এক প্রগতিশীল। খ্যাতি পাচ্ছিলো না।ছিলো এ নিয়ে দুশ্চিন্তায়। খ্যাতি না হলে তো প্রগতিশীল হওয়ার মানেই হয় না!!
তার সমস্যা সামাধানে এগিয়ে এলেন এক বুদ্ধিজীবী। বললেন "খ্যাতি নিয়ে এতো ভাবার কী? এ তো সহজ বিষয়।"
"কেমনে সহজ?" ভক্ত জানতে চাইলো।
বুদ্ধিজীবি কানে কানে বাতলে দিলেন ফর্মুলা।
"আগামীকাল দুপুর যখন মাথার উপর,তখন প্রেসক্লাবের সামনে যেয়ো।ভিড়ের সামনে হঠাৎ রবীন্দ্রসংগীত পাঠ করে শ্লোগান দিয়ো "জয়,মুক্তবুদ্ধি "
তারপর এক টানে নিজের কাপড় খুলে একদম দিগম্বর হয়ে পল্টনের দিকে দিয়ো দৌঁড়। পরের দিন সকল পত্রিকা তোমাকে নিয়ে হাইপ্রোফাইল নিউজ ছাপবে।
টকশোয় প্রশ্ন উঠবে এমনটি কেন ঘটলো? আমরা বলবো এটা সাংস্কৃতিক অচলাবস্থার বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্মের বিদ্রোহ।কুসংস্কার ও প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে নতুন ধারার প্রতিবাদ।প্রতিবাদকারী তরুণপ্রজন্মের সাংস্কৃতিক মুক্তির মহানায়ক।
সেই প্রগতিশীল পরের দিন থেকে হয়ে গেলো টক অব দি কান্ট্রি।তবে তাকে বলা হতো ন্যাংটা নায়ক।
দুই।
পরে টক অব দি কান্ট্রি হতে ন্যাংটো না হয়ে কী করা যায়,এ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়।আবিষ্কৃত হয় দারুণ এক তরিকা।ইসলামকে আঘাত করো।আযান,মসজিদ,কুরআনকে গালি দাও।রাতারাতি "বিশেষ কিছু" বনা যাবে।
এ পদ্ধতিতে অনেকেই বিশেষ কিছু হয়েছে।বিদেশেও বাজার জমিয়েছে। অতএব এ পদ্ধতির পরীক্ষা অনেক হয়েছে,আরো হবে।
তিন।
কোন এক নারীসাংবাদিক গতকাল এ পদ্ধতি অবলম্বন করে খেলা জমিয়েছেন বেশ! তার খ্যাতিমান হবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন শত শত ইসলামপ্রেমী ফেসবুকার।গতকাল ডগ স্কোয়াডের নয়া কুকুরটি যার চেয়ে বেশি বিখ্যাত ছিলো,এক রাতেই তাকে তারা করে তুলেছেন প্রধান আলোচ্যবিষয়।
চার।
বন্ধুগণ!মনে রাখবেন ওরা প্রায়ই বিয়ার,ভদকা,বাংলামদ টানে।অনুষ্ঠান-পার্টির সময় আলাদা উত্তেজনা কাজ করে।খ্যাতির কামনা তখন আরো বেশি লাফিয়ে উঠে!
কোথাকার কোন এক বকবাজ সাংবাদিক আযানের বিরুদ্ধে বললে আযান থামবে না।এ সাধ্য তাদের তো নেই,কোনো পরাশক্তিরও হয়নি।
ওরা এটা জানে।কিন্তু বলে।কারণ বললেই শিরোনাম হওয়া যায়,খ্যাতি পাওয়া যায়, জাতিয় ইস্যু হওয়া যায়।
ওকে উপেক্ষা করুন।ওর তসলিমা হবার অভিপ্রায়ে মাটি ঢেলে ফেলুন।
নেতিবাদী অবস্থান থেকে ওর দাবিকে আলোচনায় নিয়ে এলে ও এবং ওর বক্তব্য কিছুটা গুরুত্ব পাবে মাত্র
ধন্যবাদ মুসা আল হাফিজ ভাইকে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩