বাংলাদেশ আওয়ামলীগ সরকারের সব থেকে বড় সাফল্যজনক খ্যাত কমিউনিটি ক্লিনিক । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের এবং আন্তজার্তিক পর্যায় যত ভাষণ প্রদান করেছেন সকল স্থানে এই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বাংলাদেশর তৃণমূল জনগোষ্ঠির দোড় গোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছানোর তথ্য তুলে ধরেছেন। এমডিজি অর্জনে শিশু মৃত্যু রোধ মাতৃমূত্যু রোধ সহ স্বাভাবিক সন্তান প্রসাব কার্যক্রমে কমিউনিটি ক্লিনিক এখন বিশ্বের রোল মডেল ।আর এই সকল কার্যক্রম পরিচালনায় নিরালস ভাবে কাজ করে চলেছেন একদল তরুণ কর্মী বাহিনী ।যারা নিজেদের সার্মথ্যর সব টুকু উজার করে কমিউনিটি ক্লিনিক সেবার মান বৃদ্ধি করে দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত । তাদের দুঃখ ,তাদের পরিশ্রম এর কথা দেশের কোন মিডিয়া কোন নেতা কোন বিশ্ব সংস্থা তুলে ধরেননি । শুধু সাফল্য সকলের নজরে এসেছে বাট সাফল্যর পেছনের চালিকা শক্তির কথা কখনও কেউ তুলে ধরেনি ।দীর্ঘদিন একই বেতনে সরকারী সার্ভিস রুল অনুযায় নিরন্তর কাজে নিমগ্ন দেশের 14878 জন কর্মী যার মধ্যে ৫৪% নারী ।সরকারী সব নিয়ম পালন করেন এই কর্মী সকল কিন্তু সরকারী সুবিধা তারা বঞ্চিত দর্ঘিদিন । চাকুরী রাজস্বের দীর্ঘ আন্দোলন আবেদন করার পর চাকুরী ট্রাস্টের মাধ্যমে স্থায়ী হওয়ার আইন পাশ হয়েছে গত 2018 সালের ৮ ই অক্টোবর কিন্তু এখনও অবধি তার কার্যক্রম তেমন পরিলক্ষিত হয়নি কর্মীরাও পাইনি সরকারী কোন সুবিধা ঘোষণানুযায় ।কর্মীদের দাবী ট্রাস্টের মাধ্যমেই চাকুরীর যোগদান হতে ইনক্রিমেন্ট সহ সরকারী সকল সুবিধা ট্রাস্ট আইনের প্রবিধান দ্বারা বাস্তবায়ন করা হোক।
অর্জন সমূহঃ
১৪,৮৭৮ জন কর্মকর্তা সহ সিএইচসিপি নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে ৫৪% নারী কর্মী।
১৩,৮২২ জন সিএইচসিপিকে মৌলিক ও অনলাইন প্রশিক্ষণ এবং ৬৩,২১০ জন স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি কে সিসি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত করে গড়ে তোলা হয়েছে।
এ যাবতকালে কমিউনিটি ক্লিনিকে ৮২,২০,৯৭০ জন প্রসবপূর্ব ২৪,১১,৫৩৬ জন মহিলাকে প্রসব পরবর্তী সেবা দেওয়া হয়েছে ।এ ছাড়াও ৬৬,০০০ এর অধিক স্বাভাবিক সন্তান ডেলিভারী সম্পন্ন হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীর মাধ্যমে।
গ্রামীন পর্যায় স্বাভাবিক প্রসব করানোর জন্য ১৯৩৫ জন নারী সিএইচসিপি সিএসবিএ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।৪,০০০ কমিউনিটি ক্লিনিকের অধিক স্বাভাবিক সন্তান প্রসাব কার্যক্রম চালু আছে।
এ পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিকে মোট রোগী ভিজিটের সংখ্যা ৭৪ কোটির ও অধিক। ২ কোটির অধিক সংখ্যাক জটিল রোগীকে উচ্চতর পর্যায়ে রেফার করা হয়।
ক্লিনিক পরিচালনার সুবিধার্থে ২,৩৩,০১৯ জন কমিউনিটি গ্রুপ সদস্য এবং ৬,৯৯,০৫৭ জন কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ সদস্য ও নির্বাচিত স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেছে।
কমিউনিটি ক্লিনিক হতে প্রতি বছর প্রায় ২০০ কোটির অধিক টাকার ঔষুধ কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম ডিজিটালাইজেশন প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহ । যেখানে নিযুক্ত আছে অনলাইন এক্সপার্ট কর্মী বাহিনী ।যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের ১৩,৭০৭ টি কমিউনিটি ক্লিনিক হতে DHIS2- এ নিয়মিত অনলাইন রিপোর্ট প্রদান করা হয় ।শিশু, গর্ববর্তী, এনসিডি রোগীর সকল তথ্য বায়োডাটা সহ স্বাস্থ্য তথ্য ভান্ডারে সংরক্ষিত এখন।
কমিউনিটি ক্লিনিকের কাজ কে আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে ৩,৯৬৯ জন এমএইচভি কর্মী অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে মনোনীত করা হয়েছে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতি জনগণের আগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে ৪ কোটি গ্রামীণ জনগণকে মোবাইল ভয়েস কলে আহ্ববান করেন।
কমিউনিটি ক্লিনিকে আসুন,
সেবা নিন সুস্থ থাকুন।”
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১০