এই শহরের বুকে দালানের ফাঁকে বাঁকা চাঁদ
ওঠে; উঠুক না।
শহরের পার্কগুলোতে চাঁমেলী, হাসনাহেনা
ফোটে; ফুটুক না।
তাতে আমাদের কিই বা আসে যায়!
চাঁদ আর ফুল তো আমাদের ভালবাসতে বলে নি।
নির্জন জোছনা তো আমাদের ভালবাসতে শেখায় নি।
তবে কেন আমাদের ভালবাসার কথা লিখতে গেলে
চাঁদ আর জোছনা এসে বারবার হানা দেয়?
তারা কি আমাদের এই শহুরে রোমান্টিকতায় তৃতীয় পক্ষ?
তারা কি আমাদের ভালবাসায় ঈর্ষাপরায়ণ?
আমাদের ভালবাসার অস্তীত্ব কি বিলীন হয়ে যেত
যদি আকাশে না ঊঠত চাঁদ?
বাগানে না ফুটত শিউলি, জবা, কুসুমফুল?
ভোরের পাখিরা কি গান গাওয়া বন্ধ করে দিত
যদি আমরা দুজন দুজনকে না ভালবাসতাম?
আসো পরীক্ষা করেই দেখি না!
কি হয় একটা দিনের জন্য না ভালবাসলে?
একটা দিনের জন্য আমরা হই না অন্য কেউ!
আমি হয়ে যাই জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত অর্থবহ করে তোলার অপেক্ষায়
ব্রিফকেস হাতে মধ্যবয়সের কোন স্যুটেড উচ্চাভিলাসী।
তুমি হয়ে যাও জীবন উপভোগের অস্থিরতায় মাতোয়ারা কোন উদ্দাম কিশোরী।
ভালবাসা আমাদের কাছে যেন শুধুই সময়ের অপচয়।
জীবন যাপন আর উপভোগের পথে বাঁধা মাত্র।
তবে কি আমরা এই শহরের মত যান্ত্রিক হয়ে যেতাম?
বাস, ট্রাম, অর্থ আর যানজট কি থাকত আমাদের সমগ্র চেতনা জুড়ে?
চাঁদ আর পাখি কি আমাদের জন্য থাকত শুধুই বইয়ের পাতায়?
আমরা কি দেখতাম না আকাশে মেঘের আনাগোনা?
চোখ বন্ধ করে মন দিয়ে শুনতাম না বৃষ্টির রিমঝিম?
আমার বড় ভয় হয়!
কেন যেন মনে হয় এই শহর শীঘ্রই গ্রাস করবে আমাদেরকে।