মৌলবিরা পুরাই আনকালচার্ড । মাকে নিয়া একটা দিবস পালন করবো এখনেও দুষ খুঁজে।মাদরাসার চিপায় আর মসজিদে পরে থাকতে থাকতে এরা পুরা আনকালচার্ড , ব্যাকডেটেড আর খ্যাঁতে পরিণত হয়েছে ।মিলাদ দাওয়াত আর ওয়াজ ছাড়া এদের কোন কাজ নাই । বুযলাম ভালবাসা দিবস খারাপ , থার্টি ফাস্ট খারাপ, পহেলা বৈশাখ খারাপ কিন্তু মা দিবসে তো খারাপ কিছু নাই ।ভাইরে আমাদের নবী বলেছেন মায়ের পদতলে সন্তানের বেহেশত, সেই মাকে নিয়ে একটা দিবস পালন করব এখানেও সমস্যা । আরে ভাই এত খুঁত ধরলে কি চলে ? সব জাগায় ফতুয়াবাজি করা ঠিক না । আমরাও তো কিছু জানি নাকি ?
ভাইরে আপনার কথা সবি ঠিক । আসল সমস্যা হল আপনারা কিছু জানেন আর মৌলবিরা সবি জানে ।আপনারা এই কিছু জানেন বইলাই ফতুয়াবাজি করেন । আপনারে মা দিবস পালন করতে মানা কে করছে ? প্রতিদিন মা দিবস পালন করুননা । মৌলবিরা তো তাই চায় ।সারা বছর মা-বাবার খবর নাই , কি খায় কি পরে কি করে ? রুগে দুঃখে ভোগে পিপাসায় কাতর হয়ে সারা রাত্রি বসে বসে কুকায় , এই বৃদ্ধ বয়সে দু-তিনদিন আগের ফ্রিজে রাখা ঠান্ডাভাত গরম পানিতে ভিজিয়ে খায়। রাত্রে কাপড় নষ্ট করে এই ভেজা কাপরেই ভেজা তোষকে সারা রাত পরে থাকে । সারা দিনতো বকা ঝকা করতেই থাকেন । বুড়ী অমুকটা কেন করল , তমুকটা কেন করল না । অন্য ছেলেদের বাসায় থাকে না কেনো । আমাকেই কেন সব ঝামেলা পোহাতে হয় । আর যদি আরেকটু স্মার্ট আর পয়সা ওয়ালা হন তাহলে তো কথাই নাই । মা তুমি গ্রামেই থাক , শহরে এডজাস্ট করতে পারবেনা, তুমি থাকলে বৌয়ের সমস্যা হয় , বাচ্চারা গ্রম্য ভাষা-কালচার শিখে ফেলবে, আমিতো দুই ঈদে আসিই , মা দেখনা একটা লোক পাওয়া যায় কিনা তুমার সাথে থাকবে । আল্লাহ্ না করুন আপনি যদি আরো বেশী স্মার্ট আর বৌয়ের ছাগল হোন তাহলেতো কথাই নেই বাবা-মার সহায় সম্পত্বি কব্জা করে সুজা পাঠিয়েদেন বৃদ্ধাশ্রমে । আপনাদের জন্য একটা দিবসতো লাগবেই । ৩৬৪ দিন যাই হোক এই একদিন অন্তত দুইটা ফুল এক বক্স চকলেট নিয়ে মার কাছে হাজির হয়ে দায়িত্ব পালন করলেন ।
একজন মুসলমানকে ,একজন মানুষকে ইহকাল ও পরকালে সফল হতে হলে অবশ্যই অবশ্যই পিতা-মাতার যথাযথ সন্মান,স্নেহ-ভালবাসা ও ব্যাবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে । ঠিক আপনাকে যেভাবে আগলে রেখেছেন তেমনি ভাবেই তাকেও আগলে রাখতে হবে ।৩৬৫ দিনের প্রতিটা মুহুর্তকেই বিশ্ব মা দিবসে পরিণত করতে হবে । যদি পারেন তবেই মার পদতলের বেহেশত আপনার জন্য ।