........................
আমাদের দেশে একুরিয়ামে রাখার মত অনেক মাছ পাওয়া যায়। যেমন: গোল্ডফিশ, এঞ্জেল, শার্ক, টাইগার বার্ব, ক্যাট ফিশ, ঘোষ্ট ফিশ, মলি, গাপ্পি, ফাইটার (বেট্টা), সাকার সহ আরো অনেক রকম মাছ। তবে এখানে উল্লেখিত মাছ গুলোর মধ্যে গোল্ডফিশই সবচেয়ে বেশী দেখা যায়। তাই আমরা আলোচনায় বেশীরভাগ গোল্ডফিশ নিয়েই আলোচনা করবো।
গোল্ডফিশের রয়েছে মোট ১২৫ প্রজাতি। তাই আমাদের পালন করা বেশীভাগ মাছই গোল্ডফিশ প্রজাতির। যেমন: কমেট, ওয়াকিন, জাইকিন, সাবানকিন, ওরান্ডা, ব্ল্যাক মোর, ফান্টাইল, রুইকিন, ভেইল টেইল, রানচু ইত্যাদি। কিন্তু দেহের কাঠামো হিসেবে গোল্ডফিশ দুইরকম। ডিম্বাকৃতি ও লম্বা দৈহিক গঠন হয়ে থাকে। বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত, দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার দিক দিয়ে লম্বা দৈহিক কাঠামোর গোল্ডফিশ গুলো শক্ত হয়ে থাকে।
গোল্ডফিশ শীতল (সাধারন তাপমাত্রার) পানির মাছ। তবে এরা হালকা গরম পানিতেও থাকতে পারে। কিন্তু হঠাৎ করে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার ফলে এরা মারাত্বক অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তবে শীতকালে এরা একটু ধীরগতির হয়ে যায় এবং খাবার কম খায়। তখন এরা একুরিয়ামের নীচের দিকে থাকতে পছন্দ করে। একটা গোল্ডফিশ পূর্ণজীবন প্রায় ১০ বছরের বেশীও হতে দেখা যায়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে এটা বেশীও হতে দেখা গেছে। গোল্ডফিশ খুবই শান্ত প্রকৃতির একটা মাছ। তবে একুরিয়ামে কোন নতুন মাছ আসলে কখনও কখনও কোন কোন গোল্ডফিশকে একটু উশৃংখল হতে দেখা যায়। তবে এটা খুবই কম হয়। আর যদি এমন দেখা যায় তবে ২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে এ সমস্যা দুর হয়ে যায়।
কেউ কেউ একুরিয়ামে ছোট শৈবাল বা জলজ উদ্ভিদও রাখেন। এটা আসলে ডেকোরেশনের চেয়ে অন্য জায়গায় তাৎপর্য আছে বেশী। এটা এক ধরনের নাইট্রোজেন সাইকেলের কাজ করে। মাছের বর্জ্য থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেনাস যৌগ নির্গত হয়। কার্বণ-ডাই-অক্সাইড সাধারনত বুদবুদ হিসেবে বের হয়ে যায় আর বাকীটুকু একুরিয়ামের শৈবাল দ্বারা ফটোসিনথেসিস প্রক্রিয়ায় ব্যাবহৃত হয়। নাইট্রোজেনাস যৌগ প্রথমে এমোনিয়া, এমোনিয়া থেকে নাইট্রেটে পরিনত হয়। নাইট্রেট শৈবাল দ্বারা শোষিত হয়।
চলবে.............
১ম পর্ব
Click This Link
২য় পর্ব
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১২:২৩