ভেবে ভেবে বলি কত কথা। কিন্তু আসলে কি সব কথাই ভেবে বলা? কথা গুলো ঠিক থাকে হয়ত খালি ভাবের অভাব। এক আকাশ পাগলা মানুষ আমি। খোলা_আকাশ দেখে সময় কাটাই।আকাশ নীল। কারন নীলই আকাশের দুঃখ টাকে বুঝিয়ে দেয় বোধ হয়। শ্রাবণের ফুলে আঙিনা ভরে থাকে আমার। সেই ফুল শুকিয়ে যায় আঙিনাতেই।কুড়িয়ে ঘরে তোলা হয়না। ঘাসফুল গুলোও ফোটে, আবার শুকায়। যেন আমার অবহেলা কোন ব্যপারই না তাদের কাছে। তারা অপরাজিতা।
মাঝে মাঝে ভাবি যদি ২টি সোনালীডানা থাকতো আমার! তবে চলে যেতাম কোন আঁধারের অপ্সরীর কাছে। নয়ত কোন ভোরের তারা'র কাছে। কোন এক শ্রাবণসন্ধ্যায় সাদা কালো ধুসর স্বপ্ন বুনতাম। দূরন্ত স্বপ্নচারী হয়ে উদাসী স্বপ্ন বুনতাম মেঘদূত'কে নিয়ে কোন এক মেঘ জমা রাতে। কিংবা আমাবশ্যার চাঁদ হয়ে জ্বলতাম কারও আকাশে। নয়ত পল্লীবাউল হয়ে চলে যেতাম মনপুরায়। কিংবা চোরকাঁটা হয়ে বিধতাম কোন কলসি কাঁখে খালি পায়ে হেঁটে চলা গ্রাম্য বধুর পায়ে।
কিছুই হোলনা। জীবনের জ্যামিতিতে বৃত্তবন্দী হয়ে কাটলো জীবনটা। অন্ধ দাঁড়কাকের মত খালি তৃষ্ণার্ত চোখে চেয়ে আছি অনন্ত দিগন্তের দিকে। চোখের লোনা জল গুলো আজ শ্রাবণ ধারা, নির্ভয় নির্ঝর! কি কোরবো, কি কোরবো না কিছুই বুঝতে পারিনা। কখনও কখনও নষ্ট মাথার দুষ্টু বালিকা'দের মত ছলছলিয়ে ওঠে মনটা। আবার জটিল সব চিন্তা ভাবনায় মনটা আমার উধাও ভাবুক হয়ে যায়!
কখনও কখনও সত্যাশ্রয়ী মনটা স্মৃতির নীল দর্পণে দেখে নিজের চেহারাটা। কোথাও কি কোন দাগ আছে?!!! দূর্ভাষী কিছু স্মৃতি নিয়ে গান বাঁধি। গাইতে ভাল লাগে তাই!! অসম্ভব এক মাদকতা পেয়ে বসে মাঝে মাঝে আমাকে! শ্রাবণ সন্ধ্যা'য় ভাবতে থাকি অজানা এক পথিক এর কথা। পাথুরে অন্ধকারে নিশ্চুপ নীরবতা গ্রাস করে তখন আমায়!
কত অনাচার দেখে যে কতবার শিউরে উঠি!! চারিদিকে খালি ভাঙ্গন আর ভাঙ্গন। মাঝে মাঝে চিৎকার করে বলে উঠতে ইচ্ছে করে একলব্যের পূনর্জন্ম হোক। এই জন্মে তাকে আর গুরুর কথায় আঙ্গুল কাঁটতে হবে না, এই জন্মের গুরুরা শিষ্যার কাছে বিদ্যা দানের বিনিময়ে তার শরীর চাইতেও দ্বিধাবোধ করেনা।
আর পারিনা। কবে আসবে সেই দিন? যেদিন দিনমজুরের কাছেও করার মত কোন অভিযোগ থাকবে না! জন্ম নেবে কোন নুতন রাজা রাজা মশাই কিংবা মহারাজা, কিংবা কোন কালপুরুষ অথবা শান্তির দেবদূত যে লিখবে দিন বদলের কাব্য অথবা নীল কাব্য!!!!! জ্বলবে অগ্নিশিখা, ঝলসে যাবে সব অনাচার সেই স্ফুলিঙ্গে! ধ্বংস হবে সব নরকের পাপী!! সুনীল সমুদ্রে ভাসিয়ে দিব তাদের বিষাক্ত অস্থি। পুরাতন সব গ্লানী গুলো ভাসিয়ে নিয়ে যাবে কোন এক নীল নির্ঝরিনী। হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বাঁশির সুরে ঘুম ভাঙ্গাবে সব ঘুমন্ত পথিকের।
আমরা অন্যরকম সেই স্বপ্ন জয়ের আশাতেই থাকলাম!