হ্যা আমার মতো হাজারো ব্লগার কিছুটা হলেও শস্তির নি:শ্বাষ ফেলছে যে-
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০১৩ পাস করা হয়েছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন পাসকৃত বিলটি উত্থাপন করেন। এর ফলে ব্যক্তির পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত জামায়াতে ইসলামীসহ সকল সংগঠনকে বিচারের মুখোমুখি করা যাবে।
১৯৭৩ সালের অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবোনাল আইনটির বর্তমান অ্যামেন্ডমেন্ট এখন তারুণ্যের প্রাথমিক বিজয়।
তার পরেও ফাকফুকুরহীন কিন্তু নয়। বলা হয়েছে বিক্ষু্ব্দ ব্যাক্তির আপিল বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে।
এখন অপেক্ষার প্রহর, ৬০ কার্যদিবসে ফলাফল কি আসে?
শিরোনাম দিয়েছি "ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আর মায়ের বুক খালি করবেন । "
এপ্রশঙ্গে আসা যাক--
বিশ্বজিৎ হত্যাকারীরা ধরা পড়েনি। সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি। ১০ মাস অতিক্রান্ত হলেও নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর আজও সন্ধান মেলেনি। থাবা বাবা ও গেল ও-পাড়ে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন-
।''যেকোনো হত্যাকাণ্ড দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। সাগর-রুনি থেকে শুরু করে বিশ্বজিৎ দাস এবং সর্বশেষ রাজীব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। তবে এই সরকারের প্রতি আমার কোনো ভরসা নাই। কারণ সাগর-রুনির মতো চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে নানা কথার ফুলঝুরির পর এখন পর্যন্ত চার্জশিটই দিতে পারেনি তারা। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা অযোগ্য হওয়ার কারণেই একটার পর একটা হত্যাকাণ্ড ঘটছে।'
খন্দকার মোশাররফ হোসেন না হয় মানলাম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বলেছেন। কিন্তু একটু ভাবুন তো আমাদের দাবী কী এগুলো নয়।
আর্কিটেক্ট রাজিব ওরফে ব্লগার থাবা বাবা হত্যাকান্ডের পেছনে গল্পটা তো এরকমই মনে হচ্ছে---যে,
বাংলাদেশের তারুণ্যকে যাঁরা একত্রিত করার মিশন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন, তাঁদের একজনকে শুক্রবার হত্যা করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তারুণ্যের গণ-জমায়েতের শক্তি নসাৎ করতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। যারা এটা ঘটিয়েছে তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে।
কিন্তু আমরা কতটা আশাবাদী?
দেশের আইনশৃঙ্খলা যে কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, তা সরকার নিজেই জানে না। নিরাপত্তা মানুষের নাগরিক অধিকার। কিন্তু সরকার মানুষের কোনো নিরাপত্তাই দিতে পারছে না। সব কিছু নিয়ে সরকার যেন দ্বিমুখী আচরণ করছে। একদিকে তারা পুলিশ প্রহরায় জামায়াতকে রাজধানীতে মিছিল করতে দেয়। অন্যদিকে এক দিনেই কক্সবাজারে চারজনকে হত্যা করে।
যাক সে কথা,
বিশ্বজিৎ হত্যাকারীরা ধরা পড়েনি। সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি। ১০ মাস অতিক্রান্ত হলেও নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর আজও সন্ধান মেলেনি। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আর মায়ের বুক খালি করবেন না। জনগণ আর দেশে কোনো হত্যাকাণ্ড দেখতে চায় না।'
অবশেষে ট্রাইবোনাল অনুযায়ী দ্রুত বিচারকার্য সম্পাদন করবেন এই প্রত্যাশা রইলো।।।।।