দি "ল" অব রিভার্সড এফোর্ট-----বাঁচতে চাইলে, হাল ছেড়ে দিন!
আমাদের জীবনে এমন কিছু সময় আসে, যখন আপনি যত বেশি করে বাঁচার প্রচেষ্টা করবেন, তত দ্রুত মরে যাবেন। বিষয়টা এমন যেন একটা আধোছেঁড়া দড়িতে কোনরকম ঝুলে আছেন, নড়লেই পড়বেন। যেমন, ধরুন আপনি চোরাবালিতে আটকে গেছেন। যত বেশি ছটপট করে বাঁচার চেষ্টা করবেন, তত দ্রুত বালি আপনাকে গিলে খাবে। আবার ধরুন আপনি সাঁতার জানেন না, পানিতে পড়ে গেছেন। আপনি হাত পা ছুড়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন কিন্তু ডুবে যাচ্ছেন, একবার গা-ছেড়ে দিয়ে দেখুন, আপনি ভেঁসে উঠবেন। সকালে গুরুত্বপুর্ন মিটিং, খুব আয়োজন করে ঘড়ি ঘন্টা নিয়ে ঘুমনোর চেষ্টা চলছে, কিন্তু সেই রাতে আর কিছুতেই ঘুম আসছে না। আপনি ঘুমানো বাদ দিয়ে, অন্যদিন যা করেন তাই করুন, দেখবেন চোখ বুঝে রাজ্যের ঘুম চলে এসেছে।
ঠিক তেমনি, কোন একটা সম্পর্ক আপনি টিকে রাখার জন্য আপ্রান চেষ্টা করছেন, আপনার সকল এনার্জি শেষ করে ফেলছেন। ডিভ্যালুয়েশন ফেজ শুরুর পর, আপনি পুরোনো ভালবাসা ফিরে পেতে ভিক্ষর ঝুড়ি পেতেছেন। দেখা গেল সেই সম্পর্ক আর টিকবে না, কারন আপনি যত বেশি চেষ্টা করছেন, অন্যদিক থেকে ততদ্রুত সম্পর্কের পতন হচ্ছে। বরং যত দ্রুত নিজেকে সামলিয়ে এটা থেকে বের হয়ে আসবেন, আপনার মানসিক ক্ষতি তত কম হবে। আপনি সঠিক সময় এফোর্ট দেয়া বন্ধ করলেই হয়ত সম্পর্কটা টিকে যেত।
এজন্য জীবনে কিছু কিছু সময়; কিছু না করে চুপ চাপ বসে থাকতে হয়। এক কাপ চা হাতে রোদ্দুরে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে হয়। খুব উচুতে পাহাড়ের চুড়ায় কোন এক অলস বিকেলে বসে বসে, নিচের দিকে তাকিয়ে মানুষের মহাসমারোহ দেখতে হয়। সাগরের ঢেউগুলির অবিরাম আঁচড়ে পড়া ও মিশে যাওয়া দেখতে হয়। ঘাসের উপর শুয়ে শরৎ-এ রাতের আকাশে তারা গুনতে হয়। লন এর ঘাস ছাটাই এর পর ঘাসের অর্গানিক গন্ধটা চোখ বুঝে শুকতে হয়। কফির/চায়ের দোকানের সামনে যেতে যেতে যে ক্রেভিং সৃষ্টি হয়, সেটাকেও শান্ত ভাবে দমানো শিখতে হয়। এভাবে আপনি আপনার বেঁচে থাকার সময় টা প্রকৃতির সাথে ভাগাভাগি করুন, ভাল থাকুন। মাঝে মাঝে হাল ছেড়ে দিন, না হলে সব কিছু ভেঙ্গে পড়ে। তাই বলে সব জায়গায় হাল ছাড়বেন না। -------হা হা হা হা হা হা..


সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৫