সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবস্থানের জন্য আবশ্যক শর্ত হিসেবে যুক্ত হচ্ছে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।’ এতে ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ ও এর প্রতি ‘অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ রাখতে হবে।
গত বুধবার এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নবম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। এ খসড়া আইন সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরো বেশ কয়েকটি বিষয় যুক্ত ও বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।
বিদ্যমান আইনে একটি অনুচ্ছেদ যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এতে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু ধারাবাহিক সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়া জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ ধারণ করিয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভ্যুদয়; সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে এবং চাকরিতে অবস্থানের আবশ্যকীয় শর্ত হিসেবে উপরিউক্ত বিষয়ে অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস আবশ্যক এবং তদ্বারা সব সরকারি কর্মকাণ্ড ও কার্যাবলি পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন।’
স্থায়ী কমিটির সুপারিশে, যারা বাংলাদেশের আদর্শিক ভিত্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নন কিংবা যাদের এ চেতনার ঘাটতি রয়েছে, তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথাও বলা হয়েছে।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো কর্মচারীর আচার, আচরণ ও কার্যাবলিতে প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত সরকারি কর্মচারী বাংলাদেশের আদর্শিক ভিত্তি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নহেন অথবা তাহার মধ্যে এই ভিত্তি ও চেতনার ঘাটতি রহিয়াছে অথবা তিনি এই ভিত্তি ও চেতনার বিপক্ষে কাজ করিতেছেন, তাহা হইলে তদন্ত সাপেক্ষে তিনি চাকরি হইতে বরখাস্ত হইবেন এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৫ অনুচ্ছেদ ও ইহার ১, ২, ২ (ই) ও ৩ উপ-অনুচ্ছেদের আলোকে ক্ষমতাসম্পন্ন কর্তৃপক্ষ অথবা ক্ষেত্র বিশেষে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।’
যাদের যাদের মুজিবিয় চেতনা নাই তারা আপনার নিকটস্থ আওয়ামীলীগ অফিসে বা সোনার ছেলেদের সাথে যোগাযোগ করে মুজিবিয় চেতনা সংগ্রহ করেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:১৮