কমিউনিটি ক্লিনিক এখন একটি স্বানামধন্য স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান এত সুনাম যশ খ্যাতি অর্জন করল কার মাধ্যমে, কাদের পরিশ্রমের ফলে এই স্বল্প সময়ে সারা বিশ্বব্যাপী আলোকরশ্নির ন্যায় ছড়িয়ে পড়ল কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মযজ্ঞ। এই সুনাম অর্জনকারী কর্মী বাহিনীর কথা ,তাদের সেবার কথা, কিন্তু কখনও সরকার বা পত্রপত্রিকা প্রচার করে না । প্রচার করে কমিউনিটি ক্লিনিকের কথা । সেখানে খাতা কলমে কাজ করে আরো অনেকে । প্রকৃত কর্মীদের দুদর্শার কথা পরিশ্রমের কথা কখনও কেউ স্মরণ করতে চাই না ?
কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা / চাকুরী বিধিমালা আছে যা , স্বাস্থ্য বিভাগের ওয়েব পোর্টালে দেওয়া আছে। সেই নীতিমালার নেই সঠিক বাস্তবায়ন । সেই ননীতিমালা একমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনায় শুধুমাত্র বাস্তবায়ন সিএইচসিপি দের উপর করা হয়।
এবার আসি কমিউনিটি ক্লিনিক বনাম সিএইচসিপির গল্পে
একটি প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিক এবং তার পরিচালনার দায়িত্ব এখন সিএইচসিপি নামক এক রোবট কর্মীর।
দেখুন এই রোবট কর্মীর কার্যসমূহঃ
#গ্রামীন মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সবা নিশ্চিত করা।
#স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করা ফলে গ্রামের মানুষের নিয়ে বসে স্বাস্থ্য শিক্ষার বৈঠকের আয়োজন করা প্রতি মাসে সিসি তে ।
#সিসির স্থানীয় খরচ নির্বাহের জন্য গ্রামের মানুষের কাছে হাত পেতে সাহায্য তুলে বেড়ানো।
#সিসি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য নিজেই প্রতিদিন সকালে একজন ঝাড়ুদার হওয়া ভদ্র পোশাকে ।
#এরপর বর্তমান ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রাথমিক ডিজিটাল স্বাস্থ্য সৈনিক এই সিএইচসিপি প্রতিদিন তার সেবা প্রদানের চিত্র এবং অত্র সিসির শিশু ও গর্ভবর্তী রোগীদের অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করা। সেই সাথে প্রতিদিনের মেডিসিন এর খরচের হিসাবটাও অনলাইনে প্রেরণ করা ।
#সিসির ১৭টি রেজিষ্টার খাতার কাজ প্রতিনিয়ত আপ টু ডেট রাখা । সকল কাজ সমন্বয় করে এই কর্মীকে।
#মাস শেষে সিসির বিদ্যুৎ বিলটা নিয়ে নিজ পকেটের টাকায় বিদ্যুৎ অফিসে দৌড়ানো ।
এই কাজ গুলো রোবটের ন্যায় সিএইচসিপিকে একাই করতে হয়। যদিও তার সহযোগিতার জন্য কয়েকজন সহকর্মী আছে কিন্তু তারা সরকারী কর্মচারী আর সিএইচসিপিরা প্রকল্পের কর্মচারী । তাই ভুল করেও তাদের এসব কিছু করা বা সহযোগীতা করা উচিত মনে করে না ।
আবার প্রশাসন যন্ত্র ও মনে করে সরকারী কর্মচারীরা কেন করবে বা তাদের দিয়ে কেন করাবে এসব করুক সিএইচসিপি। একই অফিসে চলে দৈত্য নীতি। নেই চাকুরী/কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা বিধিমালার যথাযথ কোন বাস্তবায়ন।
যে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের পরিশ্রমের ফলে এত সুনাম সরকারের এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সেই কর্মীদের একটাই দাবী চাওয়া তাদের কর্মজীবনের নিশ্চয়তা চাকুরীটা রাজস্বকরণ।তাহলে দেশের মানুষ ও পাবে নিরবিচ্ছন্ন স্বাস্থ্য সেবা কমীরা দিবে হতাশমুক্ত স্বাচ্ছন্দে স্বাস্থ্য সেবা।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮