রাত ২.৪৬ মোবাইলের স্ক্রিনে।
ঘুমটা ভেঙ্গে গেল।
হঠাৎ ঘুম ভাঙ্গে প্রায়ই।
আবার ঘুমিয়ে যাই সাধারণত। আজকেও চেষ্টা। চলছে।।
এভাবে কতক্ষন চেষ্টা চালালাম কে জানে। বিরক্ত হয়ে মোবাইলের দিকে তাকাই।
২.৪৬ ই বাজে। একটু ঘাবড়েই যাই। সময় কি স্থির হয়ে গেল?
মোবাইলে কোন প্রবলেম নেই।
আবারো ঘুমানোর চেষ্টা করলাম।
মাথায় আসলো যে শয়তান/ অশরীরদের উৎপাত/আবির্ভাব সাধারনত তিনটার সময়ে হয়।
অনেক হরর মুভিতে দেখেছি আর গল্পে এইরকমই পড়েছি।
আমি ঢোক গিলতে শুরু করি এই কারনে যে এইসব চিন্তাগুলো আমি নিয়ন্ত্রণ করছিনা।
আমি না ভাবতে চাইলেও আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
মনের সাথে যুদ্ধ করতে করতে আবিস্কার করলাম যে বারান্দার দরজাটা খোলা!
এবার অস্বস্তি লাগতে শুরু করলো। পৌষের শীত আক্রোশে আছড়ে পড়ছে খোলা দরজায়।
অনেকক্ষন দ্বিধাদ্বন্দ শেষে উঠলাম।
দরজাটা লাগাতে গিয়ে সামনের সুপারী গাছগুলো চোখে পড়লো। খাম্বার মতো গাছগুলো তিনতলা এই বারান্দাটাকে ছুই ছুই করে।
কৌতুহলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিচে তাকালাম।
সুপারী গাছের গা ঘেষে একটা মানুষ বসে আছে। লুংগি পড়া, হাফহাতা গেঞ্জি, মুখ মাফলারে ঢাকা। শীতে কাপছে।
অস্বাভাবিক কিছুই ছিলনা। বারান্দার দরজা বন্ধ করে ফিরে আসি আপন বিছানায়।
আবারো ঘুমানোর চিন্তায় চোখ বুজি। এবার অনেকটা সার্থকভাবেই যেন ঘুমের ঘোর আসছে।
ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। আশেপাশে তাকালাম সবই ঠিকই আছে মনে হল।
কেবল মাত্র একটা ব্যাপার ছাড়া।
বারান্দার জানলায় লক্ষ্য করলাম একজন দাঁড়িয়ে আছে!
লুংগি পড়া, হাফহাতা গেঞ্জি, মুখ মাফলারে ঢাকা। শীতে কাপছে।
মনে পড়লো ভোট দিতে রুমমেটরা সবাই যে যার বাড়িতে চলে গেছে। পুরো তিনতলায় আমি একলা।
দেয়ালঘড়িতে ঘন্টার আওয়াজ হচ্ছে। এক... দুই......তিন......।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৯