কারো কাছে হাত পাততে চাইনা, নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই -- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সেল্যুট। আর সেল্যুট শুধু এ কথাটি বলার জন্য।
তবে খুশি হইনি কারণ এ কথাটি বলার আগেই যা হবার তাই হয়ে গেছে। পদ্মা সেতুর লোনের ব্যাপারে বিশ্ব ব্যাংক অপারগতা জানিয়েছে। দূর্নীতির কারণে তারা এ প্রোজক্ট থেকে সরে গেছে। তারা নাকি চিঠিতে নাম উল্লেখ করে প্রকাশ করেছে কারা কারা দূর্নীতির সাথে জড়িত।
দেশের প্রতিটি পেশাজীবি মানুষ, ছাত্রছাত্রী, কামার, মজুর সবাই নাকি রাজী হয়েছে পদ্মা সেতুর জন্য টাকা দান করবে। আবার বিভিন্ন অনলাইন-বুদ্ধিজীবি (!!) ফেসবুক, ব্লগে বলে বেড়াচ্ছে আরো কিভাবে টাকা জোগাড় করা যায়। আবার মোবাইলের প্রতিকল থেকে নাকি টাকা কেটে নেবার যোগাড় হচ্ছে। এটা কি যেমন খুশি তেমন সাজো?
এত কিছুর পরে এই মূহুর্তে পদ্মা সেতু দেশের জন্য কোন বড় বিষয় না। তার চেয়ে অনেক বড় বড় কাজ পড়ে আছে এ দেশে। এখন এটি সরকারের প্রেষ্টিজ ইস্যুর দিকে চলে যাচ্ছে। যেহেতু দূর্নীতির সব বিষয় ধরা পড়ে গেছে সেজন্য এটা নিয়ে এখন মাতামাতি করা হচ্ছে। যেমনটা করা হয়েছিল মুন্সীগঞ্জে আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের বিষয়টাতে। এই অবস্থায় পদ্মা সেতু অথবা বিমানবন্দর কোনটাই প্রয়োজন নাই। তার চেয়ে অনেক বার্নিং ইস্যু আছে।
যে দেশে বাজেটে ঘাটতি থাকে সেদেশের মানুষ সবাই মিলে টাকা পয়সা দিয়ে একটা পদ্মা সেতু করে ফেলবে এটা ভাবা অলীক। আর সেটা হবে জনগনের উপর চাপিয়ে দেয়া। বিভিন্ন দূর্নীতি আর অপশাসনে জনগন বিপর্যস্থ, এর উপরে সরকারের এধরনের একচোখা জেদের খেসারত কি জনগনকে দিতে হবে?
তাই এখন "কারো কাছে হাত পাততে চাইনা, নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই" এই টাইপের কথা শুনলে ভয় হয়।