(হোসাইন এম ইলিয়াস–পাঠাওয়ের সিইও)
পাঠাও প্রতিষ্ঠানটি একটি সৃজনশীল ভাবনার বহিপ্রকাশ। যেমন ভাবনা তেমন বাস্তবায়ন করেছিল ২০১৬ সালে তিন যুবক। প্রথমে ২০১৫ সালে বিনিয়োগ না থাকায় শুরু করেন বাইসাইকেলে পণ্য ডেলিভারি। বিনিয়োগ বলতে শুধু মাত্র তিনটা বাইসাইকেল ছিল। তারপর বাইকের মধ্যমে শুরু হয় তাদের ডেলিভারি। বাইক দিয়ে আর কী কী করা যায় এমন চিন্তা থেকে ২০১৬ সালে পাঠাও তাদের নতুন যাত্রা শুরু করে এবং ২০১৭ সালে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগে রাইডিং যাত্রী সেবা শুরু করেন। স্বল্পমূল্যে এবং স্বল্প সময়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাত্রী পৌঁছে দেয়াই তাদের কাজ।
পাঠাও এর নেপথ্যে সেই তিনজন যুবক নিরলসভাবে কাজ করে আজ তারা ১০০ মিলিয়ন ডলারের বাংলাদেশী টাকায় ৮২০ কোটি টাকার মালিক। তিনজন যুবকের প্রথমজন– হোসাইন এম ইলিয়াস– যিনি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। পড়াশোনা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে। দ্বিতীয়জন সিফাত আদনান, পড়াশোনা রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালে এবং তৃতীয়জন ফাহিম সালেহ। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন।
অনুপ্রেরণার উদাহরণ আজ এই তিন যুবক। নিজেদের সৃজনশীল চিন্তা থেকে বাস্তবায়নে আজ তারা ১০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। তাদের উদ্যোগে যাত্রীরা পাচ্ছেন রাইডিং সেবা আর রাইডার পাচ্ছেন তাদের তাদের কর্মক্ষেত্র। এভাবে হাজার যুবক তৈরি করে নিচ্ছে তাদের কর্মক্ষেত্র। বেকারত্ব আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। একটা সময় ছিল বাবার বখাটে ছেলেটা যখন বাইক নিয়ে ফুরফুরা হয়ে ঘুরে বেড়াত। সেও এখন পাঠাও এর মত প্লাটফর্ম বেছে নিয়ে কর্মমুখী হয়েছে। এদিকে ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮ তে পাঠাও ফুড নামে আরেকটা সেবা চালুর উদ্ভোদন করা হয়। ঘরে ঘরে দেশ-বিদেশী সুস্বাদু খাবারের স্বাদ গ্রহণের সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে শুরু হয় পাঠাও ফুডের যাত্রা যা ঘুঁচে দিচ্ছে বেকারত্ব এবং আমাদের জীবনে আনছে সহজ স্বাভাবিকতা।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮