প্রথম আলোর সম্পাদকিয়তে তারা নিজেদের দায় স্বীকার করেছে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় দৈনিক দাবি করেন তারা আর তাই যদি হয় তবে সাংবাদিকতার মৌলগুলোর অন্যতম হচ্ছে সংবাদ উৎসের সত্যতা নিশ্চিত করা। কেমন সংবাদিক আর কেমন সম্পাদকবৃন্দ যে খবরটি শুধুমাত্র কাগজ কাটতির বিবেচনা করেই কোনরূপ যাচাই বাছাই না করেই প্রকাশ করেছিলেন। তারপর আবার সম্পাদকিয়তে লিখে থুথু গেলার মত কাজটিও করলেন। তবু সত্য মেনে নেয়ার জন্য একটা বাহাবা না হোক ধন্যবাদ পেতেই পারেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এধরনের প্রপাকান্ডা কার স্বর্থে এ প্রশ্নটি রাখা যায়? বিএনপি যা করেছে তা কেবল অশুভ দৃষ্টান্ত নয়, এটি তাঁদের জনগণের প্রতি বিন্দমাত্র দায়বদ্ধতা যে নেই সেটাই প্রমাণ করে। সরকার অনেক আগেই দায়বদ্ধতার জায়গাটিকে কবর দিয়ে সেচ্ছাচারিতার নীতি গ্রহণ করেছে একথাটিও সত্য। তবে জনগণের অধিকার আর গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যে সন্ত্রাসী প্রক্রিয়া আন্দোলন চলছে...তাতে তো তালগাছ আমার এটিই প্রমাণ হয়। আর ভারতের দালালি বা পাকিস্তানের প্রতি বেহুদা প্রেম এসব জঘন্য কাজ। তাদের সঙ্গে বৈরিতা নয় বন্ধুত্বই চাই তবে এভাবে নয়। আগে শুনেছি বা একটি অভিযোগ ছিল বা প্রপাকান্ডা ছিল আ.লীগ ভারতের দালাল। কিন্তু যখন এটা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রেস ব্রিফিং করে ঐ দেশটির একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের ফোনকলকে এভাকে প্রচার করা হয় সেটাকে কি বলবেন? ফোনালাপ হতেই পারে একজন আরেকজনের কুশলাদি সম্পর্কে জানতেই পারেন । যা এ সভ্য সমাজে একটি গ্রহণযোগ্য প্রথা। তবে সমস্যাটা হল ঢাকঢোল পেটানোতে। সমান্য বিষয়েই যারা এধরণের মিথ্যাচার করতে পারে তাদের উপর আস্থা রেখে রাস্তায় কেন নামবে জনগণ। আর সরকার….কৌটার সবটুকু ঘি ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিলেন ! সে আগুন নেভানো কঠিন হয়ে পরবে…আর সে বাক্যটি তো উভয় দলের জন্যই প্রযোজ্য..নগরে আগুন লাগলে দেবালয়ও রক্ষাপায় না।