপ্রেত আগুন্তকদের দেখে সেও বিস্মিত। বার দুই তাকিয়ে চট জলদি ফিরতি পথ নিল। ভাল্লুক গাছে চড়তে পটু তবে আমাদের অবাক করে চোখের পলকেই খাড়া দেয়াল বেয়ে উপরের বাশঁ বনটাতে সে হারিয়ে গেল। মাত্র মিনিট খানেকের দেখা। আমরা দু’জনই কিংকর্তব্যবিমুঢ়। বন্য পরিবেশে মাত্র বিশ হাত সামনে থেকে ভাল্লুক দেখার ঘোর কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় নিল পেয়ার। ভাগ্য ভাল ছিল তাই ভাল্লুকটি মারমুখী হয়নি। দিনের শুরুটা হলো অন্য রকম কিছু দিয়ে। সারা পথ আফসোস কোন ছবি তুলতে না পাড়ার জন্য। ঝিড়ি ও বনের এই অংশটুকু এখনও জীবন্ত। চিতা, লেমুর, বানর, সিবেট ও সাম্বার হরিণের সাথে সাক্ষাতের পূর্ব অভিজ্ঞতা হয়েছে এখানেই। নির্জন ঝিরি পথে বড় বড় বোল্ডারগুলো পাড়ি দিয়ে এসে দাঁড়াই একটি ঝর্ণার সামনে। সূর্য তখনও পশ্চিমে হেলে পড়েনি । পানির উৎস থাকায় আজ রাতে এখানেই তাঁবুবাসের সিদ্ধান্ত নেই। ব্যাকপ্যাক নামিয়ে আমরা ক্যাম্পসাইট তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। দু’জনে ট্রেকিংয়ের এই ব্যাপারটা বেশ মজার। চারটি হাত নিরবে সব কাজ করে যাচ্ছে। তাঁবু খাটিয়ে রান্নার আয়োজন শুরু করলাম। আগুনে কিছু কাঠখড়ি গুজে দিয়ে দু’জনে এটা সেটা নিয়ে গল্প করছিলাম। আগুনের শিখার স্ফুলিঙ্গের সাথে গল্পের শাখা-প্রশাখাও বাড়তে থাকে।
প্রকৃতিতে এখন সন্ধ্যার আয়োজনের ঘনঘটা। দিনের আলো থাকতে থাকতেই আহার পর্ব শেষ করে আগুনের পাশেই পাথরে গা এলিয়ে আধ শোয়া হয়ে আমরা দু’জন। এতক্ষণ টুকটাক কাজের জন্য আওয়াজটা কানে আসলেও গা করিনি। পেয়ার বার কয়েক ইশারা করে বলেছে, ভাইয়া রাঙপাঙ মনে হয় (ম্রোদের ভাষায় ধনেশকে রাঙপাঙ বলা হয়)। শুকনো ঝর্ণার গা বেয়ে ক্ষীণ একটা জলধারা অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। ঝর্ণার মাথায় দক্ষিণ দিকে বেশ বড় একটা গাছ। আধ শোয়া অবস্থায় দিব্যি দেখতে পাচ্ছি এক জোড়া কাউ-ধনেশ (Oriental Pied Hornbill) সংসার পেতেছে। কিছুক্ষণ পর ভুল ভাঙল এক জোড়া নয়, তিন জোড়া ধনেশের সংসার এই গাছ ও পাশের একটি গাছে। ধনেশের ডানা ঝাপটানোর শব্দের সাথে সন্ধ্যা নেমে আসে। আগুনের মুখোমুখি বসে আছি আমরা দুই অভিযাত্রী। ধীরে ধীরে জেগে উঠছে রাতের মায়াবি বন। তক্ষক, কাঠ বিড়ালী, রাত জাগা পাখির ডাকে মুখরিত সেই চরাচর। আকাশে শুক্লা নবমীর চাঁদ ক্যানপির (Canopy) ফাঁক গলে করুণা করে কিছু জোছনা বিলিয়ে দিচ্ছে।
আগামীকাল সকালে আমাদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। ঘুমানো দরকার তবুও জেগে আছি। ভাল্লুকের কথাটা মাথা থেকে যাচ্ছে না। যদিও আমরা অনেকটা দূরে চলে এসেছি। হয়তো তার টেরিটরির বাহিরে। তবে এই বনে আরও ভাল্লুক আছে, আছে ছোট বাঘ। রাত্রি প্রথম প্রহর শেষ হলে বিকালের বেঁচে যাওয়া অবশিষ্ট খাবার খেয়ে ঘুমাতে চলে যাই। ভোরে উঠেই আমাদের পরিকল্পনা মতো তাঁবু গুটিয়ে নেই এবং বড় রুকস্যাক দুটি পাহাড়ের কিছুটা উপরের একটি গর্তে লুকিয়ে রেখে পা বাড়াই তানক্ষানাই তং এর উদ্দেশ্যে। অবশেষে পথের সকল পাজল ভেঙে এসে দাঁড়াই চূড়ার আগের একটি বনফোরের সামনে। ‘বনফোর’ হচ্ছে ইংরেজি বর্ণ ওয়াই (Y) আকৃতির পথ বিভাজন। যেখানে একটি পথ দু’দিকে ভাগ হয়ে যায় এরকম স্থানকে ম্রোরা বলেন ‘বনফোর’। আমাদের আগের অভিযানে উত্তরের চূড়াটিতে আরোহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এবারের লক্ষ্য দক্ষিণের উচ্চতম চূড়াটি। তানক্ষানাই তংয়ের দুইটি চূড়া। উত্তরের চূড়া হতে দক্ষিণের চূড়াটিতে আরোহণ সম্ভব নয়। ফাল্গুন আর চৈত্রের সন্ধিক্ষণে প্রায় খাড়া বাঁশ বনটা ধরে আমরা আরোহণ শুরু করি। এই অভিযানে তাৎক্ষণিক সব সিদ্ধান্তই আমাদের পক্ষে ছিল। আমাদের ভাবনার সাথে বাস্তবতার ব্যত্যয় হলো না। একটু হেরফের হলেই পথ ভুল হয়ে যেতে পারে। একবার পথ ভুল হলে তা শুধরে নিয়ে পুনরায় চেষ্টা করা প্রায় অসম্ভব। কেননা এই দীর্ঘ পথে পানির কোন উৎস নেই। স্থানীয়দের কেউ এই পথে ভুলেও পা বাড়ায় না। এমনকি তানক্ষানাই তং-এ স্থানীয় অধিবাসীদের কেউ আরোহণ করেননি। বসন্তের এই বৈরি পরিবেশে কেবলি বাঁশ বন ধরে উপরেই উঠছি। গাছ আর বাঁশের ফাঁক দিয়ে যখন পূবের আকাশ দেখা যাচ্ছিল তখন বুঝতে বাকি নেই, আমরা চূড়ার কাছেই আছি। অবশেষে কাক্ষিত চূড়াটির দেখা পাই। বসন্তের মাতাল হাওয়ায় প্রাণ জুড়িয়ে গেলেও সূর্যের রুদ্র মূর্তির জন্য টেকা দায়। বাংলাদেশের পূর্ব দিকের পাহাড়গুলো থেকে অনেকবার বার্মা (মায়ানমার) দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। কিন্তু এবার দেখে আশাহত হলাম। ওপাশে খুমীদের জুমে ছোট-বড় সব পাহাড় সয়লাব। দূরে দুটি খুমি গ্রাম দেখা যায়। পি-অ বয়ে চলেছে। আমার যাকে পিক্ষ্যাং নামে জানি। চূড়াটির উত্তরে একটি পাথুরে জায়গা আছে। এখান থেকে পশ্চিম দিকে ওয়ালি তং কে আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই পাথুরে জায়গাটি বার্মার অংশে পূর্ব দিকে বের হয়ে আছে। সেখানে দাঁড়িয়ে দক্ষিণে ঙাসাই হুঙকে দেখে নিলাম। উত্তরের চূড়া স্পষ্টতই বুঝা যায় বেশ কিছুটা নিচু। অবশেষে তানক্ষানাই তং আমাদের আপন করে নিল। শেষ হলো দীর্ঘ একটা স্বপ্নের। এবার ফেরার পালা। ফিরে আসাটা অতটা সহজ ছিল না। বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। সে গল্প অন্য কোন সময়ের জন্য তুলে রাখলাম...।
অভিযানের নাম করণ: এই অভিযানের মজার একটি দিক হচ্ছে অভিযান শুরু সময় আমরা এর নাম ঠিক করতে পারিনি। এমনকি সামিটেও এ নিয়ে পেয়ার ও আমার মধ্যে কথা হয়। কিন্তু কোন নাম নির্দিষ্ট করতে পারিনি। ফিরতি পথে মাসখানিক আগে একটি চিতা বাঘ শিকারের গল্প শুনি এবং সেই বাঘের মাংস যারা খেয়েছে তাদের কাছে দেখি চিতাটির দাঁত ও জিহ্বার কিছু অংশ। শংখের এই অংশে এখনও চিতাদের দেখা যায়। আমরা এইবার এবং আগেও পাগমার্ক (Pugmark) দেখেছি। চাবাও তুইয়ের জলে (শংখ নদীর ত্রিপুরা নাম) শেষবারের মতো পা ভিজিয়ে ফিরে চলি বাড়ির পথে। চিম্বুকের মায়ার বন যখন পার হচ্ছি তখন মনের অজান্তেই পেয়ারকে বলি এবারের অভিযানের নাম ‘শংখ চিতা’ হলে কেমন হয়। ব্যাস পেয়ার সাথে সাথেই সম্মতি দিয়ে দারুণ একটি ইংরেজি নাম দাঁড় করায়। তাহলে ভাইয়া নামটা ‘Expedition Southern Leopard’ হলে কেমন হয়। একটু বিমূর্ত ধাঁচের এই নামটি সেই চিতাটির জন্যই। যার শেষ পরিণতির একটি চিহ্ন আমার কাছে স্বযতনে রয়ে গেল।
অভিযানটি হতে সংগ্রহ করা তথ্য ও ছবি দেখার জন্য ঘুরে আসুন
তানক্ষানাই তং অভিযানের আদ্যপান্ত
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:৪৯