আজ নির্বাচিত পোষ্ট কলামে "অবশেষে দেখা পেলাম চাইনিজ ডিমের, তাও ইফতারিতে...এইডা কিছু হইলো?" পোষ্টটির সবার মত আমারও নজর কেড়েছে। ব্যাপারটা আসলেই উদ্বেগজনক।
সেই পোষ্টে জুল ভার্নের করা একটি কমেন্ট এই পোষ্টে তুলে দিলাম জুল ভার্নের অনুরোধে। নিচে তার বক্তব্যটি রইল।
ক্যামিকেলে তৈরী ডিম নিয়ে ইতিপূর্বেও কয়েকটি পোস্ট সামুতে লক্ষ
করেছি। কিন্তু সেইসব পোস্ট দাতা নির্দিস্ট কোনো সূত্র উল্লেখ নাকরায় সেই পোস্টের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমি সন্দিহান ছিলাম-তাই সেইসব পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে অনেকের মত আমারও কোনো মন্তব্য কিম্বা কৌতূহল ছিলনা। আজ এই পোস্টে ব্লগার বন্ধু "বাউন্ডুলে রুবেল" নিজেই ক্যামিকেলের তৈরী ডিম দেখেছেন এবং প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন-যা বিশ্বাস করে আমিও স্তম্ভীত ও ভয় পেয়ে যাই। আমি আমার উদ্ববেগ প্রকাশ করেছিলাম আমার মন্তব্যে। বিষয়টা নিয়ে খুবই অস্বস্তিতে ছিলাম। কারন, ব্যাবসায়ীক কাজে আমি, আমার অফিসের কর্ম কর্তাগন প্রায়ই চায়নাতে যাই এবং অন্যসব বিদেশীদেরমত আমারও চায়নীজ খাবার নিয়ে সমস্যা কাটাতে বেশীর ভাগ সময়ই সকালের নাশ্তা হোটেল রুমেই নিজ নিজ উদ্দোগে সিদ্ধ ডিমের উপর নির্ভর করতে হয়। যার জন্য মানষিক ভাবে খুবই অস্বস্তিতে ভূগছিলাম।
আমি নিজেই দেখেছি এবং যারা চায়নাতে যাতায়ত করেন কিম্বা থাকছেন-তারা অবশ্যই জানেন-চায়নাতে ডিমের দাম বাংলাদেশের চাইতে অনেক বেশী-সেক্ষেত্রে চায়না থেকে ডিম আমদানী লাভজনক হয়না। তারপরেও চায়না থেকে ডিম আমদানী হয়কিনা-নিশ্চিত হবার জন্য আমি এখন যোগাযোগ করেছিলাম চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার (আমদানী) ড. মারুফুল ইসলাম, কমলাপুরের আইসিডি কাস্টম হাউজের কমিশনার এ কে এম নূরুজ্জামান সাহেব এবং বিমান বন্দর কাস্টমস-এর সহকারী কমিশনার শওকাত আরা খানম এর সাথে। বাংলাদেশে সকল প্রকার আমদানী বিষয়ে উল্লেখিত অফিসার ত্রয় অবশ্যই জানবেন। কাস্টমস কর্তিপক্ষের উল্লেখিত তিনজন কর্ম কর্তাই জানিয়েছেন-বাংলাদেশে চীন থেকে কোনো ডিম আমদানী করা হয়না। বাংলাদেশে ডিম আমদানী করা হয় শুধু মাত্র পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে।