অনেক দিন হল কিছু লিখি না । পরিক্ষা চলছে তাই লেখারও কোন ইচ্ছেও ছিল না । হঠাৎ করে ফেসবুকে চোখে পরল আজ নাকি মা দিবস । তাই মনে হলে আমার মাকে যে আমি ভালবাসি না তা নিয়ে লেখা উচিত ।
কি ঘাবরে গেলেন মাকে ভালবাসি না বলে ।
আসলে আমি মাকে শুধু ভালবাসি না । তিনি তো ভালবাসার উর্দ্ধে । সেইখানে শুধু একটা সাদামাটা শব্দ ভালবাসি দ্বারা মায়ের ভালবাসাকে কি তুলনা করা যায় । মা মা মা সারাদিন ডাকি তাকে কিন্তু শরীরে কখনও শিহরন জাগে না কিন্তু এখন জাগছে । কারন তাকে যে আমি কতটুকু ভালবাসি তা এই লেখনির সময় অনুভব করছি । যদি কোনদিন আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও তার সামান্য কোন উপকারে আসতে পারি তবেই এ জীবন সার্থক হবে ।
আজও মনে পড়ে ছোটবেলার কত কথা । আজ কোন এক ভর্তা দিয়ে ভাত । আর তৈরকারি রান্না করেন নি । মার একটু শরীর খারাপ হয়ত মাথা ব্যাথা । তাই এই রান্না । আমি রাগ করে বলতাম মা আমি এসব দিয়ে ভাত খাব না । আমাকে পিয়াজ ভাজি করে দাও নয়লে ভাত খাব না । তিনি ঐ অসুস্থ শরীরে পিয়াজ ভাজতেন আমার জন্য । আবার কোন রাতে ভাত না খেয়ে ঘুমায় গেছি মার কি ডাকাডাকি উঠ ভাত খেয়ে ঘুমা । আমার অনেক যেদ । এটা খাব না, ওটা করব না, এটা এনে দাও, মা ই সব পুরনের চেস্টা করতেন । বাবাকে রাজি করাতেন দাও না কিনে । ছেলেটা তো তেমন কিছু চায় না । আজকেও একটু আগে জিঞ্জাস করলেন ডিম পোচ করব নাকি পিয়াজ মরিচ দিয়ে ভাজবো নাকি সেদ্দ করব । আমার জ্বর হলে সারাদিন আমাকে নিয়ে পরে থাকে । কোন কিছু দরকার হলে মার কাছ থেকে যেদ করে নেই । টাকা-পয়সা চাইলে বলে এমাসে তো ১০০ টাকা নিলি আর কত পকেট খরচ লাগে । পরে আবার ৫০ টাকা দিয়ে বলতেন তোর বাপকে বলিস না আবার তিনি শুনলে রাগ করবেন । কত অন্যায় আবদার মা পূরন করতেন । ধূর চোখে পানি এসে গেল ।
এখন অনেক বড় হয়ছি । এখনও ইনকাম করি না । অনার্সে পরছি । তবে এখন সব বুঝি । কোনটায় মার কষ্ট হবে কোনটায় হবে না তা বুঝে কাজ করার চেস্টা করি । এখন আর যেদ করে বলি না এখন এটা দিয়ে খাব না ওটা করে দাও ।
মাকে কোনদিন বলা হয়নি তোমাকে কত ভালবাসি । হয়তো কোনদিন বলাও হবে না তবে আমার কাজের মাধ্যমে তোমাকে বোঝাব মা আমি শুধু তোমাকে সাধারন একটা শব্দের মত ভালবাসি না, আমার ভালবাসা প্রকাশের শব্দ এখনও পৃথিবীতে আসে নি ।