ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ‘টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ’ হয়েও দলের স্কোয়াডে ঠাঁই মেলেনি জিয়াউর রহমানের। নিশ্চয় খারাপ লাগছিল তাঁর, সেটাই স্বাভাবিক। তবে জিয়ার চেয়েও বোধ হয় বেশি খারাপ লেগেছিল দেশের দর্শক-সমর্থকদের! জিয়াকে স্কোয়াডে না নেওয়ায় নির্বাচকদের দিকে ধেয়ে আসছিল একটার পর একটা সমালোচনার তির। আশার কথা হচ্ছে, সেই জিয়া অবশেষে দলে যোগ দিচ্ছেন।
এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। স্কোয়াডে কোনো খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে হলে আইসিসির কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়। তবে সেটি শুধু আনুষ্ঠানিকতাই মাত্র। জিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে যোগ দেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। প্রথম আলোকে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, এরই মধ্যে জিয়াকে অনুশীলনে যোগ দিতে বলেছেন নির্বাচকেরাও।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর পর বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে এত শোরগোল হলো। সেবার অনেকটা জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন নান্নু। জিয়ার ক্ষেত্রে পুরোপুরি তেমনটা না হলেও, মিল তো থাকছেই। সব ঠিক থাকলে আগামীকালই দলের সঙ্গে অনুশীলনে জিয়া যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি।
আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে বলেই হয়তো জিয়া নিজেও এখনো দলে সুযোগ পেয়েছেন বলতে রাজি নন। তবে তিনি যে প্রস্তুত আছেন, সুযোগ পেলে নিজেকে উজাড় করে দেবেন, তা জানাতে তো আর বাধা নেই। অবশ্য যেভাবে দলে সুযোগ হতে যাচ্ছে, তেমনটি চাননি খোদ জিয়াও। দলে তাঁর সুযোগ হতে যাচ্ছে মূলত পেসার রুবেল হোসেনের চোটের কারণেই। সতীর্থের দুঃখজনক বিদায়টাই বেশি করে পোড়াচ্ছে তাঁকে। বৃহস্পতিবার হংকংয়ের বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের ম্যাচে ক্যাচ নিতে গিয়ে হাতে আঘাত পান রুবেল।
শুরুতে অবশ্য ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ না খেলতে পেরে খারাপই লেগেছিল জিয়ার। তবে একে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছিলেন তিনি। ফরহাদ রেজাকে নিয়ে তাঁকে কেন বাদ দেওয়া হলো, এমন সমালোচনা-বিতর্ক বেশ কদিন ধরেই ভাসছিল বাতাসে। জিয়া অবশ্য নিজেই বলছেন, এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই, ‘স্কোয়াড যখন ঘোষণা করা হয়, তখন ভালো পারফর্ম করতে পারিনি বলেই দলে সুযোগ পাইনি। ওই সময়টায় ফরহাদ রেজা ভালো করেছিল বলেই সুযোগ পেয়েছে। সে দলে খেলার যোগ্যতা রাখে। এ ব্যাপারে আমার ভেতর তেমন কোনো হতাশা কাজ করেনি। যে ভালো খেলবে, সে-ই দলে থাকবে। দুজনে ভালো করলে দুজনই থাকব। এটিই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রত্যাশা করি, যেই খেলি না কেন, দেশের হয়ে ভালো খেলব।’
নিজেকে টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ হিসেবে মানতেও নারাজ জিয়া, ‘সবকিছুর মূলে পারফরম্যান্স, সেটি যে সংস্করণেই হোক না কেন। হয়তো স্ট্রোক খেলি বলেই মানুষ ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ’’ বলে। ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে নির্দিষ্ট একটি সংস্করণের বিশেষজ্ঞ মনে করি না। তবে দলে সুযোগ পেলে ভালো খেলতে চাই—এটাই একমাত্র লক্ষ্য।
Click This Link