What is to be said;
যে কথা বলতেই হয়;
ভারতীয় সেনা প্রধান যে এক গোবর গনেশ, তা আর কাহারোও বুঝবার অতীত রহিল না। ডোকলামে চীনা লাল সেনাদের আতিশয্য মোকাবেলা করতে ভারত সরকার যখন তাঁকে নির্দেশ দিল, সংগে সংগে উনি বলে ফেললেন যে ভারতীয় সেনার হাতে মজুত থাকা গোলা-বারুদে চীনের সংগে লড়তে মাত্র দশ দিন চলবে। এরমধ্যে অধিকাংশ অস্ত্র-শস্ত্র আবার ম্যাদ উর্ত্তীর্ন--যা যুদ্ধে না ও ফুটতে পারে। তাও আবার সংবাদ সন্মেলন ডেকে। প্রধান মন্ত্রী মোদি যখন অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত বিশ্ববাসীকে বুঝাতে চাইছেন যে, আমরা চীনের রক্ত চক্ষুকে ভয় করি না; আমাদের সেনারা এখন আর ১৯৬২ সনের সামরিক পরিকাঠামোতে আবদ্ধ থাকা সেনাবাহিনী নয়; ঠিক তখন ঐ গোবর গনেশ সেনা প্রধান সেনাবাহিনীর পরিকাঠামোগত দুর্বলতা বিশ্ববাসীর কাছে জাহির করেন। আবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী এক নির্দেশ মর্মে যখন এই গোবর গনেশকে প্রয়োজনীয় যাবতীয় গোলাবারুদ কিনতে বেহিসাব টাকা খরচ করার আদেশ দিলেন যাতে তড়িঘড়ি ডোকলামে চীনা লাল সেনার মোকাবেলা করা যায়, তখনই ঐ ভয়াতুর সেনা মড়ল আবার দশ পা পিছু হটলেন। এই হল আমাদের বাহাদুর সেনাপ্রধান যিনি একজন সরকারী চাকর হিসেবে সি সি এস (সি সি এ) রোলকে পর্যন্ত পাত্তা-ই দেন না।
বলা বাহুল্য, গোষ্ঠ-গোপালের পরিচয় তাঁর সংগীতে ব্যবহৃত যন্ত্রেই সীমাবদ্ধ। রাজনীতি, অর্থনীতি, দুর্নীতি কিংবা তো সমর-নীতিতে নহে। একজন সেনা-কর্তা হিসেবে যার সমরনীতিতে প্রাধান্য থাকার কথা, সেক্ষেত্রে দেখা গেল আমাদের গোবর গনেশের রাজনীতিতে প্রাধান্য বেশী। রাজনৈতিক বক্তৃতা দানে উনি দেশের প্রধান মন্ত্রী থেকে যেন পঁচিশ ধাপ এগিয়ে। বাঃ বেটা বাঃ! আপনারই তীক্ত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রাজনৈতিক ভাষন অচিরেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সামরিক অদ্ভোত্থান ঘটাতে সক্ষম হবে বৈ-কি! যাহা ভারত স্বাধীন হওয়ার ৬৯ বছর পরও হয়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, আমাদের বাহাদুর সেনা প্রধানের রাজনৈতিক বক্তব্যের জেরে সেনা-বাহিনীর মধ্যে গনহত্যার ভাব ধারা সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের সংহতি ও ঐক্যকে হাতিয়ার করে চিরপ্রতিদ্বন্দী পাকিস্তান ও চীনকে মোবাবেলা করার পরিবর্তে এই সেনাপ্রধান ঐক্য-সংহতির মুলে কুঠারাঘাত করে "এলোমেলো করে দেয় মা লুঠেপুটে খাই" এই আদর্শে অনুপ্রানীত হয়ে সেনা শাসন করছেন।
গতিকে, আমরা দেশের মহামান্য প্রেসিডেন্ট তথা সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মহোদয়ের কাছে আর্জি জানাচ্ছি যেন অবিলম্বে সেনাপ্রধান রাওয়াতের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কোড অব কন্ডাক্ট তথা সি সি এস (সি সি এ) রোল আরোপ করে প্রয়োজনীয় বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
স্মরনীয় যে, জ্বলা রুটি ও জলতুল্য ডাল খেয়ে কাশ্মীর বর্ডারে যুদ্ধ করার শক্তি হারিয়ে ফেলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সামান্য একজন বি এস এফ জোয়ানের প্রতিবাদী কণ্ঠকে রোধ করতে গোপনীতা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে চাকুরী খোয়াতে এমন কি শেষ পর্যন্ত প্রান খোয়াতে হয়েছে। আর সেনাপ্রধানের ক্ষেত্রে সে রোল আরোপে দ্বিচারিতা কেন? এদেশের মাটিতে তো সবার জন্য একই রোল--যাহা দেশটির সংবিধানে স্বীকৃত।
পরিশেষে বলি, "সত্যিই সেলুকস কি বিচিত্র এই দেশ।"
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩০