মেয়েরা মাসিক অবস্থায় কোরআন ধরতে পারবে না। মাসিক চলাকালীন তারা অপবিত্র থাকে। প্রচলিত ভাবে হাদীস কেন্দ্রিক ইসলামে এমনটাই বিশ্বাস।
কোরআনের আয়াতের অনুবাদেও তারা এমনই করেছে
আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা أَذًى "অশুচি"। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [সুরা বাকারা - ২:২২২]
অথচ أَذًى এই শব্দটির কোরআনে অন্যান্য আয়াতে ব্যবহার ও অর্থ যদি খেয়াল করেন তাহলে পাবেন এর অর্থ হলো কষ্ট/ট্রাবল/পেইন এসব। অথচ ২:২২২ এ অশুচি বা অপবিত্র বলে তারা মেয়েদেরকে কোরআন থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।
আসুন দেখি আয়াতগুলি
যারা স্বীয় ধন সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে, এরপর ব্যয় করার পর সে অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে না এবং কষ্টও أَذًى দেয় না, তাদেরই জন্যে তাদের পালনকর্তার কাছে রয়েছে পুরস্কার এবং তাদের কোন আশংকা নেই, তারা চিন্তিতও হবে না। [সুরা বাকারা - ২:২৬২]
নম্র কথা বলে দেয়া এবং ক্ষমা প্রদর্শন করা ঐ দান খয়রাত অপেক্ষা উত্তম, যার পরে কষ্ট أَذًى দেয়া হয়। আল্লাহ তা'আলা সম্পদশালী, সহিঞ্চু। [সুরা বাকারা - ২:২৬৩]
যৎসামান্য কষ্ট أَذًى দেয়া ছাড়া তারা তোমাদের কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি তারা তোমাদের সাথে লড়াই করে, তাহলে তারা পশ্চাদপসরণ করবে। অতঃপর তাদের সাহায্য করা হবে না। [সুরা ইমরান - ৩:১১১]
এরকম আরো যেসব আয়াতে أَذًى এর উল্লেখ আছে তার অনুবাদগুলোও দেখে নিতে পারেন
[সুরা ইমরান - ৩:১৮৬], [সুরা নিসা - ৪:১০২]
মোল্লারা কিভাবে কোরআনের ইচ্ছাকৃত ভুল অনুবাদ করে মেয়েদেরকে কষ্টের সময়টাকে অপবিত্র বানিয়ে কোরআন থেকে দূরে সরায়ে দিছে। কোরআনের পরিষ্কার বিধান তারা তাদের মানবরচিত বানোয়াট হাদীস, তাফসীর, ফিকহের মাধ্যমে কোরআনের ভুল অনুবাদ করে মেয়েদেরকে দূরে সরায়ে দিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:০২