কিছু দশক আগে আমার এবং আপনার কিছু আত্মীয়-স্বজনরা মিলে এক সময় এই নগরীর এর প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিচরণ করা খালগুলোকে খুন করেছে, অবৈধভাবে ভরাট করে সেখানে বিশাল বাড়ি অথবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। উনারা একবারও চিন্তা করেনি পরের প্রজন্মের কি হবে। ভাবছেন, সরকার কিছু করে না কেন? সরকার কি করবে দেড় কোটি মানুষের বাসস্থান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চিপায় চিপায় ঢুকে উপড়ে ফেলবে এই জট? শত বছরের লুট ঠিক করতে এই প্রজন্মের কত লাখকে উপড়ে ফেলবে সরকার? ঐ লুটের জায়গা ঘিরেইতো মসজিদ-মন্দির, মাজার, বাজার, স্কুল, এতিমখানা গড়ে উঠেছে। কাকে তুলবে? তুলে দিলে এদের পূনর্বাসনের সামর্থ্য কি আছে আমাদের?
আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে আরেকটি গ্রুপ আছে যারা রাস্তা-ঘাটের কাজের টেন্ডার নেয়। তারা যে কি পরিমানের সৎ কাজ করে তা বলতে গেলে শেষ করা যাবে না। অবশ্য এর সাথে যুক্ত আমাদের রাজনৈতিক দলের পোষ্য নেতা-কমর্ীরা। তাদেরকে কাজ দিতে হবে, নয়তো দল টিকবে না, আর তাদেরকে কাজ দিলে সব স্তরের সাহেবরা ১০% করে খেতে খেতে রাস্তার বালু সিমেন্ট কেনার পয়সা আর টিকে না। আবার সরকারের অদূরদর্শী ব্যবস্থাপনার কারনে একই রাস্তায় বছরে ২০ বার কোপ পড়ে; একবার ফাইবার অপটিক, তারপর সুয়ারেজ, তারপর ওয়াসা, তারপর কুয়াশা, তারপর বাতাসা, তারপর হতাশা। কোপা শামছু!
রাস্তায় কোপাকুপি চলবেই, কারন আমার আপনার সরকারি চাকরিওয়ালা আত্মীয় এবং কনট্রাক্টর স্বজনদের বড়লোক হতেই হবে, তাই না? এই অবৈধ লুটেরাদের কুকর্মের ফল এদের সন্তানরাতো ভোগ করছেই, সাথে আমরাও ভুগছি, উনাদের কর্মের খেসারত আমরা প্রতিদিন দিচ্ছি।
সকল দোষের এক ভাগ সরকারের, বাকি ৯৯ ভাগ আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের।
চলুন প্রতিজ্ঞা করি আমাদের কোনো কাজের খেসারত যেনো পরের প্রজন্মকে দিতে না হয়, যেনো আমাদের আরেক স্বজনকে দিতে না হয়। (অবশ্য হুদাই চিল্লাই, দিন শেষে যে লাউ সেই কদু!)
"আত্মীয়, তুমি সৎ হও!"
- ফখরুল আমান ফয়সাল
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫