কিছুক্ষণ আগে টিভিতে 'banged up abroad' নামে দারুণ একটা ডকুমেন্টরি দেখলাম। আঠারো বছরের এক আমেরিকান তরুণী কিভাবে হেরোইন স্মাগলিং করতে গিয়ে বাংলাদেশে ধরা পড়ে জেল খেটেছে এটার উপর ভিত্তি করে এটি নির্মিত হয়েছে। আপনাদের সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে না পেরে তুলে দিলাম।
যেভাবে শুরু হয়েছিল; অক্টোবর ১৯৯১:
লিয়ার বয়স আঠারো। তখনো সে বাবা মার সাথেই থাকতো। বাসায় বাবা মার ঝগড়া লেগেই থাকতো। এটা দেখতে দেখতে ছোটবেলা থেকেই সে মানসিকভাবে স্যাড ছিল। তার মনে হ্যাপিনেস কখনোই ছিল না। সে বিজনেস স্কুলে পড়ার স্বপ্ন দেখত। ততদিনে তার হাই স্কুলের পাঠ শেষ। কিন্তু তার স্বপ্নে বাধ সাধে আট হাজার ডলারস এর টিউশন ফি, যখন তার পকেটে আট ডলার ও ছিল না। কিন্তু তারপরও সে তার স্বপ্নকে লালন করতে থাকে। নিজের ক্যারিয়ার গড়তে সে বাবা মার বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে। তারপর হঠাৎ একদিন তার বেষ্ট ফ্রেন্ড 'সিন্ডি' এসে তার সাথে মুভআউট করতে বললে সেও রাজী হয়ে যায়। তখন সিন্ডি খুবই ভিন্ন জীবনযাপনে অভ্যস্থ। প্রিভিলেজড জীবন। সিন্ডি একটা 'স্ট্রিপ বার' এ কাজ করতো। একদিন সে বাসায় এসে লিয়াকে একজনের সাথে সাক্ষাতের কথা বলে। যে নিজেকে এক্সপোর্টার বলে পরিচয় দিয়েছে, এবং তাকে (সিন্ডিকে) তার সাথে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে বলে লিয়াকে জানায়।
দুসপ্তাহ পর:
সিন্ডি বুলগেরিয়া থেকে ফিরে আসে। সাথে হাজার হাজার ডলারস। এতো ডলারস একসাথে দেখে লিয়া সিদ্ধান্ত নেয় সেও ডায়মন্ড এক্সপোর্ট এর কাজ করবে। তখনো সে জানতো না তাকে হেরোইন স্মাগলিং করতে হবে। তারপর তার ফ্রেন্ড সিন্ডি এসে জানায় সে পরের মিশনে যাচ্ছে। এভাবেই শুরু।
পরেরদিন তারা দুজন সে লোকের (এক্সপোর্টার) সাথে দেখা করতে যায়। লিয়াকে বাংলাদেশে যেতে হবে এমনটা বললে সে সিন্ডির দিকে থাকায়। সিন্ডি থাকে সাহস দেয়। তাকে ডায়মন্ড আনতে হবে কিনা জানতে চাইলে তখন সে লোক বলে 'ইটস নট ডায়মন্ড, ইটস হেরোইন'। এটা শুনে সে শক্ড হয়ে যায়। তারপর সিন্ডিকে জিগ্গেস করে সে কি এটাই করেছে কিনা। সিন্ডির কাছে হ্যা সূচক উত্তর পেয়ে সে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়িয়ে যায়। সে কিছুতেই হেরোইন স্মাগলিং করতে পারবে না এমনটা বললে সিন্ডি তাকে হাত ধরে বসায়, এবং অনেক্ষণ বুঝায়। লোকটা তাকে এই একটা ট্রিপ এর জন্য বিশ হাজার ডলারস দেয়ার প্রস্তাব দেয়। তারপর অনেকক্ষন কি যেন ভেবে সে রাজী হয়ে যায়। জাষ্ট ওয়ান ট্রিপ এ সে বিশ হাজার ডলার পাবে এমনটা তার চোখে ভাসে, যে এমাউন্ট ওর টিউশন ফির জন্য এনাফ। আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে যাবার পূর্বে সে আরেকবার তার ডিলার এর সাথে দেখা করে।
বাংলাদেশে গিয়ে সে হোটেল শেরাটনে উঠে। মাঝখানে একবার বাইরে থেকে ডিনার খেয়ে এসে তার সিরিয়াস রকমের ফুড পয়সনিং ও হয়েছিল।
তেরোদিন গত হয়ে যাবার পরও যে লোক তার সাথে হেরোইন নিয়ে যোগযোগ করার কথা ছিল, তার কোন খবর নেই। এদিকে তার ভিসা শেষ হয়ে যাবার মাত্র একদিন বাকি। তারপর সেদিন রাতেই বাংলাদেশের ডিলার টনির(বাংলাদেশি নয়, কৃষ্ণাঙ্গ) ফোন আসে। সকালে টনি এসে লিয়াকে জানায় সে জিনিস নিয়ে আসেনি। তবে, সে বিকেল চারটায় এসে তাকে অন্যজায়গায় নিয়ে গিয়ে এসব হস্তান্তর করবে। টনির কথাবার্তার ধরণ লিয়ার একদমই পছন্দ হয় না। কেমন জানি 'আই এ্যম অরডারিং, ইউ ডু ইট' টাইপের কথাবার্তা। টনির ওর হোটেল রুম থেকে বের হয়ে গেলে সে চলে যাবার চিন্তা করে। কিন্তু তার কাছে এতো টাকা নেই যে, সে শেরাটনের বিল পে করতে পারবে। এখন উপায় কি? এসব ভেবে ভেবে তারপর ও সে চারটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে। ওর রুমের দেয়ালে টাঙানো ঘড়ির কাটায় চারটা ছাব্বিশ। কিন্তু টনির দেখা নেই। হঠাৎ সে হোটেল থেকে পালানোর কথা চিন্তা করে। যে চিন্তা, সেই কাজ। সে কেউ দেখে ফেলার আগে সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে যায়। কিন্তু এখানে এসে সে আটকে যায়। কারণ সামনেই কাষ্টমার সার্ভিসের ডেস্ক। এটা ডিঙিয়ে বাইরে বের হবার অন্য কোন পথ নেই। এরই ফাঁকে দু তিনজন হোটেল কর্মচারি তাকে লাগেজ নিয়ে টানাটানি করতে দেখে হেল্প করতে আসে। সে কোন হেল্প লাগবে না বললে ও তারা লাগেজটা নেবার চেষ্টা করে। ওদের সাথে 'নো' 'নো' বলতে বলতে সে দেখে টনি লিফটের কাছাকাছি এসে হাজির। তারপর তার কাছে এসে 'ইউ ক্যন নট গো' বলে তার পাসপোর্ট, টিকেট কেড়ে নিয়ে হাতে হোটেলের বিল পে করতে টাকার এনভেলপ দেয়।
ততক্ষণে টনি বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। হোটেলের বিল পরিশোধ করে লিয়া বাইরে গেলে একটা ট্যাক্সিতে করে টনির রেষ্টহাউসে তাকে নিয়ে যায়। টনিকে দেখেই বুঝা যায় সে লিয়ার উপর ক্ষেপে আছে। রুমে ঢুকে একটানে লিয়ার লাগেজ খুলে। লাগেজে কিছু গোলাপ ফুল দেখে 'হোয়াট ইজ দিস' বলে টনি চেঁচিয়ে উঠে। সে ধপাধপ করে সব ফেলে দেয়। তারপর টনি চারটা হেরোইন এর প্যাকেট বের করে লিয়াকে নিয়ে টয়লেটে গিয়ে কোমর, তলপেটের সাথে প্যাকেটগুলো বেঁধে টেপ পেচাতে থাকে। লিয়া হাঁপাতে থাকলে সে 'হোয়াটস রং উইথ ইউ' বলে আবার চেঁচিয়ে উঠে।
> 'আই এ্যম স্কেয়ার্ড' লিয়া বলে।
< 'উই আর ডুয়িং দিস অল দ্যা টাইম, ডোন্ট বি স্কেয়ার্ড, জাষ্ট রিলাক্স' টনি রিপ্লাই দেয়।
ইতিমধ্যে টেপ পেচানো শেষ। লিয়াকে সে এর উপরে আরেকটা ট্রাউজার পরতে বলে। সে নিজে লিয়াকে সাথে নিয়ে জিয়া ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে যায়। এয়ারপোর্টে যতক্ষণ পর্যন্ত দেখা যায় ততক্ষণ টনি তার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।
সে চেক ইন করতে ডেস্কে গেলে ডেস্কের অফিসার 'ইউ আর লেট' বলে তার স্যুটকেস তাড়াতাড়ি স্ট্যাম্প করে দেয়। তারপর সে ফ্লাইটের উদ্দেশ্যে হাটতে থাকে। মিনিট দুয়েক হাঁটার পরে সে যা দেখে, সেটা দেখে তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। সামনে পারসন টু পারসন ফিজিক্যালি সার্চ চলছে। সে ওখানেই থেমে যায়। অনতিদূরে টয়লেট দেখে সে ঢুকে পড়ে। সে কোমর থেকে প্যাকেটগুলো খুলে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়। এতো টাইট করে বেঁধে দেয়া হয়েছিল যে, ছুরি ছাড়া হাতে এ টেপ খোলা সম্ভব নয়। খুলতে না পেরে সে কান্নাকাটি করতে থাকে। এরইমধ্যে ফ্লাইটের লাষ্ট এনাউন্সমেন্ট সে শুনতে পায়। এটা শুনে সে তাড়াতাড়ি টয়লেট থেকে বের হয়ে সার্চ পয়েন্টে চলে যায়। তখন যে মহিলা মেয়েদের ফিজিক্যালি চেক করার দায়িত্বে তিনি তখন অন্যজনকে সার্চ করতে ব্যস্ত। এ দেখে সে তাড়াতাড়ি হ্যান্ড লাগেজটা স্ক্যানার এ দিয়ে নিজে স্ক্যানার এর ব্যারিয়ার দিয়ে বের হয়ে যায়। মহিলা বের হওয়ার আগেই সে তার লাগেজটা বগলদাবা করে সামনের সিড়ির দিকে পা বাড়ায়। এক ষ্টেপ দু ষ্টেপ করে নিচের দিকে নামছে। আর মাত্র ছয়টা ষ্টেপ। তারপর শেষ। ফ্লাইটে বসে আরাম করা যাবে। আমেরিকাতে পৌছুতে পারলেই নগদ বিশ হাজার ডলারের মিশন শেষ। কিন্তু পরের ষ্টেপে পা দিতেই পেছন থেকে 'এক্সকিউজ মি ম্যাম, উই হ্যাভ সার্চ ওয়ারেন্ট, ইউ হ্যাভ টু কাম ব্যাক' বলে যে মহিলা এতক্ষণ সার্চ করছিলেন তিনি ডাক দেন। এটা শুনে সে কাঁপতে শুরু করে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। তারপর উপরে আসলে মহিলা তার কোমরে হাত দিতেই বুঝে ফেলে এখানে মাল আছে।
দ্যাটস ইট। হেরোইনসহ হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় লিয়া। সে কাঁপা কাঁপা স্বরে বলে 'আই হ্যাভ টু গো, বিকাউজ মাই ভিসা ইজ গোয়িং টু এক্সপায়ার্ড'। মহিলা বলে 'নো, নো, ইউ আর নট গোয়িং এনিহোয়ার, ইউ আর গোয়িং টু জেল এন্ড ইউ ডোন্ট নিড ভিসা টু গো দেয়ার'। তারপর মহিলা পুলিশকে ইশারা করে। পুলিশ হাতে হ্যান্ডক্যাপ পরিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে রেজিষ্টার করতে এক অফিসার এসে তাকে যা যা হয়েছিল সব লিখতে বলে। এটাকে জবানবন্দী বলে মনে হয়। লেখার সময় অফিসার তাকে বলে
> 'মিস ম্যাকর্ড, ডু ইউ রিয়েলাইজড হোয়াট ইউ আর ডুয়িং, ইউ ক্যান গেট ডেথ পেনাল্টি ফর দিস'।
> নো, নো আই ক্যান্ট গেট ডেথ পেনাল্টি ফর দিস।
< মিস ম্যাকর্ড, আই এম সেয়িং ইউ ক্যান।
এটা শুনে সে লিখবে কি তার হাত কাঁপতে শুরু করে।
ডেথ পেনাল্টি থেকে বাঁচতে সে ঘন্টার বেশি সময় নিয়ে সব লিখতে থাকে। কিভাবে শুরু। কার সাথে তার যোগাযোগ হয়েছিল। কার কার নাম্বার তার সাথে আছে ইত্যাদি। লেখা শেষ হলে তাকে কারাগারের একটা কক্ষে যেখানে আরো আট দশজনের মতো ছিল, প্রেরণ করা হয়।
সে কক্ষে ঢুকার সাথে সাথে গন্ধে দমবন্ধ হয়ে যাবার অবস্থা হয় তার। 'আই ডোন্ট বিলং হিয়ার' কাঁদতে কাঁদতে বলে। কক্ষের অন্য সব মহিলারা বড় বড় চোখ করে ভিনদেশি তরুণীর দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। এতেও কান্নাকাটি বন্ধ হয় না তার।
পরেরদিন:
একজন গার্ড তাকে বলে টনিকে তারা ধরে ফেলেছে। এখন তাকে আইডেন্টিফাই করতে হবে যে সে আসলেই ঐ মানুষটি। তারপর তাকে একটা আলাদা কক্ষে নিয়ে গেলে সে স্পষ্টচোখে টনিকে দেখতে পায়।
সাথে সাথে সে বলে
> ইয়েস দিস ইজ দ্যা ম্যান হু গেভ ইট টু মি।
< অফিসার, আই ডোন্ট নো হার, সি ইজ লায়িং' বলে অপরপাশ থেকে টনি চিল্লাতে থাকে।
> ইউ ফোর্স মি টু ডু দিস। লিয়া বলে।
এভাবে বেশ কিছুক্ষণ দুজনের মাঝে তর্কাতর্কি ও হয়। তারপর তাকে আবার আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর টানা পাঁচদিন তাকে জিগ্গাসাবাদ করা হয়। ইতিমধ্যে তার নামে একটা কেস দাড় করানো হয়।
পরেরদিন তাকে সেন্ট্রাল জেল এ পাঠিয়ে দেয়া হয়। যেখানে ঢুকতে ঢুকতে সে আরো অনেক আসামিকে দেখে।
সেন্ট্রাল জেল এ গিয়ে তার কারাজীবন শুরু হয়। পৃথিবীর এক প্রান্তের তরুণী অন্য প্রান্তের এক জেলে বন্দী। ফ্যামিলির সাথে যোগাযোগ নেই তার। শুধুমাত্র আমেরিকান এ্যম্বাসির এক অফিসার এসে মাসে একবার দেখা করে যেতো। প্রথমদিন অফিসারকে দেখে খুব খুশি হয়ে জিগ্গেস করে
> হোয়েন আই এ্যম গেটিং আউট অফ হেয়ার?
< 'দেয়ার ইজ নাথিং উই ক্যান ডু, এপার্ট ফ্রম দ্যাট উই ক্যান আস্ক দি অথরিটি নট টু আ্যবিউজ ইউ', অফিসার বলে।
একমাত্র ভরসা নিজের দেশের মানুষের মুখে একথা শুনে তার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। সে মনে মনে সুইসাইড করার কথাও চিন্তা করে।
এদিকে হ্যাবিচুয়াল ড্রাগস স্মাগলার না হওয়ায় জজ তাকে ডেথ পেনাল্টি থেকে খারিজ করে দেয়। কিন্তু তিরিশ বছরের সেন্টেন্সড দেয়। কারাগারে তার অন্যজীবন শুরু হয়। এখানেও সে যদি একটু হেল্প পাওয়া যায় সে আশায় অন্য সবার সাথে খুব ঘনিষ্টতা করে। সেখানে এক স্কুল মাষ্টার ছিল যার কাছে সে বাংলা শেখা শুরু করে। অন্য সবার কাছ থেকে সে বাংলাদেশের ধর্ম, সংস্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানে। সে আমেরিকার অনেক কিছু ও তাদের জানায়। এভাবে তার কারাজীবন চলে যাচ্ছে।
৪ ঠা জুলাই ১৯৯৬ তারিখে সে শাস্তি কমানোর আপিল করলে আদালত সেটা প্রত্যাখ্যান করে। আগষ্টের মাঝামাঝি সময়ের কোন একদিন আমেরিকা থেকে তার নামে কংগ্রেসম্যান বিল রিচার্ডসন তাকে একটা পোষ্টকার্ড পাঠায়। যেখানে সে তাকে সাহায্য করবে এমন আশ্বাস দেয়। কিন্তু লিয়া এটা পড়ে মোটেও খুশি হয় না। সে খুব একটা পাত্তা দেয় না। কারণ এতোদিন পর্যন্ত আমেরিকান সরকার তাকে ছাড়িয়ে নিতে মাথা ঘামায় নি। এখন আর কি এমন করবে। সে এই পোষ্টকার্ডে কোন আশার আলো দেখতে চায় না। এদিকে কংগ্রেসম্যান তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার পক্ষে বাংলাদেশের তৎকালিন প্রেসিডেন্ট এর কাছে আবেদন করে।
অতপর ১৯৯৬ এর জুলাইয়ের আঠাশ তারিখে আদালত তার সাজা মওকুপ করে। এটা শুনে প্রথমে তার বিশ্বাস হয় না।
তারপরের দিন সকালে তার রিলিজ নোট আসে। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর জেল থেকে মুক্ত হয়। বের হবার সময় অন্যরা সবাই তাকে খুব ইমোশনাল হয়ে ফেয়ারওয়েল জানায়। বাংলাদেশের জেল থেকে মুক্ত হয়ে সে চলে যায় তার নিজের দেশে আমেরিকার টেক্সাসে। কারাভোগের পর লিয়া জীবনকে নতুনভাবে দেখতে শুরু করে। সে তার স্পষ্ট চোখে পৃথিবীর রং দেখে।
২০০১, জুনে লিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েট হয়ে বের হয়। তারপর অনেকদিন 'নাসা'র সাথে কাজ করে। এখন সে ইষ্ট কোষ্টে বসবাস করছে।
(এই ডকুমেন্টরিটা হলিউড ম্যুভিকে ও হার মানায়। পৃথিবীর কোন দেশে কারাভোগের পর কেউ শেষটা এমন করতে পেরেছে কিনা আমার জানা নেই। এটার ফুটনোট হিসেবে একটা কথা বলতে ইচ্ছে করছে। সেটা হলো ' দেয়ার ইজ অলওয়েজ এ হোপ ফর আওয়ার লাইফ, দেয়ার ইজ নাথিং কলড লেট, লাইফ গিভস আস সেকেন্ড চান্স এন্ড উই শোড টেক ইট, ইউটিলাইজড ইট। )
যাদের ডকুমেন্টরিটা দেখার লোভ হচ্ছে এইখানে ক্লিক করুন।
লিয়া ম্যাকর্ড সম্পর্কে জানতে এইখানে ক্লিক করুন।