somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিংকং এর কাছে ব্যাঘ্রশাবকের আত্মসমর্পন ও মুশফিকের ক্যাপ্টেনসি নিয়ে হুদাই প্যাচাল

২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুশফিক ছোটবাবু। বাচ্চা মানুষ। কিচ্ছু বোঝে না। পরথম শ্রেণী পাইয়া মাছটার্স পাস করলেও সে এখনো দুধের বাচ্চা। ভাজা মাছটা উল্টাইয়া খাওয়া তো দুরের কথা ফিডারের বোতলটাও কাইত কইরা খাইতে জানে না। জিম্বাবুয়ে সিরিজে হারার পরতো কানতে কানতে বলছিলই, "আমি আর ক্যাপ্টেন থাকবার চাই না। আমারে জ়োর কইরা ক্যাপ্টেন বানাইছে। ভ্যা ভ্যা ভ্যা........." কিন্তু বিচিবির পৌনে আধা ছটাক ঘিলুওয়ালা মুরুব্বিগন তার সেই কথায় কান দেয় নাই। তারা বলছেন, "বাবু তুমি কাইন্দো না। ছোট মানুষ তুমি। ভুল তো করবাই। আমরা বড় মানুষরাই দেখ একের পর এক ভুল করতে আছি। তুমি ভুল করলে আর কি দোষ?"
কথা সত্যি। বিসিবির মুরুব্বিরা একের পর এক ভুল করতেই আছেন। প্রথমেই তেনারা যেটা করছেন সেটা হইলো স্বাধীন বাংলার একমাত্র হিরো শাকিব খান থুক্কু সাকিব আল হাসানকে নিজের লিংগ চুলকানোর অপরাধে তিন ম্যাচ বসাইয়া রাখছেন। ফলস্বরুপ ঐ তিন ম্যাচেই বাংলাদেশের ব্যাঘ্রশাবকগন লেজ গুটাইয়া পরাজয় বরণ করিয়াছে। এছাড়াও ভুল আছে। বাংলাদেশ কুতকুত বোর্ড থুক্কু ক্রিকেট বোর্ডের পরধান নির্বাচক ভালুক আহমেদ টি টোয়েন্টি দলে জায়গা দিয়েছেন ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফিল্ডার "ডাইপার ভেজা"কে দুঃখিত "ফরহাদ রেজা"কে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফিল্ডার বলার কারন হইল উনি ব্যাটিং ও পারেন না, বোলিং ও পারেন না। তাইলে নিশ্চয়ই ফিল্ডিংটা খুব ভাল পারেন। এই জন্যই দলে জায়গা পাইছেন। তাছাড়া ভালুক সাহেব আরো একখান কাজ করছেন। তা হইল আরাফাত সানীর মত উদীয়মান স্পিনার রাইখা উনি বুড়া ভাম চাজ্জাক চাচারে দলে নিছেন। আসলে উনি নিজে একজন মুরুব্বি। চাজ্জাক চাচাও একজন মুরুব্বি। মুরুব্বি মুরুব্বিরে সম্মান করবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া কথায় আছে না পুরোনো চাউল ভাতে বাড়ে। আর হইছেও তাই। চাজ্জাক চাচা দলে আইসা ভাত আচ্ছামতো বাড়াইয়া দিছে। সত্যি কথা বলতে কি ভাত উতলাইয়া হাড়ি বাইয়া পড়তেছে। কিন্তু ভালুক সাহেবের কোন ভাবান্তর নাই।
এবার আবার মুশফিক বাবুসোনার কথায় আসি। বাবুজান ছোট মানুষ। সবসময় ভয়ের মধ্যে থাকে কেউ তারে কিছু বলল কিনা। তাই দলের মধ্যে একটা গ্রুপ বানাইয়া নিছেন যাতে তারে কেউ কিছু বললে তার গ্রুপের পোলাপাইন আইসা তারে বাচাইতে পারে। এই গ্রুপের প্রধান সদস্য বাহবাহউল্লাহ ভিয়াদ। ভিয়াদ ভাই সম্পর্কে উনার আপন ভায়রা ভাই। ভায়রা ভাইকে ছাড়া মুশফিক বাবুসোনা একটা ম্যাচও খেলবার চায় না। শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ভায়রা ভাইকে দিয়া সবগুলা ম্যাচ খেলাইছে। কিন্তু ঐ সিরিজে তিন ম্যাচে ছয় রান কইরা বাহবাহউল্লাহ ভাই বাদ পরার পর আবার এশিয়া কাপে সোহাগ গাজী ইনজুরিতে পড়ায় দলে ঢুকার পর ফর্ম না থাকা সত্বেও বাকি সবগুলা ম্যাচ খেলাইছেন। এই দলে ঢুকার পেছনেও মুশি ভাইয়ের অবদান ছিল। টি টুয়েন্টির দল নিয়া ভালুক সাহেব তালগোল পাকাইয়া ফেললেও উনার এশিয়া কাপের দলটা ঠিক ছিল। এশিয়া কাপে উনি আরাফাত সানি আর বাংলার ডাইনোসর খ্যাত জিয়াউর রহমানকে দলে নিছিলেন। কিন্তু বাদ দিছিলেন বাহবাহউল্লাহকে। বাহবাহউল্লাহ মিচকা শয়তান। উনি শুধু ব্যাটিং এভারেজ বাড়ানোর জন্য ক্রিকেট খেলেন। তার একমাত্র লক্ষ্য হইলো কোনমতে ঠেইক্কা ঠুইক্কা বিশ ত্রিশটা রান করা আর শেষ পর্যন্ত নট আউট থাকা। এ পর্যন্ত যে চুরাশিটা ওয়ানডেতে ব্যাটিং করছেন তার পচিশটাতেই কেউ ওনারে আউট করতে পারে নাই। এই ম্যাচগুলাতে উনার কোন সেঞ্চুরি নাই। ফিফটি মাত্র নয়টা। মজার ব্যাপার হইলো এই নয়টা ফিফটির সবগুলাই নট আউট আর সবগুলাতেই বাংলাদেশ পরাজিত হইয়াছে। যে প্লেয়ার ফিফটি করলেই বাংলাদেশ হারে সেই প্লেয়াররে দলে নেয়ার কারন কি বাংলার আমজনতা সেটা বোঝে না। কিন্তু যাই হোক উনারে বাদ দেওয়ায় মুশফিক ভাই প্রেস কনফারেন্সে ব্যাপক চিল্লা ফাল্লা করছিলেন। উনি বলছিলেন ওনার অনুমতি না নিয়াই নাকি দল ঘোষনা করা হইছে। এতে নাকি উনি বেজায় মনক্ষুন্ন।
এছাড়াও উনি আরো আকাম করছেন। উনি বাংলার ডাইনোসর জিয়া ভাইরে একদম দেখতে পারেন না। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পাচ ওভারে বিশ রান দিয়া এক উইকেট পাইলেও জিয়ারে উনি আর বোলিং এ আনেন নাই। অথচ উনার প্রিয় বোলার ঘুবেল হোসেনরে দিয়া ওইদিন পুরা দশ ওভার বোলিং করাইছিলেন। ঘুবেল ভাইও লাইন লেন্থ ঘুলাইয়া ঐদিন ব্যাপক মাইর খাইছিলেন। আর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে পুরা ম্যাচে উনি জিয়ারে দিয়া এক ওভারও বল করান নাই। কারন হিসেবে উনি বলছেন জিয়া নাকি অকেশনাল বোলার। তার সব ম্যাচে বল করানোর দরকার নাই। মানলাম। কিন্তু ভায়রা ভাই ভিয়াদও তো অকেশনাল বোলার। তাইলে ওনারে দিয়া ঐ ম্যাচে নয় ওভার বল করানোর দরকার কি? জিয়া ওয়ানডেতে উইকেট প্রতি যেখানে ২৯ রান খরচা করেন সেইখানে ভিয়াদ ভাইজান করেন ৪২ রান।
ভাল কথা। কিন্তু এইখানেই শেষ না। আরো আছে। মুশি খোকার আরেক প্রিয় পাত্র হইছেন নাচের হোচাইন। নাচের ভাই ইদানীং ব্যাটিং থুইয়া ক্রিকেট পিচে ভালই নৃত্যকলা দেখাইতেছেন। কিন্তু মুশি বাবুর প্রতি ম্যাচে নাচেরকে চাই-ই চাই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চাইরটা লাইফ পাইয়া নাচের ভাইজান কোনমতে টাইনা টুইনা ৪১ টা রান করছিলেন। তারপরও উনি পরের ম্যাচগুলাতেও নাচের ভাইজানকে খেলাইছেন। এবং যথারীতি নাচের ভাইজানের ক্রিকেট পিচে ব্যাটীং এর বদলে নৃত্যকলা প্রদর্শন অব্যাহত রহিয়াছে। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতি ম্যাচে রান করা নাঈম ইসলামকে উনি আর সুযোগ দেন নাই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঐ ম্যাচেও কিন্তু নাঈম ভাইজানও ৩৫ রান করছিলেন এবং তাও কোন লাইফের সাহায্য ছাড়াই।
এবার আরেকজনের কথায় আসি। মুশি ভাইয়ের আরেকজন প্রিয় খেলোয়াড় হইলো বানামুল। যদিও উনি ম্যাচের পর ম্যাচ রান বানাইতেছেন তবুও এই কথা মানতেই হবে যে উনি অধিনায়কের ব্যাপক সমর্থন পাইতেছেন। তাছাড়া উনার পক্ষে এই রান বানানো সম্ভব হইতো না। শামসুর আর ইমরুল যেখানে এক ম্যাচ খারাপ খেললেই বাদ পড়ে সেখানে বানামুল প্রতিটা ম্যাচই খেলতেছে। শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরি কইরাও ইমরুল ওয়ান্ডেতে কোন ম্যাচ খেলতে পারেন নাই। এমনকি এশিয়া কাপেও খেলছেন একটামাত্র ম্যাচ। ঐ ম্যাচেও চহিদ আফ্রিদিকে পিটাইয়া উনি ৫৯ রান করছিলেন। আর ঐ ম্যাচ হারার পর বানামুল ভাইজান বলছিলেন এমন ম্যাচ হাইরাও নাকি কোন দুঃখ নাই। কারন ঐ ম্যাচে উনি সেঞ্চুরি করছেন। দল হারছে তাতে কি হইছে? আর বাংলার তামাম জনগন যে চোখের পানি ফালাইলো সেটা উনার মোটেও গায়ে লাগে নাই।
যাই হোক অনেক কথা বলছি। এই দল যে একের পর এক ম্যাচ হারতেছে তাতে কি এদের মোটেও লজ্জা আছে? আফগানিস্তানের কাছে এশিয়া কাপে হারের পর টি টুয়েন্টিতে হংকং এর কাছেও হার। এতেও যদি লজ্জা না হয় তাহলে আমাগো মত বোকাচোদা সমর্থকগুলারই লজ্জা পাওয়া উচিত। প্রতি ম্যাচে পতাকা নিয়া গায়ে রঙ মাইখা এই দলের সমর্থনে যারা গ্যালারিতে লাফালাফি করেন আর ম্যাচ হারার পর কান্নাকাটি করেন তারা ছাড়া আর কার লজ্জা পাবার আছে?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×