প্রেম ছিল আসামীর মনে, কিন্তু প্রেম ছিল না তার প্রেমিকার মনে। থাকবেই বা কী করে, এমনিতেই মেয়েদের মন বোঝা বড় দায়, তার ওপর আবার সেখানে প্রেম খোঁজাটা কী চাট্টি খানি কথা। আর তাই তো, জেলখানায় বসে গাইছে গান এক প্রেমিক (অবশ্য আসামী), ‘প্রেম তুমি কী বড় তা জানতে ইচ্ছে করে...’।
ঘটনাটি হল, টানা কয়েক মাস মুঠোফোনে প্রেম। অতঃপর পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি। দিনক্ষণও ঠিক। প্রেমিকের কথামতো নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে চলে এলেন প্রেমিকা। কিন্তু বেচারা প্রেমিক তাঁর এত দিনের প্রেমিকার হাতেই হলেন গ্রেপ্তার।
অভিনব কায়দায় আসামি গ্রেপ্তারের এ ঘটনা ঘটেছে গত রোববার। আসামির নাম সুজন মিয়া (২৮)। তিনি একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি। এত দিন পলাতক ছিলেন।
কেন্দুয়া থানার পুলিশ জানায়, গত বছরের আগস্টে কেন্দুয়ার ভরাপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে হারুনুর রশীদ (২১) খুন হন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা দুলাল মিয়া বাদী হয়ে একই গ্রামের সুজন মিয়াকে প্রধান আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই থেকে সুজন পলাতক। পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। একপর্যায়ে পুলিশ সুজনের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাঁকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। প্রেমের সেই ফাঁদ পাতা ভুবনে ধরা খেয়ে সুজন এখন কারাগারে।
রোববার বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থেকে সুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) অভিরঞ্জন দেব জানান, আসামি সুজন ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। তাঁকে ধরার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। এতে কাজ না হওয়ায় অবশেষে প্রেমের ফাঁদ ফেলা হয়।
খবর: ০৪ মার্চ, দৈনিক প্রথম আলো