একজন পুলিশ কনস্টেবল তার দায়িত্বের অংশ হিসেবে অপরাধী ধরে দেওয়া, কিংবা অপরাধ প্রতিরোধ এবং আইন রক্ষার কাজ করলে তাকে যদি কেউ কোন অর্থ প্রদান করে তবে সেটাকে ঘুষ বলা হয় যা ইসলাম এবং নৈতিকতার উভয় দৃষ্টিকোণে একটি অপরাধ বলেই পরিগণিত হয় কারণ সে সরকার থেকে তার দায়িত্বের বিপরীতে বেতন পাচ্ছে। যদিও একজন কনস্টেবলের বেতন খুবই অপর্যাপ্ত এই দুর্মূল্যের বাজার বিবেচনায়।
এবার হোটেল বা রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে সেখানকার যে-সব বেতনভুক্ত কর্মী এসব সার্ভ করে তাদেরকেও খাওয়ার সময় কিছু অর্থ দিয়ে যাওয়ার একটা চল রয়েছে যাকে টিপস নামে আখ্যায়িত করা হয়।
একজন কনস্টেবল এর মত হোটেল/রেস্তোরাঁ কর্মীও বেতনভোগী, তা যতই কম হোক না কেন। পুলিশকে যদি টাকা দেওয়া ঘুষ হয় তবে রেস্টুরেন্ট কর্মীদেরকে টাকা দেওয়া টিপস হবে কেন?
এখন বলতে পারেন যে পুলিশ চেয়ে নেয়, সেজন্য সেটা ঘুষ। আচ্ছা এমন তো রেস্টুরেন্টেও দেখি যে ওয়েটার বা যারা সার্ভের দায়িত্বে থাকে তারাও বিল দেওয়ার সময় এসে পাশে দাঁড়িয়ে থাকে এবং ভাবভঙ্গিতে কিছু অর্থ প্রত্যাশা করে, অনেকে হয়তো মুখেও বলে দেওয়ার কথা।
আচ্ছা এটা বাদই দিলাম, মুখ ফুটে কেউই চাইলো না কিন্তু তারপরেও দায়িত্ব পালন করায় রেস্তোরাঁ কর্মীরে খুশি হয়ে অর্থ প্রদান করলে সেটা কি নৈতিক? তাহলে পুলিশের দায়িত্ব পালনে কেউ খুশি হয়ে অর্থ প্রদান করলে সেটা কি নৈতিক হবে?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪০