এখনও দেশে মুক্তিযোদ্ধা বাছাইয়ের নামে প্রহসন করে জাল মুক্তিযোদ্ধা করা হচ্চে আর সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধার নাতি পুতি সহ অসংখ্য বংশ বৃদ্ধি । নতুন নিয়ম চালু হয়েছে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বাছাই।তাই সন্তানের চাকুরীর জন্য চিন্তা করে বাবা বা দাদার জন্য ঘুষ দিয়ে এখন মুক্তিযোদ্ধা সনদ কিনে নিচ্ছেন । ফলে সে প্রতি মাসে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন আর তার বংশ পরিজন পাচ্ছে কোটা পদ্ধতি ।
তাই গরিব কৃষক মধ্যবিত্ত চাকুরী জীবি পরিবারের সন্তানের আর লেখা পড়ার দরকার নাই কারণ ওদের কেউ নেই । ওদের ফাও টাকা খরচ করে উচ্চ শিক্ষার দরকার নাই নামমাত্র শিক্ষা হলেই চলবে ।
আজ দেশ মেধাশূন্য হতে চলেছে । মেধাবী শিক্ষার্থীগুলো দেশের বাইরে পাচার হচ্ছে । দেশের রাজনীতি সেই কবেই মেধাশূণ্য হয়ে পবিত্র সংসদ কার্যালয় অশালীন ভাষা দিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের কি পারি দেখুন । রাজপথে আজ ছাত্রদের পিটিয়ে প্রমাণ করছি লেখাপড়া তোদের জন্য পাপ। কেন তোরা লেখাপড়া করছিস রিক্সা চালিয়ে খেয়ে বেড়া । অথচ এই ছাত্ররাই এ্ দেশ সৃষ্টি লগ্নে এই ভাবে রাজপথে সোচ্চার হয়েছিল স্বাধিকার আন্দোলনে । আমরা ত কোটা বাতিল করতে আন্দোলন করছি না । আমরা কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাই ।
একশ্রেনী আবার বিরাট সোচ্চার কোটা পদ্ধতি বাস্তবায়নে । একটি পদবী আজ সব থেকে বড় কোটা এবং ১০০% কোটা দাবী দার ।আজ যারা রাজপথে আন্দোলন করছে যে পরিচয় বুকে ধরে । এই পরিচয়ে দেশ স্বাধীন ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল । তাদের একটাই পরিচয় ছিল তারা ছাত্র। যাদের মাধ্যমে এই দেশ স্বাদীনতা কি ভাষার মর্যাদা কি আপামর জন সাধারণ কে বুঝিয়ে সচেতন করেছিল অধিকার ছিনিয়ে আনার ।
এই ছাত্র সমাজ সেই ৫২,৫৪,৬২,৬৬ ৭১ সকল আন্দোলনে সকলের সম্মুখে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে এই ছাত্ররা । তাহলে ছাত্র কোটা নামে কোন কোটা থাকবে না কেন ? এত কোটা যখন দেশে চালু । আর তা না হলে আনুপাতিক হারে কোটা নির্ধারণ করা হোক । যাদের সংখ্যা বেশী তাদের কোটা বেশী হোক।
যিনি ছাত্র তিনিই তার ছাত্রেত্বের যোগ্যনুযায় কোটা সুবিধা চাই । কারণ এই ছাত্রদের কারনেই আজ দেশ স্বাধীন । এই ছাত্র হতে পেরেছেন বলেই আজ আপনি প্রধানমন্ত্রী , আজ ছাত্র ছিলেন বলেই আজ আপনি এমপি ,মন্ত্রী , ব্যবসায়িক, শিক্ষিত ভদ্র সমাজ বলে পরিচয় দিতে পারছেন । তাহলে ছাত্র নামে কোন কোটা থাকবে না কেন? এত কোটা যখন দিতে পারছেন ইতিহাস তাকিয়ে দেখুন এই ছাত্রদের কোন অবদান দেশ জাতি গঠনে আছে কি না ? যদি ছাত্র রা কিছু না পারে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্র নামের পরিসমাপ্তি টানা হোক এই দেশ হতে । তাহলে কেউ আর রাজপথে বেকার বলে চিৎকার করবে না , শিক্ষিত বলে সম্মান চাইবে না , বাবা, মা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তানের জন্য কষ্ট করবে না । আর না হলে সকল কোটার সংষ্কার করে আনুপাতিক হারে কোটা নির্ধারণ করা হোক মেধাবীদের মূল্যায়ণ করা হোক ।
হে দেশ মাতৃকা তুমি আমাদের মুক্তি দাও ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩