অনেক ছোটবেলার একটা ঘটনা। তখন আমরা গ্রামে নানাবাড়িতে থাকতাম। একদিন গ্রাম্য ছেলেপুলেদের সাথে খেলছিলাম। খেলতে খেলতে আমার ভাইয়া হটাৎ ঘোষনা দিয়ে বসল ,যে এখন সবার সামনে একটু হাগু করে দেখাতে পারবে তাকে আট-আনা পয়সা দেয়া হবে।
তখন দুপুর বেলা সময়। যা পেটে ছিল সব সকাল বেলা বের হয়ে গেছে। সবাই হতাশ হয়ে পরস্পের মুখচাওয়া চাওয়ি করতে লাগল। কিন্তু আট-আনার লোভ তো এত সহজে ছেড়ে দেয়া যায় না।সেই আমলে আট-আনা মানে অনেক কিছু। কয়েকজন বীরদর্পে আট-আনার যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ল। লাইন ধরে পারটিসিপেন্টসরা উপযুক্ত ভঙ্গিমায় বসে গেল। সেকি প্রান-পন প্রচেস্টা। তবুও কিছু বের হয় না।
আমার ভাইয়ার চোখে-মুখে কি তৃপ্তি! আমি ভাবছি ভাইয়া পয়সা দিবে কই থেকে? সময় বয়ে যায় , পারটিসিপেন্টস এর সংখ্যা এক এক করে কমে যেতে লাগল। কিন্তু অনলি ওয়ান ম্যান তার প্রচেস্টা অব্যহত রাখল। প্রায় আধা ঘন্টা ধরে অনেক সাধনা, অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার পরে সে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করল। পরিমানে অল্প হলেও বাজীতে জেতা বলে কথা। তার আনন্দ আর দেখে কে। মানুষ গোল দিয়েও মনে হয় এত আনন্দ করে না।
বিপদ টের পেয়ে আমার ভাইয়া দিল দৌড়। অলিম্পিকে সোনা জিতিয়ে আনার সেই দৌড় আর সেদিকে চেয়ে থাকা আট-আনার স্বপ্ন, আমি মুগ্ধ নয়নে দেখতে লাগলাম। বেচারা কান্না শুরু করে দিল।