স্ত্রীকে পেটানোর দায়ে বৃহস্পতিবার সংগীত শিল্পী আরেফিন রুমির জামিন খারিজ করে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার স্ত্রীর করা মামলায় ঢাকা চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
স্ত্রীর করা মামলায় রুমি জামিনে ছিলেন। পরে স্ত্রী জামিন বাতিলের আবেদন করলে বৃহস্পতিবার আদালত জামিন বাতিলের আবেদন আমলে নিয়ে কারাগারে পাঠায় রুমিকে।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে একই মামলায় আরেফিন রুমি একদিন জেলে থাকার পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন।
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও মতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় ১২ অক্টোবর রুমিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাতে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছিলেন রুমি বলে অভিযোগ করেন প্রথম স্ত্রী অনন্যা। মাঝেমধ্যে তিনি কোনো কারণ ছাড়াই স্ত্রীকে পিটিয়ে বাসা থেকে বের করে দিতেন। এ ছাড়া প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই আরেকটি বিয়ে করেন তিনি। এর প্রতিবাদ করায় গত বছরে অনন্যাকে বেধড়ক পেটান রুমি। এসব অভিযোগে অনন্যা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মোহাম্মদপুর থানায় রুমির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০১২ সালের অক্টোবরে নিউইয়র্কপ্রবাসী কামরুন নেসার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেন রুমি। নিউইয়র্ক থেকে ওই বছরের ২৪ অক্টোবর রাতে ঢাকায় আসেন কামরুন নেসা। ওই রাতেই রাজধানীর পুরান ঢাকার গুলবদন দরবার শরিফে (রুমির দাদার বাড়ি) দ্বিতীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন রুমি। বিয়ের অনুষ্ঠানে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা, মা, বড় ভাইসহ উভয় পরিবারের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের পর দুই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তোলা ছবি ফেসবুকে দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন এই শিল্পী। রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যার ঘরে আরিয়ান নামের একটি ছেলে রয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেসার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান রুমি। সেখানে তিনি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজনে ফ্লোরিডার একটি অনুষ্ঠানে হিন্দি গান গাওয়ার জন্য সমালোচিত হন রুমি। এরপর উপস্থিত বাঙালি দর্শকদের কাছে ক্ষমা চান তিনি।
সুত্র :: ঢাকাটাইমস