বড়ই হতাভাগা আমার বাবাটি।
আমার এবং আমার বোনের বিয়েতে, আমাদের সন্তানের জন্মের মূহুর্তে, ঈদ-পরবে বা বিশেষ কোন পারিবারিক আনন্দ ভাগাভাগির মূহুর্তে আমাদের কাছে উপস্থিত থাকতে পারেনি। কারণ তিনি বিদেশে থাকতেন চাকুরীর জন্য। সবকিছুই শেয়ার করতে হতো টেলিফোনে বা ভিডিও চ্যাটিং করে। আমাদের পরিবারের সর্বশেষ আনন্দের উপাদান আমার ছোট ছেলে। তার জন্ম, তার বেড়ে উঠা, তার হাঁটা চলা, কথা বলা ইত্যাদি। স্কাইপেতে শুধু দেখেই গেছেন সব কিছু আমার বাবা। কিন্তু হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতে পারেননি।
ঠিক যে মূহুর্তে তার আদরের নাতিকে হাত দিয়ে স্পর্শ করতে যাবেন তার ঠিক কয়েক ঘন্টা আগেই আামাদের সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন। থেকে গেলেন বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দুরে।
সত্যিই, আমার বাবাটা বড়ই হতভাগা।
হতভাগা যদি নাই হবেন, তবে যে মানুষটির সব লাগেজ নিয়ে বিমান উড়াল দিলো বাংলাদেশের পথে আর ছোট একটা কাগজের ভুলের জন্য মানুষটি পরের দিনের ফ্লাইট ধরবেন বলে বাসায় ফিরে গেলেন। কিন্তু গেলেন ঠিকই কিন্তু আর ফ্লাইট ধরতে আসলেন না।
কেন?
আমি কি বলে নিজেকে বোধ দিবো? কি বলে? কোন উত্তর নাই।
........................
আমার বাবাকে নিয়ে লেখা আরেকটি পোষ্টের লিংক দিলাম আরজু পনি আপা বলার জন্য।
Click This Link