প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি কর্মসূচী
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মোতাবেগ বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ এবং এদের একটা বৃহত্ অংশ শিশু কিশোর, যারা পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে শিক্ষা লাভের সুযোগ হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকের শিক্ষা লাভের সুযোগ একটি মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত। তাই প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দরিদ্র, অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোরদের শিক্ষা লাভে সহায়তা পূর্বক তাদের ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধি এবং সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলে সমাজের মূলধারায় আনায়ন করার লক্ষ্যে সরকার ২০০৭-০৮ অর্থবছর হতে প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে উপবৃত্তি কর্মসূচী প্রবর্তন করেছে। এই কর্মসূচীর আওতায় বর্তমানে ফকিরহাট উপজেলাতে মোট ১৪ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পেয়ে আসছে।
বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তরের আওতাধীন জেলা ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় জেলা ও উপজেলা প্রসাশনের সহযোগীতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। তাছাড়া লক্ষ্যভূক্ত অধ্যায়ণরত প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও বেসরকারী সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহযোগীতায় এ কর্মসূচী বাস্তবায়িত।
উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলী :
১. বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
২. বয়স ৫ বত্সর বা তদূর্ধ হতে হবে।
৩. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রী হতে হবে।
৪. তালিকাভূক্ত ছাত্র-ছাত্রীকে মাসে কমপক্ষে ৫০% ক্লাসে উপস্থিত হতে হবে।
৫. তালিকাভূক্ত ছাত্র-ছাত্রীকে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।
৬. প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কার্যালয় কর্তৃক পরিচালিত জরিপে নিবন্ধনকৃত হতে হবে।
৭. এছাড়াও কোন প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রী উক্ত কর্মসূচী শুরু হবার পর নতুন ভাবে স্কুলে ভর্তি হলে উপরেল্লেখিত ৪ ও ৫ নং শর্তাবলী শিথিল যোগ্য। তবে পরবর্তীতে উল্লেখিত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
৮. বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ক্যাচমেন্ট এলাকার দরিদ্র প্রতিবন্ধী হতে হবে।
বাছাইয়ের মানদন্ড :
১. উপবৃত্তি প্রাপককে অবশ্যই বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইনের শর্তানুযায়ী প্রতিবন্ধী হতে হবে।
২. উপবৃত্তি প্রাপকের পরিবারের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় আনতে হবে (বার্ষিক মাথাপিছু আয় ৩৬০০০ টাকার উর্দ্ধে নয়)।
৩. উপবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীতার মাত্রা তীব্র-মাঝারি-মৃদু এই ক্রমধারা বিবেচনায় আনতে হবে।
৪. দরিদ্র, ভূমিহীন ও গৃহহীন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীগণ উপবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
৫. সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত প্রতিবন্ধী বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীগণ অগ্রাধিকার পাবে।
৬. স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান পরিচালিত প্রতিবন্ধী বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগণ অগ্রাধিকার পাবে।
৭. এসিডদগ্ধ, প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা অন্যকোন কারনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।
৮. এতিম/অনাথ, দুঃস্থ, আদিবাসী, বেদে, হরিজন, জেলে সম্প্রদায়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ও প্রতিবন্ধী পথশিশু শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানে অগ্রাধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে।
অযোগ্যতা :
১. প্রতিবন্ধী হবার কারণে সরকার কর্তৃক অন্যকোন ভাতা বা বৃত্তি প্রাপ্ত হলে, তবে শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত উপবৃত্তি এবং সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অন্য কোন ভাতা (যা প্রতিবন্ধীতার কারণে প্রাপ্য নহে) অযোগ্যতা হিসাবে বিবেচিত হবে না।
২. তিনি এ উপবৃত্তি গ্রহণে ইচ্ছুক হলে ১০ (১) এ বর্ণিত সুবিধা ত্যাগ করতে হবে অর্থাত্ একজন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী প্রতিবন্ধীতার কারণে একটি মাত্র সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
উপবৃত্তি বাতিল প্রক্রিয়া :
১. কোন যুক্তিসংগত কারন ব্যতীত একটানা ৩ মাস ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে উপবৃত্তি প্রাপ্তির আদেশ বাতিল করা যাবে।
২. যুক্তিসংগত কারন ব্যতীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশগ্রহন না করলে।
৩. উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্যে তালিকাভূক্তির পর ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করে অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে তার উপবৃত্তি বাতিল হবে, নতুন ভর্তিকৃত প্রতিষ্ঠানে তার নাম অন্তর্ভূক্ত করা যাবে।
প্রচার কার্যক্রম :
এ কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্যে রেডিও, টেলিভিশন, গনমাধ্যম, অফিসিয়াল সার্কুলার ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যপক প্রচার করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ/ উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের সভা এবং প্রাথমিক/মাধ্যমিক/ উচ্চ মাধ্যমিক/ মাদ্রাসা/ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সমাজসেবা কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে তাদের অবহিত করবেন। এছাড়াও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় কর্মসূচীর বহুল প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বাছাই পদ্ধতি :
• উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্যে ব্যপক প্রচারের মাধ্যমে নির্ধারিত ফরমে আবেদন আহব্বান করবেন। প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রী/অভিভাবক সমাজসেবা কর্মকর্তা বরাবরে শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্যে আবদেন করতে পারবেন।
• উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রাপ্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন। প্রস্তুতকৃত তালিকানুযায়ী সমাজসেবা কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রনকারী কর্মকর্তাগণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সহযোগীতায় উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্যতা বিবেচনায় এনে অপর একটি অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত করবেন।
• উক্ত তালিকা ও প্রাপ্ত আবেদন সমূহ বাস্তবায়ন কমিটির সভায় উপস্থাপন করতে হবে এবং বাস্তবায়ন কমিটি আবেদনপত্র সমূহ যাচাই করে চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন করবেন। অনুমোদিত চুড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ছবিসহ একটি রেজিষ্টার সংরক্ষন করতে হবে। একই সাথে একটি অপেক্ষমান তালিকা প্রনয়ন করবে।
• ১ (এক) মাসের মধ্যে সমাজসেবা কর্মকর্তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সুবিধাভোগীদের তালিকা যাচাই করবেন এবং যদি কোন উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যায় কিংবা যুক্তি সংগত কারণ ব্যতিরেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন না করে থাকে কিংবা লেখাপড়া বন্ধ করে দেয় কিংবা মৃত্যুবরণ করে তাহলে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন কমিটির সভা আহব্বান করে এ বিষয়ে তালিকা সহ একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন এবং যদি কোন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্যতার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয় তাহলে তার উপবৃত্তি প্রাপ্তির আদেশ বাতিল করে তার স্থলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে নতুন ভর্তিকৃত ঐ প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অর্ন্তভূক্ত করতে হবে। ঐ প্রতিষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী না থাকলে উপজেলার অধীন অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে সে প্রতিষ্ঠান হতে উপবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
• কোন এলাকার জন্যে নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী পাওয়া না গেলে জেলাধীন অন্য এলাকায়, যেখানে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা বেশী, জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সে এলাকায় স্থানান্তর করা হবে।
• দরিদ্র, অনগ্রসর ও পশ্চাত্পদ এলাকার (চর, পাহাড়ী, দূর্যোগ প্রবন, উপকূলীয় ও দূর্গম এলাকা) প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তর বিশেষ কোটা সংরক্ষণ করতে পারবে।
উপবৃত্তি পরিশোধ পদ্ধতি :
• উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার যৌথ সাক্ষরে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত "প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যে শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচী শিরোনামে যে কোন তফসিলি ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করবে।
• ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ সোনালী/জনতা/অগ্রণী/বিকেবি/যে কোন তফসিলি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনুকূলে ছাড় করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রণীত ব্যয় বিভাজন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় অর্থ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন/সার্বিক) /উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সংশ্লিষ্ট সমাজসেবা অফিসারের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে ন্যাস্ত করা হবে।
• শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান তার প্রতিষ্ঠানের নামে "প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যে শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচী" শিরোনামে যে কোন তফসিলি ব্যাংকে হিসাব পরিচালনা করবেন।
• উপজেলা সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের অনুকূলে ক্রসচেকের মাধ্যমে প্রাপ্য উপবৃত্তির অর্থ ন্যাস্ত করা হয়।
• শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করবেন।
• যদি কোন উপবৃত্তি গ্রহণকারী শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্তির যোগ্যতার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয় অর্থাত্ কোন যুক্তিসংগত কারন ব্যতীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশগ্রহন না করে কিংবা একটানা ৩ মাস ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে গেলে কিংবা লেখাপড়া বন্ধ করে দিলে কিংবা মৃত্যুবরণ করলে তার উপবৃত্তির আদেশ বাতিল করে তার স্থলে নতুন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী (যদি থাকে) অর্ন্তভূক্ত করা হয়।
• অক্ষমতাজনিত কারনে অথবা অন্য কোন সংগত কারনে উপবৃত্তির অর্থ গ্রহণে অসমর্থ হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক নিশ্চিত হয়ে উপবৃত্তি গ্রহনকারীর বৈধ অভিভাবক (পিতা, মাতা, ভাই, বোন)-কে উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করা যেতে পারে।
• কোন অর্থ বছরের ছাড়কৃত অর্থ পরবর্তী বছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে বিতরণ করা সম্ভব না হলে অব্যয়িত অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে জমা প্রদান করতে হবে।
উপবৃত্তি প্রদানের স্তর ও পরিমান :
অধ্যায়ণরত প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার শ্রেণী বিন্যাসে ৪ (চার) টি স্তরে বিভক্ত করে উপবৃত্তির অর্থ প্রদান করা হবে।
• প্রাথমিক স্তর (১ম শ্রেণী হতে ৫ম শ্রেণী/সমমান পর্যন্ত): এ স্তরে অধ্যায়ণরত ছাত্রছাত্রীদের মাসিক মাথাপিছু ৩০০ টাকা করে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।
• মাধ্যমিক স্তর (৬ষ্ট শ্রেণী হতে ১০ম শ্রেণী/সমমান পর্যন্ত): মাধ্যমিক স্তরে অধ্যায়ণরতদের মাসিক মাথাপিছু ৪৫০ টাকা করে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়।
• উচ্চমাধ্যমিক স্তর (একাদশ হতে দ্বাদশ শ্রেণী/সমমান পর্যন্ত): এ স্তরে অধ্যায়ণরত ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক মাথাপিছু ৬০০ টাকা করে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।
• উচ্চতর স্তর (স্নাতক হতে স্নাতকত্তর শ্রেণী/সমমান): এ স্তরে অধ্যয়ণরত ছাত্র-ছাত্রীদের মাসিক মাথাপিছু ১০০০ টাকা করে উপবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।
কর্মসূচী বাস্তবায়নে কৌশলগত দিক :
সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অধ্যয়ণরত প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে উপবৃত্তি প্রদান কর্মসূচী সুন্দর ও সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়নে জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে ষ্টিয়ারিং কমিটি রয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচী বাস্তবায়নের রয়েছে উপজেলা উপবৃত্তি বাস্তবায়ন কমিটি।
উপজেলা উপবৃত্তি বাস্তবায়ন কমিটি :
১. উপজেলা নির্বাহী অফিসার ..........................................................................সভাপতি
২. উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার .................................................. ...সদস্য
৩. উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ................................................................ সদস্য
৪. উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ................................................................. সদস্য
৫. ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ ষ্টেশন .................................................................... সদস্য
৬. নিবন্ধিত প্রনিন্ধী সংস্থাসমূহ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত তিন
(মহিলা একজন, জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের একজন প্রতিনিধি এবং স্ব-সংগঠনের একজন) ......... সদস্য
৭. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রসারে নিয়োজিত বেসরকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে থেকে
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি ............................................. সদস্য
৮. সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজার ........................................................................... সদস্য
৯. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি-উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক মনোনীত (বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ-
১ জন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়-১ জন, মাদ্রাসা-১ জন, প্রাথমিক বিদ্যালয়-১ জন) ................ ...সদস্য
১০. উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ...................................................................... সদস্য
উপজেলা উপবৃত্তি বাস্তবায়ন কমিটির কর্মপরিধি:
১. উপবৃত্তি প্রদানের জন্যে প্রার্থী নির্বাচন
২. প্রার্থীদের উপবৃত্তি প্রাপ্তি নিশ্চিত করন
৩. কর্মসূচী বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা।
৪.উপবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে যে কোন সমস্যা নিরসন।
৫. কর্মসূচী বাস্তবায়ন তদারকি, পরিদর্শণ, মূল্যায়ন, পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়।
৬. উচ্চতর কমিটির নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং উচ্চতর কমিটির নিকট সুপারিশ প্রেরণ। পদাধিকার বলে নির্বাচিত সদস্য ব্যতীত অন্যান্য সদস্যদের মেয়াদ হবে তিন বছর। উপজেলা কমিটি বছরে কমপক্ষে চারটি সভায় মিলিত হয়।
নাম নিবন্ধীকরণ ও তথ্যাবলী সংরক্ষণ :
১. সমাজসেবা অধিদপ্তরের কার্যালয় কর্তৃক পরিচালিত জরিপে অধ্যায়ণরত ছাত্র-ছাত্রীদের সনাক্ত করে একটি রেজিষ্টার লিপিবদ্ধ করে এবং একই সাথে সম্পাদিত জরিপের ফরম কার্যালয়ে সযত্নে সংরক্ষণ করে থাকে। জরিপ একটি চলমান প্রক্রিয়া বিধায় এরূপভাবে সম্পাদিত জরিপে নতুন প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের নাম উক্ত রেজিষ্টারে ধারাবাহিক ভাবে লিপিবন্ধ পূর্বক সংরক্ষণ করবে।
২. কর্মসূচী সুষ্টভাবে বাস্তবায়নের জন্যে এর অনুকূলে বরাদ্ধ ও মঞ্জুরীকৃত অর্থের হিসাব সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সমূহে ১টি কেন্দ্রীয় ক্যাশ বহিতে বরাদ্ধকৃত অর্থ লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণ করে থাকে।
৩. সকল পর্যায়ের কমিটি কর্মসূচী বাস্তবায়ন সম্পর্কিত সিদ্ধান্তবলী কার্যবিবরণী রেজিষ্টারে সংরক্ষণ করবেন
শিক্ষা প্রতিবন্ধী বৃত্তি প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী :
বেতাগা শুভদিয়া নখপুর পিলজংগ ফকিরহাট মূলঘর নলধা মৌভাগ
বাহিরদিয়া মানসা মোট
২ ২ ২ ১ ২ ২ ২ ১ ১৪
(প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্যে উপবৃত্তি মঞ্জুরীর আবেদনপত্র)
প্রথম অংশ
বরাবর,
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা
----------------------
----------------------
বিষয়ঃ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি মঞ্জুরীর আবেদন।
ছবি
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি একজন ....................... প্রতিবন্ধী ছাত্র/ছাত্রী। আমি সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্ধকৃত শিক্ষা উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য আবেদন করছি। আমার সম্পর্কিত তথ্যাদি নিম্নে প্রদত্ত হলঃ
১. নাম :
২. পিতা/স্বামীর নাম :............................................৩. মাতার নাম : ......................................................................
৪. ক. বর্তমান ঠিকানাঃ খ. স্থায়ী ঠিকানাঃ
............................. ................................
............................. ................................
............................. ................................
৫. প্রতিবন্ধীতার বিবরণ: ........................................................................................................
২. ক) জন্ম তারিখঃ .................... খ) জন্ম তারিখ অনুযায়ী বয়সঃ .......... বছর ........... মাস .........দিন
খ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামঃ ..................................................
গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানাঃ ...............................................................................................
ঘ) ভর্তির তারিখঃ .................. ঘ) অধ্যয়ণরত শ্রেণী ............ (ঙ) শাখা ........... চ) রোল নং ...............
ছ) বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজি নং ....................(নবম হতে স্নাতক পর্যায়ের জন্য)
১. অভিভাবকের নাম ......................... খ) সম্পর্কঃ ...............................................
১. পিতা ২. মাতা ৩. ভাই ৪. বোন ৫. দাদা ৬. দাদী ৭. নানা ৮. নানী ৯. চাচা ১০. চাচী ১১. মামা ১২. মামী অথবা অন্য কোন বৈধ অভিভাবক
২. অভিভাবকের আর্থ সামাজিক অবস্থাঃ ক) জমির পরিমান .............................. (একর)
খ) পেশাঃ ....................... গ) বার্ষিক আয়ঃ ...................................................
ঘ) শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ...........................................................
------------------- --------------------
অভিভাবকের স্বাক্ষর আবেদনকারীর স্বাক্ষর
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের মন্তব্যসহ স্বাক্ষর ...........................................................
ইউনিয়ন সমাজকর্মীর মন্তব্যসহ স্বাক্ষর ............................................................
ফিল্ড সুপারভাইজারের মন্তব্যসহ স্বাক্ষর .............................................................
সমাজসেবা কর্মকর্তা ও সদস্য সচিব