সকালে ঘুম থেকে উঠি এখন। কাউকে ডাকতেও হয় না। এমনিই ঘুম ভেংগে যায়।নিজের বিছানায় ঘুমিয়ে যে মজাটা পাইতাম সেটা মনে হয় এখন আর পাই না।চার মাসেও অভ্যেস হল না? হেহঃ কি যে হবে তোর, মা বলেন।
শুক্রবার অফিস।দারুন উত্তেজিত হয়ে থাকি এইজন্যে।শুক্রবার অফিস করতে হবে, রেগুলার।কোন ছুটি নাই। দুপুরে অবশ্যি ম্যানেজারের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে জুম্মা পড়তে যাই।৯ কিমি দূরে নেয়ারেস্ট মসজিদ।
সো ইউ আর গোয়িং টু য়োর চার্চ?
ইয়েস মি:চান্দানা, কলগের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বরুবার মুখে অফিসের মক্ষিরাণী, লান্চে যাচ্ছে, দেইখাই মাথা নষ্ট,কিছু কইবার যামু কি চান্দানা উল্লুকটা লাফ দিয়ে এগিয়ে গিয়ে সিস্টেম করতেসে।বাহঃ, অবশ্যি মেয়েরা কোনকালেই আমাকে পাত্তা দেয় না খুব একটা।যারা দেয় তাদের আবার আমি দিই না,হেহে।
বাসে সীট নাই, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বসে থাকা রমণীদের খাঁজে চোখ বুলাতে বুলাতে গন্তব্যে পৌঁছে যাই।
শাফেয়ী মসজিদে হাতে গোনা কয়জনা হানাফী নামাজ পড়ে। এইখানে সবাই শাফেয়ী। একটু ডিফরেন্ট এদের নামাজের স্টাইল, চিৎকার করে আমিন বলে, ত্রাহি মধুসূদন চিৎকার, এখন অভ্যেস হয়ে গেছে।
নামাজের পর ছুটে বেরিয়ে যাই হোটেল এ হীট বুক করতে, অনেক নামাজী এখন খেতে আসবে, আঘে না গেলে জায়গা পাওয়া যাবে না, অফিসে পৌঁছুতে দেরী হবে।
কি খাব? বুরিয়ানী। বিরিয়ানী না কিন্তু, এরা বলে বুরিয়ানী।
খেতে বেশ! এইখানে মুরগী রান্নাটা জঘন্য হয়। তাও বুরিয়ানীর সাথে ভালই লাগে। খাওয়া শেষ।ঘুম চোখে আবারো বাসে দাঁড়িয়ে অফিস ফেরত।
অফিসে এসে কাজ ফাঁকি দিয়ে ব্লগে লেখা হিহি
নতুন কতকিছুই না করছি। সময়ের সাথে পুরোনো সব ফিকে হয়ে আসছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:১৬