যেখানে সারা বিশ্ব ক্ষুদ্রঋণের জনক হিসেবে সুদখোর ইউনুসকে জানি সেখানে বাংলাদেশ চায় রবিন্দ্রনাথকে জনক হিসেবে দেখাতে।আমরা আর কত নিজেদের গলায় নিজেরাই ছুরি চালাবো!!!!!!!!!!!!!
ধিক আমার বাংলাদেশের গনতন্ত্রকে
ধিক রাজনীতিবীদ নামের নরপশুদের...
সাহিত্যের জগতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবিস্মরণীয় অবদান ভোলার কোনো উপায় নেই। লাখ লাখ মানুষ, বিশেষ করে বাঙালিরা এখনও যে কোনো কিছু পরিমাপের জন্য রবীন্দ্রনাথকে আদর্শ হিসেবে ধরে থাকেন। তবে এবার তাকে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে দেখছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রবীন্দ্রনাথের জীবনের স্বল্প-পরিচিত দিকটি থেকে তাকে ধরা হচ্ছে ক্ষুদ্রঋণের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প কঠিন একটা সময় পার করেছে, যার জের ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়েও রদবদল হয়েছে। নরওয়ের একটি ফান্ডের অপব্যবহার করায় দেশের শীর্ষ ক্ষুদ্রঋণদাতা নোবেলজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের একটি আদালত গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার নিয়ে মন্তব্য করায় এ ব্যাপারে আইনি হস্তক্ষেপও হয়েছে।
ভারতের অর্থনীতি বিষয়ক পত্রিকা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বলেছেন, “আমাদের ক্ষুদ্রঋণ খাতে কোনো সমস্যা নেই। ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ ব্যাংক ভালো করছে। কৃষি ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংকের মতো যেসব ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেসবে আমরা এখন রবীন্দ্রনাথের আইডিয়া প্রয়োগ করার চেষ্টা করছি।”
প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন যে রবীন্দ্রনাথ, তিনি ১৯০৫ সালে নওগাঁ জেলার পাতিসর গ্রামে কালিগ্রাম কৃষি ব্যাংক চালু করেছিলেন। ধারণা করা হয়, তিনি নোবেল পুরস্কারের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকাও ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে বিনিয়োগ করেছিলেন।
আতিউর রহমান এ ব্যাপারে বলেন, “রবীন্দ্রনাথ এক্ষেত্রে অগ্রদূত। তার এ উদ্যোগের গুরুত্ব বোঝার পর আমি নিজে তার ব্যাংকিং আইডিয়াকে আমাদের সিস্টেমে প্রয়োগ করার কাজ করছি। যদি অর্থনীতি ভাষায় বলি, একজন কৃষককে কিভাবে অবকাঠামোর অংশ করা যায়, রবীন্দ্রনাথের উদ্যোগটি তার আদর্শ উদাহরণ।”
রবীন্দ্রনাথকে অনুসরণ করে কৃষি ব্যাংক ও গ্রামীণ ব্যাংক ইতোমধ্যে কৃষকদের জন্য নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
রবীন্দ্রনাথের ব্যাংকের সবচেয়ে বড় গুণ ছিল, প্রায় ৬০০ গ্রামে তার ব্যাংক আমানত মুক্ত ঋণ দিয়েছিলেন। অথচ গ্রামীণ ব্যাংক উচ্চ সুদের হারের বিনিময়ে ঋণ দিয়ে থাকে।
তিনি প্রতি গ্রাম থেকে তিন জনকে বাছাই করতেন, যাদের মধ্যে একজন প্রধান হতো। তারা পুরো গ্রামে টাকা বিতরণ করতেন। গভর্নরের মতে, আজকের যুগেও তার এসব আইডিয়া অনুসরণ করার মতো।
(বাংলানিউজ)