দৃশ্যপট ১:
জরুরী ভিত্তিতে আরবী থেকে ইংরেজী এবং নোটারী করার জন্য নেট থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে একজন ভাষা অনুবাদকারী এবং নোটারী পাবলিককে ফোন করেছিলাম। কাজটা আমার খুব আর্জেন্ট ছিল। আমার প্রয়োজনীতা বুঝে সে আমাকে তার মেইলে স্ক্যান করে সেই কাগজটি পাঠিয়ে দিতে বলল। তার ঘন্টা দেড়েক পরে নিজে থেকেই আমাকে ফোন করে জানালো কাজ কমপ্লিট। আমি গিয়ে রেডি করা নোটারী এটেষ্টেট সহ অনুবাদ কপিটি নিয়ে আসলাম এবং তার দাম পরিশোধ করলাম। আমি তার একেবারে অপরিচিত লোক হলেও সে আমাকে অবিশ্বাস করেনি। আমার কাজটা ঠিকই করে রেখেছে। আমি তো ইচ্ছা করলে নাও যেতে পারতাম।
দৃশ্যপট ২:
রিক্সা থেকে নেমে মানিব্যাগে দেখলাম একশত টাকার নোট। রিক্সাওয়ালার কাছে ভাঙতি নেই। ভাড়া ত্রিশ টাকা। পাশের পান-সিগারেটের দোকানে বললাম, মামা একশত টাকা ভাঙতি করে দুইটা পঞ্চাশ টাকার নোট দেওয়া যাবে? উত্তর দিলো, “ভাঙতি নাই”। অথচ আমি নিজে দেখলাম তার ড্রয়ারটি খোলা আর সেখানে পর্যাপ্ত ভাঙতি আছে। যাইহোক আমাকে ৮ টাকা দিয়ে একটা সিগারেট কিনে ৯২ টাকা ভাঙতি নিতে হলো।
পর্যবেক্ষণ: দুটো ঘটনাই একই দিনের। সময়ের পার্থক্য ১৫/২০ মিনিট। কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে আর কেউ আসেনা। আলটিমেটলি গেইনার কিন্তু তারাই যারা, মানুষের প্রয়োজনীয়তা বুঝে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যায়। আমি হলফ করে বলছি ভবিষ্যতে আবারো আমার নোটারী/অনুবাদ করা দরকার হলে (দুরত্ব সত্বেও) ঐ ভদ্রলোকের কাছে যাবো এবং অন্যকেও রেফার করবো।