বাড়ি রক্ষা আন্দোলন হইল, কিন্তু রক্ষা হয় নাই।
বিদেশে পাচার করা টাকা রক্ষা আন্দোলন হইল, কিন্তু রক্ষা হয় নাই।
রাজাকারদের মুক্তির দাবী জানানো হইল, কিন্তু মুক্তি হয় নাই।
রাজাকারদের রক্ষা আন্ধোলন হইল, কিন্তু রক্ষার কোন লক্ষন নাই।
যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হইল, কিন্তু ধোপে টেকে নাই।
বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক মান নিয়ে প্রশন তোলা হইল, কিন্ত আন্তর্জাতিক মহল নিজেরাই সমর্থন দিল বিচারের পক্ষে।
বৌদ্ধদের উপরে হামলা চালানো হইল, বিদেশে প্রচার চালানো হইল সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ; কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো।
হিন্দুদের উপরে হামলা চালানো হইল, বিদেশে প্রচার চালানো হইল সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ; কিন্তু এক্ষেত্রেও ফল হলো উল্টো।
বিচার প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্ন রাখার অভিপ্রায়ে জনগন রাস্তায় নেমে এলো, জনস্রোতকে ভয় পেয়ে প্রাথমিক সমর্থন দিল। কিন্ত জামাতের চাপে আবার আগের অবস্থানে ফিরে গেল।
একের পর এক রায় হতে থাকায় রাজাকার রক্ষায় দেশে আস্তিক-নাস্তিক বিতর্কের জন্ম দেয়া হল।
বিচারের পক্ষের জনগনকে নাস্তিক বলে গালাগালি করা শুরু হল।
হেফাজত নামের নতুন করে জামাত রক্ষাকারীদের মাঠে নামানো হইল। পূর্ণ সমর্থন দিয়ে ১৩ দফা ঘোষনা করিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু হল।
জনমতের চাপে আবার হেফাজতকে অস্বীকার করা হলো, কিন্তু গোপন সম্পর্ক-আতাঁত চলল।
৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হলো, পরেরদিন হেফাজতিদের ঢাকায় আনা হলো।
হেফাজতিদের অবস্থান করানো হলো, ১৩ দফা মানার জন্য তীব্র চাপ দেয়া হল।
সারাদিন জ্বালাও পোড়াও ভাংচুর হামলা চালানো হলো, দোষ দেয়া হল সরকারকে।
ঢাকাবাসীকে হেফাজতের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়া হলো, ঢাকাবাসী দুরের কথা দলের নেতাকর্মীরাও মাঠে নামেনি।
সরকার বাধ্য হয়ে মতিঝিল খালি করেছে। এরমধ্য দিয়ে তাদের আল্টিমেটাম এবং হেফাজতি ১৩ দফার মৃত্যু হয়।
মধ্যরাতে হেফাজতিদের মতিঝিল থেকে উঠিয়ে দেয়া নিয়ে এখন করছে মাতম..............
এভাবেই তারা সত্যের বিপরীতে মিথ্যা এবং থিসিসের বিপরীতে এন্টি-থিসিস দাঁড় করিয়ে রাজনীতি করে আসছে ১৯৭৫ সালের পর থেকে।