SSC তে এবার যখন প্রায় ৮৪ হাজার ৫ পাইল তখন কিছু বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি নাই । কেননা A+ পাইছি শুনতে যেমন মধুর লাগে তেমনি যে পায় তার বলতেও আরও মধুরও লাগে । জীবনের প্রথম স্টেজে এমন সাফল্য সত্যিই মনোবলকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুন । SSC পর HSC তেও A+ পাইছি । এটাও আগের মত মধুর লাগে, যারা বাস্তবতা একটু কম বোঝে তাদের শুনাতেও ভাল লাগে । তবে সমস্যাটা হল এটা সাময়িক ।
৬২ হাজার ৫ মানেই বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটে নাই । আমি তো বলব যদি ৫ বছর পর শুনি ১০ লাখ পরিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ লাখ A+ পাইছে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না ।
সমস্যা যা আছে তাই থাকবে । ইঞ্জিনিয়ারিং সিট সব মিলে ২৫০০, মেডিকেলে ২৫০০, ঢাকা ভার্সিটি ৫০০০ আর অন্যান্য ভার্সিটি মিলে প্রায় ২৫০০০ সিট ।
ভাল মানের কোথায় চান্স পাইছি এ কথাটা বলতে তোমাকে দেশের সেরা ১০০০০ ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে থাকতে হবে । আর কোন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি এ কথাটি বলতে তোমাকে থাকতে হবে বাকী ২৫০০০ ছাত্র/ছাত্রীর মধ্যে একজন ।
মাথায় যেন থাকে সাড়ে ৯ লাখ ছাত্র/ছাত্রীকে পেছনে ফেলতে হবে এ যোগ্যতা অর্জন করতে । আর সাথে পূর্বের বছরের ৫ লাখ পরিক্ষার্থী চান্স না পেয়ে তো মুখিয়ে আছে এবার চান্স পাওয়ার জন্য ।
করনীয়:
১।রেজাল্ট ভাল হোক খারাপ হোক এখন থেকে সারাদিন-রাত পড়তে হবে যখক্ষন না পর্যন্ত ভাল কোথায় চান্স হয় ।
২।দুনিয়া উল্টালেও পড়ার টেবিল থেকে উঠা যাবে না ।
৩।মোবাইল কিংবা ফেসবুক বলিয়া কিছু দুনিয়াতে আছে একথা ভূলে যেতে হবে ।
৪।বন্ধু-বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ না রাখাই ভাল ।
৫।মাথার মধ্যে থেকে পারিবারিক থেকে সামাজিক কোন চিন্তা-ভাবনা আনা যাবে না ।
মোটকথা অসামাজিক প্রানি হয়ে দিনরাত পড়তে হবে ।
আর যাদের খারাপ রেজাল্ট তারা এ ২ মাস কাজে লাগিয়ে অনেক ভাল কিছু করতে পারে যদি মনোবল না হারিয়ে জীবনের শেষ চেস্টা হিসাবে কাজে লাগানোর সর্বাত্ত্বক চেস্টা করে ।
রেজাল্ট যাই হোক এই সময়কে সবার কাজে লাগানো উচিত ।
সর্বশেষ যে কথাটি বলব আমি SSC কিংবা HSC তে কোনটায় জিপিএ ৫ পাই নাই অথচ সরকারী একটা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ তৈরী করতে সমর্থ হয়ছি ।
চেস্টা আর ইচ্ছা থাকলে এখনও অনেক কিছু করা সম্ভব ।