দেশিয় পণ্য কিনুন, দেশের টাকা দেশে রাখুন শ্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে গত বছরের জুলাই মাসে আমি একটি ওয়ালটন প্রিমো এন মোবাইল কিনি। দাম দিলাম ১২৯৯০ টাকা। উপহার দিলাম আমার স্ত্রীকে। ওয়ালটন মোবাইল দেখে একটু নাখোস হলেও তিনি সেটিকে সাজিয়ে গুজিয়ে ( ফোনের সামনে পেছনে বিভিন্ন স্টিকার লাগিয়ে) সেটি ব্যবহার শুরু করেন। প্রথম থেকেই সেটিতে সফটওয়্যার ইন্সটলজনিত কিছু সমস্যা হত। মেমরিতে জায়গা থাকা সত্ত্বেও বলতো ইন সাফিসিয়েন্ট মেমরি। আমি আমার টেকি জ্ঞান দিয়ে যতটা সম্ভব সেগুলো সমাধান করে দিতাম। সেটটির ওয়ারেন্টি ছিল ১বছর। সে হিসাবে এবছরেরর জুলাই মাসে ওয়ারেন্টি পিরিয়ড শেষ। এর মাত্র ১ সপ্তাহ পরেই ফোনটি হঠাৎ অফ হয়ে যায়। অন্য কোথাও না দেখিয়ে ওয়ালটনের সার্ভিস সেন্টারে সেটিকে নিয়ে গেলাম। শুধুমাত্র ফোনটি জমা দিতে লাইনে দাঁড়ালাম ২ ঘণ্টা। তারপর সমস্যা বলতেই তাঁরা ফোনটি রেখে আমাকে জানালেন যে কোনো যন্ত্রাংশ লাগলে আমাকে ফোন করে দাম জানাবেন। আমি রাজি থাকলে ফোনে কাজ করবেন। (সার্ভিস সেন্টারে যে পরিমাণ ভিড় দেখেছি তাতে ওয়ালটনের পণ্য সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাই হলো।)
ফোনের অপেক্ষায় থাকলাম। এক সপ্তাহ পর আমাকে ফোনে জানানো হলো ফোনের মাদারবোর্ড নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এটা নতুন লাগাতে ৫,১০০/ টাকা লাগবে। আমি রাজি আছি কিনা!!
আমার মাথায় তখন হিসাব চলছে, ১২৯৯০ বা প্রায় ১৩০০০+৫০০০= ১৮০০০ টাকা দিলে এক বছর আগে আরো ভালো মোবাইল সেট কিনতে পারতাম!!
এরপর নষ্ট সেটটি হাতে পেতে আরো ১০ দিন।
পেলাম একটি ওয়ালটনিয় শিক্ষা!!!