রোহিঙ্গা আশ্রয়ন ও সমস্যার বেড়াজালে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আশ্রয় দেয়া নেয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। কিছু লোক আশ্রয় দিচ্ছে না কেন সেজন্য সমালোচনা করেছে এখন কিছু লোক আশ্রয় দিচ্ছে কেন সেজন্য সমালোচনা করছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে বেশীরভাগ লোকই সমালোচনা করতে জানে সমাধানের কথা বলতে জানে খুব কম মানুষ। বুঝদার লোকেরা কিন্তু সঠিক কথাটাই বলছে। তাদের বক্তব্য পরিষ্কার যে, রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবেনা কখনো আনেনি। যা হয়েছে আমাদের জন্য খারাপ হয়েছে। যেহেতু কোনোভাবে ঠেকানো যাচ্ছে না। আশ্রয় দেয়া ছাড়া কোনো পথ নেই। আর আশ্রয় দেয়ার পর তারা যেন সঠিকভাবে থাকতে পারে সেজন্য তাদের ন্যুনতম থাকা খাওয়া যদি সাহায্য রিলিফ বা বিদেশী সাহায্যের ব্যবস্থা না করলে আরো বেশী সমস্যা হবে।
আশ্রয় ও সাহায্য দেয়ার পরও আমাদের সচেতন থাকতে হবে কি কি সমস্যা রোহিঙ্গাদের দ্বারা সৃষ্টি হতে পারে। যদিও আমাদের বেশীরভাগ লোকেরই ইয়াবায় যুব সমাজ ধ্বংস হলে টেনশান নেই। টেনশান রোহিঙ্গার মাধ্যমে ইয়াবা আসলে। বার্মিজ পন্য দেশ চেয়ে গিয়ে কোটি কোটি টাকা মিয়ানমারে চলে গেলে টেনশন নেই। টেনশন হলে রোহিঙ্গারা খেয়ে ফেলছে বলে। তারপরও যেসব জটিল সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি আমরা সেগুলো আলোচনা করা যাক।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি:
রোহিঙ্গারা কত খাবে কত নিবে সেটা মূল প্রশ্ন নয়। ৫/৭ লাখ লোক এসে গেছে এই খবরে মতলববাজ ব্যবসায়ীরা পন্যের দাম বাড়িয়ে দেবে। আর না বিপদে পড়বে দেশের গরিব মানুষ ও উখিয়া টেকনাফের সাধারণ মানুষ।
মানসিক সমস্যা:
চোখের সামনে নিজের বাপ-ভাইকে জবাই করতে দেখেছে। মা-বোনকে হত্যা করতে দেখেছে। এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের মানসিক বৈকল্য, অবসাদ এবং অনুভূতিহীনতা দেখা দিতে পারে। তাদের ঘটনা শুনে ও ছবি দেখে কিছু মানুষের মধ্যে ভিতি জন্ম নিবে মানুষের প্রতি কেউবা বিশ্বাস হারাবে। কেউবা অনুভূতি হারাবে অপরের দু:খী দু:খী হওয়ার। এমনকি কেউ কেউ নিজে পাষাণ হয়ে যেতে পারে। এই যুক্তিতে যে, রাখাইন বৌদ্ধরা যেখানে এভাবে ফুটবল হাডুডু খেলার মতো করে মানুষ খুন করতে পারে সেখানে আমার অণ্যায়তো তেমন বেশী কিছু না।
সামাজিক অপরাধ
যে সমস্যাটি আগেও হয়েছে। অভাবের তাড়নায় রোহিঙ্গারা চুরি চামারী করে। ১২ হাজার রোহিঙ্গা যখন ছিলো তখনো মাসে ২/১টা ঘটনা ঘটতো। ৫ লাখ রোহিঙ্গা থাকার পর প্রতিদিন ১টা করে চুরি কিংবা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এধরনের পরিস্থিতি থেকে এসে এধরনের পরিবেশে থেকে দৈনিক একটা অপরাধ হয়তো বেশী নয়। বাংলাদেশে যেখানে ১ লাখ লোক আছে সেখানে দৈনিক একটা অপরাধ হচ্ছে। কিন্তু কথা হলো অন্য দেশের লোকদের অপরাধ আমরা মেনে নেব কেন? মেনে নেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। তারা আইনের আওতার আসবে। তাদেরকে কাউন্সেলিং করারও প্রয়োজন হবে। বা তাদের ব্যাপারটা অন্যায় হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে শাস্তি ভোগের পর তারা ছাড় পাবে। কিন্তু যারা চোরাচালান ও ডাকাতির সাথে জড়িত ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। তাদের দ্বারাতো দেশ সমাজ ও এলাকা আক্রান্ত হতে পারে। মানছি তাদের সংখ্যা ২/৪ জন কিন্তু অপরাধির সংখ্যা যত কম হোক যে যখন অপরাধ করতে শুরু করে তখন তা বেড়ে যায়। এজন্য কথিন রোহিঙ্গা হাকিম ডাকাতসহ সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে না হয় পুশবেক করতে হবে। সবচেয়ে বড়ো কথা স্থানীয় জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেস হবে।
পরিবেশ ও পর্যটন
ইতোমধ্যে রোহিঙ্গারা বন ও পাহাড় উজাড় করে সেখানে অস্থায়ী বসতি নির্মাণ শুরু করেছে। ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। রাস্তার পাশে রয়েছে বস্তিগুলো। সাহায্যের আশায় প্রতিদিন রাস্তায় দাড়িয়ে থাকে মানুষ এতে করে যান চলাচল বিগ্নিত হচ্ছে। রোহিঙ্গারা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে সেটা ঠেকানোর জন্য পর্যটক গাড়িতে তল্লাসি চলছে। এবং রোহিঙ্গাদের কারণেই পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও জাহাজ চলাচলের সম্ভাবনা নেই। ফলে একরকম না খেয়ে মরতে হবে সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসীদের।
বিভেদ ও বিভক্তি
রোহিঙ্গারা ভালো নেই ফলে তাদের মধ্যে একধরনের মানসিকতা কাজ করবে। তাদের আশ্রয়ের কারণে স্থানীয় মানুষদের ক্ষতি হচ্ছে তাদের মধ্যে আরেক ধরনের মানসিকতা কাজ করবে। মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চুরি চেচড়ামি হবে। সেগুলো আবার ফলাও করে প্রচার করবে কেউ কেউ। এতে করে স্থানীয় জনগনের সাথে তাদের একটা বিভেদ বিভক্তি তৈরী হবে। আরেকটা কারনে সেটা হয়ে চলেছে সেটা হলো স্থানীয় দালালরা রোহিঙ্গাদের দিয়ে বিভিন্নন ব্যবসায় করে চলেছে। একশ টাকার পন্য তিনহাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে। ৩ লাখ কায়াট কিনছে ২ হাজার টাকায়। ৮টি গরুর দাম সাত হাজার টাকা। ফলে বাংলাদেশের মানুষের আশ্রয় এবং সাহায্যের কারণে যেমন তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে অন্যদিকে প্রতারিত হয়ে কেউ কেউ ক্ষোভও প্রকাশ করছে।
আবার বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে কিছু বিভেদ বিভক্তি তৈরী হচ্ছে। যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের পক্ষে কিংবা সাহায্য করছে। তারা তাদের মতের বিরোধীদের নিয়ে ভাবছেনা। কিন্তু যারা আশ্রয় ও সাহায্যের বিরোধীতা করছে। তাদের বিরোধীতা মত প্রকাশ এটা তাদের সঠিক অবস্থান এটা ভুল নয়। তারা যে নোংরামীটা করছে সেটা হলো ‘‘ মানবতামারানী’’ গালি দিচ্ছে তাদেরকে যারা ত্রান দিচ্ছে। তাদের যুক্তি এতে দেশ ও দেশের পর্যটনখাত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
তাই বলতে হচ্ছে আজ রোহিঙ্গাদের কারণেই এইসব প্রতিক্রিয়াশীল লোক যারা নিজেরা জীবনে কখনো দেশের জন্য কোনো কাজে নামেনি তারা দেশের কল্যাণের জন্য নিজ দেশের মানুষদের সাথে বৈরিতা শুরু করেছে। এমনকি তারা যে সমস্যার কথা বলছে সেটা সমাধানের জন্যও তাদের কোনো উদ্যোগ বা পরামর্শ নেই। এরা আসলে এক ধরনের পরশ্রীকাতর অন্যদের ভালো কাজ দেখলে তাদের গা জ্বালা করে। কিন্তু হয়তো রোহিঙ্গারা না আসলে আমাদের নিজেদের মধ্যেও এই বিভক্তি হতো না।
সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব:
একটি স্বাধীন দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা সেদেশের সার্বভৌমত্বের অংশ। রোহিঙ্গা আশ্রয়ন এর কারণে সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। এখানে সমস্যাগুলো নিন্মরুপ।
• রোহিঙ্গাদের কারণে সীমান্ত একরকম উন্মুক্ত হয়ে গেছে। মিয়ানমারের বিমান প্রবেশ এবং সীমান্তবাহিনীর গুলি চলছে।
• রোহিঙ্গাদের সাথে ছদ্মবেশে আসছে মিয়ানমার সরকারের গুপ্তচর।
• সাধারণ নারী পুরুষদের সাথে যদি ২/৪ জন স্বাধীনতাকামী সশসব্ত্র যোদ্ধা প্রবেশ করে তারা যদি আমাদের দেশে কোনো দল গঠন করে সেটা ২বা ৪জনের হলেও তাও আমাদের জন্য তা চিন্তার বিষয় হবে।
ভৌগলিক রাজনীতি কূটনীতি ও বৈদেশিক বানিজ্য
ভৌগলিক রাজনীতিতে ইতোমধ্যে সমস্যা দেখো দিয়েছে। মুসলিম বিদ্বষী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সাথে হাত মিলিয়েছে। ইসরাইল মিয়ানমারকে অস্ত্র দিচ্ছে। আর চীন ও রাশিয়া নিয়মিত উস্কানী দিচ্ছে। ফলে আমরাও এর মধ্যে পড়ে গেছি। আর মিয়ানমোরের সাথে আমাদের ভবিষ্যত বানিজ্য সম্ভাবনা ক্রমশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যদিও মিয়ানমারের সাথে আমাদের যে বানিজ্য হয় তাতে আমরা লাভবানতো হয়নি বরং ক্ষতিগ্রস্থ হই। কারণ মিয়ানমার থেকে আসা আচার আর জুতা লুঙ্গি না হলে আমাদের দেশের মানুষ না খেয়ে মরবেনা। মিয়ানমার থেকে গরু এনে আমাদের কোরবানি দিতে হয় ঠিকই। আমাদের কোরবানী না দিলে হয়তো চলবে কিন্তু আমাদের দেশে গরু বিক্রি না করলে স্থানীয় চাষীরা বিপদে পড়বে। চাল আমদানীর ক্ষেত্রে আমাদের বিকল্প রয়েছে। আর ইয়াবার মাধ্যমে আমদের যুব সমাজকে তারা কিভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে সেটা বলার দারকার নেই। তাছাড়া এখানে সবচেয়ে বেশী জড়িত আমাদের দেশের লোকেরাই।
ভবিষ্যত সমস্যা
ভবিষ্যতে অনেক সমস্যা দেখা দিবে। কারণ যারা এসেছে তাদের বেশীরভাগই নারী ও শিশু। নারীরা অভাবের তাড়নায় এবং দালালদের প্রতারণায় বেশ্যাবৃত্তিতে জড়িয়ে যেতে পারে। শিশুরা জড়াতে পারে নানা অপরাধে। অন্যদিকে হাজার ত্রিশেক গর্ভবতী নারী রয়েছে। তাদের সন্তান এদেশে ভূমিষ্ট হলে তারা আমাদের দেশের নাগিরকত্ব চাইতে পারে।
আর যদি তারা ২০ বছর মানে এক জেনারেশন থাকতে পারে তাহলে তারা ওই এলাকাকে নিজের দেশ হিসেবে চাইতে পারে। এমন সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায়না। যদিও গত ৩০০ বছরে কক্সবাজারে বসতি স্থাপন করা বেশীরভাগ লোকই মিয়ানমার থেকে আসা। এসব লোকেরা শান্তিপ্রিয় অতিথি ও ধর্মপরায়ন কিন্তু তারা ভূমি এবং কমিউনিটি পেয়েছে। রিফিউজি নয়। কিন্তু যারা অবহেলিত তারা সেখানে ফেল করে এখানে এসে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে।
অনেকে আশংকা করছেন কক্সবাজারের স্থাণীয় মানুষদের পরিণতি হবে আজকের ফিলিস্তিনের মতো। এধরনেরর উদাহরণ আমাদের দেশেও আছে। আমরা ভুলে গেলে চলবেনা। আজকের চাকমা ও পাহাড়ী উপজাতিরা ৪শ বছর আগে চীন মঙ্গোলিয়া থেকে বিতাড়িত ও যুদ্ধে পরাজিত হয়ে আমাদের দেশে এসে বসতি স্থাপন করেছে। আজ তারা নিজেদের দাবী করছে আদিবাসী আর আমাদের বলেছে সেটেলার। এমনকি তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাধীনতা দাবী করছে। আবার কিছুকাল যেহেতু চট্টগ্রামও আরাকান রাজ্যের অধীনে ছিলো তাই স্বাধীন আরাকানের দাবীর সাথে তারা এদেশকেও সম্পৃক্ত করতে পারে।
এটা সত্যযে বেশীরভাগ আরাকানী তাদের ভাগ্যকে মিয়ানমারের সাথে জুড়ে নিতে চেয়েছে বড়জোর তারা একটা সেফজোন চেয়েছে। আর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংখ্যা হয়তো ২ হাজার কিংবা ২শ। ২০ হাজারও হতে পারে। কিন্তু ২০ হাজার হওয়ার জন্য যে আর্থিক ও আস্ত্রিক সাহায্য দরকার তা তাদের নেই।
এখন আগামী ১০ বা ২০ বছর পর। যদি ২০০ বিচ্ছিন্নতাবাদী এইদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে থেকে তৈরী হয়। তাহলে স্থানীয় মানুষের ঘুম হারাম হওয়ার জন্য সেটাই যথেস্ঠ।
আবার এটাকে কেন্দ্রকরে প্রতিক্রিয়াশীল ও সাম্প্রদায়িক গোষ্টি তৎপর হবে। যেমন একদিক মুসলিম দেশীয় জঙ্গিরা তাদের সাথে যোগ দেবে। অন্যদিকে বৌদ্ধ, হিন্দু, নাস্তিকরা এবং কমিউনিষ্টদের একটা অংশ এটা নিয়ে দেশে বিভক্তি সৃস্টি করবে। এখনো মৌলবাদী মুসলিমরা যেমন বিভিন্ন রিউমার ছড়াচ্ছে তেমনি ফেসবুকে কিছু বৌদ্ধ ও মৌলবাদী হিন্দুরা ঘৃণা ছড়াচ্ছে।
ফেনীতে একটি ভোকেশনাল স্কুলে রোহিঙ্গা নিয়ে বিতর্কের জের ধরে এক মুসলিম শিক্ষককে এক বৌদ্ধ সহকর্মী হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মনে রাখতে হবে জনগোষ্ঠি যেমনি নির্যাতিত ও অধিকারবঞ্চিত তেমনি দীর্ঘদিন শিক্ষা থেকে বঞ্ছিত। বাইরের পৃথিবীও তাদের কাছে অচেনা। তাই তারা বুঝে না বুঝে নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কারণ তাদেরকে কখনো নিজেদের পাড়া থেকে বের হতে দেয়া হতো না। আর এজন্য শুধু আশ্রয় কিংবা খাদ্য নয় তাদের মানসিক কাউন্সেলিংটাও জরুরী। কারণ তারাও একধরনের মানসিক রোগেও ভুগছে। যে শিশুটি চোখের সামনে মা বাবা ভাই বোনকে হত্যা করতে দেখেছে। তার জন্য আসলে আগামী পৃথিবী কি দেবে ভাবাই মুশকিল। তবে মগ বৌদ্ধরা যতদিন সভ্য না হবে ততদিনে এই এলাকায় শান্তি মিলবেনা।
তাই রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধানকল্পে। তাদের ফিরে নেয়ার সকল আয়োজন সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ মিয়ানমার এবং জাতিসঙ্গ ত্রিপক্ষীয় কমিটি করে দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে। দ্বিপক্ষীয় কমিটির সমস্যা হলো তাদের মধ্যে একমত হওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা থাকে। কিন্তু তৃতীয় একটা পক্ষ থাকলে কাজটা সহজ হয়ে যায়।
লেখা: জাহাঙ্গীর আলম শোভন
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩১