সচারচর আমার দোয়া কখনও কবুল হয়না। জানিনা কি জন্য। কি-ইবা তার কারণ? যাইহোক, এটা নিয়ে অনেক মন খারাপ হয়েছে। এখন আর এসবের পাত্তা দেই না তাই সাধারণত কোনকিছু মনের গভীর থেকে চাই না। তবে কেন যেন, আমি চাইছিলাম, গতকালের রবীন্দ্র সরোবরের আড্ডাটা ভেস্তে যাক। মানে আড্ডাটা না হোক সেটাই চাইছিলাম।
অবশেষে এই আড্ডাটা ফ্লপ হয়েছে। এটা জানতে পেরে এখন খুব ভালো লাগছে। জানতে পারলাম কেউ-ই নাকি যায়নি। বৃষ্টিটা একেবারে সময় মত এসেছে। ঠিক বিকাল সাড়ে চারটায়। চলেছে গভীর রাত পর্যন্ত। পুরো রবীন্দ্র সরোবরে পানি থৈ থৈ করছে। কথাটা আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না, কিন্তু সকালে অফিসে আসার পথে দেখে আসলাম। হুম..... একেবারে পুরোটাই পানি।
আড্ডার পোষ্টে যে তিনজনের মোবাইল নাম্বার দেয়া হয়েছিল তারাও কেউ যায়নি। শুনেছি, তারা নাকি আগেই কয়েকজনের কাছ থেকে অগ্রীম চাঁদা ফ্লেক্সিলোড করিয়ে নিয়েছিল। ছি. ছি. কতটা ন্যাক্কারজনক কথা। এইভাবে চাঁদাবাজী?
আর এই কারণেই আড্ডাতে কেউ-ই যায়নি। এর আগে তো অনেক আড্ডা হয়েছে। কৈ আমরা কেউ তো কোনদিনও চাঁদাবাজি করিনি। মাত্র একটা আড্ডা পোষ্ট দিয়েছি আর কমপক্ষে ১০০/১৫০ ব্লগার হেসেখেলে হাজির হয়েছে।
খুব ভালো হয়েছে, রবীন্দ্র সরোবরের আড্ডাটা ফ্লপ হয়েছে, ঐ চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজীতে ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে অন্য ব্লগাররা তার সমুচিত জবার দিয়েছে।
তাই আড্ডার আয়োজনকারীদের বলছি, "সেইদিন আর নাই রে নাতি, খাবলা-খাবলি কইরা খাইতি"।