অতি পরিচিত কাছের মানুষ যখন চির বিদায় নেয় তখন খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক । তেমন একটি সংবাদ শুনেছি আজ দুপুরে । জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জ মহোদয়ের গাড়ি চালক জসিম ভাই ফোন করে জানালেন- ঢাকার একটি হসপিটালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় আমাদের সহকর্মী শফিক ভাই আজ সকালে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি.....) । সফিক ভাই আমাদের সহকর্মী ছিলেন বিধায় প্রতি মাসে দু চার বার তার সাথে দেখা হতো, কথা হতো, মাঝেমধ্যে এক সাথে বশে চা খেতা । সফিক ভাইর সাথে আমার খুব বেশি চলাফিরা ছিলনা । তাই বলতে পারব না তিনি ব্যক্তি হিসেবে কেমন ছিলেন। প্রায় দু মাস যাবৎ সফিক ভাইকে একটু অসুস্থ দেখেছি । তাই এই দুটি মাসের মধ্যে কয়েকবার দেখা হলোও কথা বলার সুযোগ হয়নি কাজের ঝামেলায় । আজ সংবাদ পেলাম সফিক ভাই আর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন না । তার সাথে কথা বলার সুযোগ আর হবে না । বেশ কিছু দিন আগে আমাদের আরেক সহকর্মী মোহাম্মদ আলী চৌধুরীও চির বিদায় নিয়েছেন । এই সংবাদগুলো অনেক ব্যাদনার হলেও এটাই পৃথিবীর চিরায়ত নিয়ম । একদিন আমাদের সবাইকে এভাবে চলে যেতে হবে না ফেরার দেশে । তখন আমরা থাকব না থাকবে আমাদের কর্মফল । যদি ভালো কিছু করি তবে লোকজন প্রশংসা করবে, যদি খারাপ কিছু করি তাহলে লোকজন মন্দ বলছে । এটাই স্বাভাবিক । সফিক ভাইয়ের সাথে খুব বেশি চলাফিরা কিংবা যোগাযোগ না হলেও ব্যক্তিগত ভাবে আমার সাথে কোন দিন কোন রকম বাকবিতন্ডা হয়নি । সিনিয়র সহকর্মী হিসেবে যখন যে ধরণের সহযোগীতা প্রয়োজন হয়েছে তিনি করেছেন । এ বিষয়ে সফিক ভাই অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন । আজ সফিক ভাইয়ের চলে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে একটি দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠছে । একদিন সরকারী কাজে পোরাতন সার্কিট হাউজে অবস্থান করছি । সফিক ভাই হঠৎ মিষ্টি নিয়ে হাজির । জানতে চাইলাম মিষ্টি কেন ? উত্তরে বল্লেন, মেয়ের বিয়েতে তুকে খাওয়াতে পারিনি, তাই তোর জন্য মিষ্টি নিয়ে এলাম । আজ সফিক ভাই নেই । দেখা হবে না কোন দিন, কথাও হবে ন কোন দিন । দোয় করি সফিক ভাই, পরপারে আপনার আত্মা যেন শান্তিতে থাকে । সহকর্মী সফিক ভাইয়ে মৃত্যুতে আমি গভীর ভাবে শোকাহত ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৩