এ জয় 'ক্রিকেট কূটনীতির-কথাটা এখন বলাই যায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি। মোহালিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখতে যাচ্ছেন তিনি।
এ শুক্রবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণটা জানিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে। ভারত-পাকিস্তান বুধবারের ম্যাচটা মাঠে ছড়াবে উত্তেজনা। আর মাঠের বাইরে দুই দেশের উত্তেজনা প্রশমিত করতে রাখবে বড় ভূমিকা। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী বোমা হামলার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে নতুন করে শুরু যে উত্তেজনার। ক্রিকেটকে মাধ্যম করে মনমোহনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে দুই দেশই। আর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র কাল একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ভারত সফরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।'
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে চলা রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আর বহুকাল ধরে স্থবির অবস্থায় থাকা সংলাপও নতুন দিগন্তের দেখা পাবে। ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলায় নিহত হয়েছিল ১৬৬ জন। তার পর থেকে নিউক্লিয়ার অস্ত্রে সজ্জিত দুই দেশের মধ্যে আর কোনো শান্তি আলোচনা পথের দেখা পায়নি। 'এ ধরনের সফর তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যার সমাধান করে দেবে না বটে তবে স্থবিরতা তো কাটবে এর ফলে। আর দুই দেশের মধ্যকার আবহ আরো সহজ করে দিতে সহায়তা করবে'_মত বিশ্লেষক হাসান আসকারির।
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীতে হামলার অভিযোগে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হয়ে আছে সাতজন সন্দেহভাজন।
এর মধ্যে আছে ওই অপারেশনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পরিচিত জাকিউর রহমান লাকভি ও অভিযুক্ত লস্কর-ই-তৈয়েবার (এলইটি) সদস্য জারাহ শাহ। মুম্বাই হামলার জন্য নিষিদ্ধ পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন এলইটিকে দায়ী করেছে ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র।
উপমহাদেশের দুই পরাশক্তির মধ্যে সমস্যা দূর করতে অবশ্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল আগে থেকেই। সেই উদ্যোগের সূত্রেই আজ দিলি্লতে শান্তি বৈঠকে বসার কথা দুই দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। বিশ্লেষক আসকারি মনে করেন, ক্রিকেটকে উপলক্ষ করে দুই প্রধানমন্ত্রীও যখন মুখোমুখি বসতে যাচ্ছেন, তার আগে কর্মকর্তাদের বৈঠকটা হবে অপেক্ষাকৃত সহজ। তাঁর ভাষায়, 'তূটনীতিবিদরা এখন সংলাপে আরো স্বচ্ছন্দ থাকতে পারবেন। তবে ইস্যুটা যেহেতু জটিল তাই সমাধানে সময় লাগবে