ঃ হ্যালো রমি?
ঃ সন্দেহ নেই, কিন্তু আপনি?
ঃ আমি এলীন।
ঃ আপনাকে তো ঠিক চিনতে.....
ঃ প্লীজ রমি, ইয়ার্কি করবেনা।
ঃ কি আশ্চর্য, আপনি আমার নাম ধরে ডাকছেন! মিস্টোরিয়াস মনে হচ্ছে!
ঃ রমি, প্লীজ।
ঃ গলাটা কেমন চেনা চেনা লাগছে!
ঃ আমি ফোন রেখে দিচ্ছি।
ঃ তাইতো বলি, এবার চিনেছি। তুমি এলীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। ক্লাসের সব থেকে অনন্যা মেয়ে। সাহিত্যচর্চায় অসাধারন কৃতিত্বের অধিকারিনী।
ঃ রমি, ফাজলাম বন্ধ কর। কথাটা জরুরী।
ঃ আচ্ছা বলো কি খবর?
ঃ কাল সারাদিন ঘুরব, ক্লাস করবোনা।
ঃএই তোমার জরুরী কথা!
ঃ হুঁ।
ঃ আমিতো ভাবলাম তুমি হয়তো গৃহবন্দী। আমাকে বীরের বেশে এসে উদ্ধার করতে হবে তোমাকে।
ঃ নাহ্ মশাই, সে সময় এখনও আসেনি। মনটা একদম ভালো নেই। কাল ক্যাম্পাসে নবনীতাকে ফয়সাল কিভাবে অপমান করলো দেখেছো! ধর্মীয় গোঁড়ামি, জাতিভেদ প্রথা কবে মানুষের মন থেকে দূর হবে বলতে পার!
ঃ আমারও খুব খারাপ লাগলো। ধর্মতো মানুষেরই প্রয়োজনে সৃষ্ট আাদি শিল্প। শিল্পকে ভালোবাসা আর তার প্রতি অন্ধ বিশ্বাস-দুটো ব্যাপারই ভিন্ন।
ঃ থাক ওসব কথা, তুমি কাল আসছ তো?
ঃ না এসে উপায় আছে? তুমি বললে আমি মধ্যরাতের নীরবতা ভেঙে ছুটে আসতে পারি।
ঃ থাক, মধ্যরাতের নীরবতা ভাঙার দরকার নেই, কাক ডাকা প্রহরে আসলেই চলবে।
ঃ ভোরে ওঠাটাই তো একটা সমস্যা।
ঃ কানের কাছে অ্যালাম ওয়াচ নিয়ে ঘুমাবে। ঠিক আটটা। কলাভবন।
ঃ আটটা! মানে সময়টা আর একটু বাড়ানো যায়না? এই ধরো এগারটা। তুমিতো জানই সকালে ঘুম থেকে উঠতে না পারাটা বাঙালীর একটা জাতীয় সমস্যা যার সমাধানটা খুব জটিল। তাছাড়া অত সকালে আমরা করবটা কি?
ঃ হাটবো।
ঃ হাটবো! মানে অতঃপর হিমু আর হিমি রাস্তায় রাস্তায় হাটিয়া বেড়াইতে লাগিলো?
ঃ ঠিক আটটা। কলাভবন। মনে থাকবে?
ঃ থাকবে বাবা থাকবে।
ঃ রাখছি তাহলে, শুভরাত্রী।
ঃ শুভরাত্রী।
চলবে.....