প্রবাস জীবনের চার মাস পূর্তি হল।
ভালই কাটছে দিন এইখানে, প্রথমে কয়দিন সমস্যা হলেও একাকীত্ব ছাড়া বাকী সব সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে।
জীবন এখানে অফিসকেন্দ্রিক। সকালে অফিসে আসি, বিকেলে ফেরত যাই, কোনোরকমে একা সন্ধ্যাটা পার করতে পারলেই রাতের খাওয়ার সময়।
মানিয়ে নিয়েছি এখন। আর কষ্ট হয় না, দেশকে মিস করি প্রতি মুহূর্তে, ঢাকাকে মিস করি, প্রিয় ঢাকা। কবে যে তোমাদের কাছে ফিরে আসবো?
সকালের বাসের ভীড়, গাদাগাদি করে ঘন্টাভর দাঁড়িয়ে থেকে কাপড়ের ইস্ত্রির চোদ্দটা বাজিয়ে অফিস, অফিসে পৌঁছে শহরটার গুষ্টি উদ্ধার করা।
দুপুরে রাস্তায় নেমে খাবার হোটেল এর বিস্বাদ খাবারের গুষ্টি উদ্ধার। তারপর আয়েশ করে সিগারেটের ধোঁয়ায় আলস্যের সাতকাহন, বিকেলের পড়ন্ত রোদে (গরমে জান শ্যাষ) রাস্তার ভীড়, চিৎকার, গাড়ী, রিক্সার কোলাহলে অস্থির মন, কখন বাসায় যাবো?
সন্ধ্যায় ক্লান্ত শরীরটাকে টেনে হিঁচড়ে বাসে তুলে একটু নিশ্চিন্তে বাসায় প্রত্যাগমন, 'ধুৎ !!! আজকেও দেরী হয়ে গেল।'
'একদিনও কি একটু আগে আসতে পার না?', প্রশ্নের জবাবে আবারো শহরের গুষ্টি উদ্ধার। এই শহরে মানুষ থাকে? ব্লা ব্লা ব্লা........
অথচ এই চারমাসে আমার জীবনের স্মৃতিগুলো হাতড়ালে শুধুই ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে চলে যাই
শহরের কথা উঠলে একটা জনসমুদ্র, চলে আসে
রাস্তা মানে অবারিত নদী,
গণ মানুষের জোয়ার ভাটার টানে,ব্যস্ততা আর
ঘরে ফেরা নিয়ে যদি,
গান লেখা হয় গানের শরীরে শহরের ছবি ভাসে
শহর বলতে মনে হয় ঢাকাকেই বুঝি , শত শত অভিসম্পাতের পরও তুমি আমার প্রিয়। তোমাতে খুঁজে পাই নিজের অস্তিত্ব।
মিস ইউ ঢাকা