শোভনের তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ সফরের এক বছর পূর্তি
জাহাঙ্গীর আলম শোভন
২৮ মার্চ পূর্ন হবে আমার পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ ভ্রমণের একবছর। ‘দেশদেখা’ নাম দিয়ে গত ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ট থেকে পদযাত্রা শুরু করেছিলাম। ‘দেখবো বাংলাদেশ গড়বো বাংলাদেশ’ স্লোগান ধারণ করে ২৮ মার্চ ২০১৬ টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের গোলারচরে এসে শেষ করি ২৮ তারিখ বিকেল ৫টায়। সময় তিনি লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে দেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। স্মরণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের।
এই সফরে দেশের ১৮টি জেলা পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছি। এই পথে হাজার কিলোমিটার রাস্তা হলেও পথে পথে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেখাও সামাজিক কর্মসূচীতে অংশগ্রহনের কারণে আরো দেড়শো কিলোমিটারেরও বেশী পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে। পায়ে হেঁটে দেশভ্রমণের সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ স্থানগুলোর তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করি, চলার পথে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে সেখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দেশের হয়ে কাজ করার জন্য তাদের অনুপ্রাণিত করি।
সফর শেষে পুরো বিবরনী নিয়ে বই লিখেছি। ‘দেখব বাংলাদেশ গড়ব বাংলাদেশ’’ শিরোনামে লেখা বইটি প্রকাশিত হয়েছে ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায়। সাহিত্যদেশ নামে একটি প্রকাশনা সংস্থা এটি প্রকাশ করে। প্রকাশনায় সহযোগিতা করেছে যথারীতি দেশের শীর্ষস্থানীয় ট্যুর অপারেটর tour.com.bd।
সফরে আমার মুল ব্ক্তব্য ছিলো—এই দেশটা আমাদের, আমরাই এই দেশকে গড়ব। আমরা যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্য কিছু করব। এ ছাড়া তিনি শিশু নির্যাতন বন্ধ, লোকসাহিত্য সংরক্ষণ, পরিবেশ সংরক্ষণ, গাছ লাগানো, বাল্যবিবাহ রোধ ও মাদকবিরোধী জনমত গঠনেও কথা বলেছি।
সম্প্রতি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন বিগত বছরে নিজেদের প্রশংসনীয় কাজের জন্য আলোচিত হয়েছেন এমন ৪২ জন বাংলাদেশীকে নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। দেশে বিদেশে সাড়াজাগানো কৃতিমান মানুষদের সাথে আমার মতো নগন্য মানুষের নামটাও স্থানপায়।
আগামীতে চমকপ্রদ কোনো অভিযান নিয়ে হাজির হবে। অবশ্যই সেটার একটা ঐতিহাসিক পটভূমি থাকবে থাকবে সামাজিক গুরুত্বও।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩